<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) করার পরিকল্পনা ছিল বিগত সরকারের। কিন্তু আপাতত সরকারি মাত্র পাঁচটি ইজেডের উন্নয়ন করতে চায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এই পরিকল্পনায় আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশা করছে সংস্থাটি।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মাল্টিপারপাস হলে বেজার অগ্রগতি ও পরিকল্পনা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই মুহূর্তে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রয়োজন নেই। আগামী ১০ বছরে ১০টি তৈরি করা গেলে তা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট হবে। তবে শুরুতে পাঁচটি ইজেড উন্নয়নে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আগামী দু-এক বছরে এর বাইরে কাজ করবে না বেজা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী দুই বছরে অর্থাৎ ২০২৬ সাল শেষে ১৩৩ জন অতিরিক্ত বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এবং দুই লাখ ৩৮ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরির আশা করছে বেজা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেজার বিগত দিনের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি জানান, ১৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি, একটি জিটুজি ভিত্তিতে দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগে, বাকি ১৩টি বেসরকারি ইজেড। এসব ইজেডের সাত হাজার ২৫১ একর জমির মধ্যে দুই হাজার একর জমিতে শিল্প স্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে ইজেডের এই জমিতে ১২২টি প্রতিষ্ঠান উন্নয়নকাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে ইজেডে ৪৫ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। বেজায় বর্তমানে বিনিয়োগকারী আছেন ২১২ জন। এর মধ্যে ১১৬ জন বিনিয়োগকারী জমি ইজারা চুক্তি সই করেছেন। ৭০ জন বিনিয়োগকারীর কারখানা স্থাপনের কাজ চলছে। ৫২টি কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী দিনে পাঁচটি ইজেডকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কারণ ১০০টি ইজেডে বিনিয়োগের সক্ষমতা আছে কি না, তা দেখতে হবে। এ জন্য অধিগ্রহণ করা অব্যবহূত জমিতে সোলার পার্ক করা হবে। শুরুতে মিরসরাইয়ের জাতীয় বিশেষ ইজেডে পিপিপি মডেলে পরীক্ষামূলক সোলার প্রকল্প নেওয়া হবে। বেজার লক্ষ্য শিল্পায়ন, তবে যেন শুধু ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী না হয়, পরিকল্পনামাফিক শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থনৈতিক অঞ্চলে শ্রমিকদের আবাসন এখনো গড়ে উঠেনি জানিয়ে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন অবকাঠামোসহ প্রণোদনা পান না। উনারা এসে যেন কারখানা স্থাপন করতে পারেন, সেটা দেখবে বেজা। একাধিক অফিসে যেন বিনিয়োগকারীদের যেতে না হয়, সে জন্য বেজার কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আশুলিয়ায় বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর শ্রমিকদের পুনর্বাসন করতে মীরসরাইয়ে নেওয়া যায় কি না, সেটা নিয়ে ভাবনা আছে বেজার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১০০ ইজেড নির্মাণের জায়গা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি না। আগামী ১০ বছরের যে শিল্পায়ন তার জন্য এই পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঠিকভাবে দাঁড় করানো বেশি প্রয়োজন। তবে এখন আমাদের মনে হচ্ছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা ১০টি ইজেডের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ করতে চাই। তবে ১০০টি ইকোনমিক জোন বন্ধ বা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিকল্পিত ইজেড উন্নয়নের পর যেসব এলাকায় মানুষ পিছিয়ে আছে, সেখানে বেজার কাজ হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। বেজার কাজ মুনাফা করা নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যগুলো বাদ দিয়ে আগামী দুই বছরে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট, মহেশখালী, জাপানিজ ও জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে। ফলে আগামী দিনে আরো অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পথ সুগম হবে। তবে এ জন্য প্রয়োজন হবে সরকারের সব বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি পাঁচটি ইজেডের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যোগাযোগব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া বেসরকারি ইজেডের জন্য রোডম্যাপ করা হবে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী বেসরকারি ইজেডগুলোতে যোগাযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেজার অধীনে আসছে কেইপিজেড, বন্ধ ও লোকসানি কারখানা  </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন বেজার আওতায় আনা হচ্ছে। কিছু দাপ্তরিক কাজ বাকি আছে। এ ছাড়া যেসব বিনিয়োগকারী জমি নিয়েছেন, কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি, তাঁদের শিল্প নির্মাণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাঁদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা বেজাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদি এসব বিনিয়োগকারী আমাদের পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে উন্নয়নকাজ শুরু করতে অপারগ হন, তাহলে তাঁদের বেজার কাছে জমি ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমরা সফলতা পেতে শুরু করেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন স্থানে সরকারের যেসব মিল-কারখানা লোকসানে আছে বা বন্ধ রয়েছে, সেগুলোতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারখানাগুলোতে যে অব্যবহূত জমি রয়েছে সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। বিশেষ করে পাটকল ও চিনিকলগুলোতে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে মোট ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p> </p>