অভিমত

বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’

  • মোস্তফা কামাল
শেয়ার
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
মোস্তফা কামাল

বিদেশি নামকরা বিনিয়োগকারীদের নিয়ে দেশে একটি হাই প্রোফাইল বিনিয়োগ সম্মেলনের পরপরই আবার চড়ল গ্যাসের দাম। তা-ও কমসম নয়, শিল্প-কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগে বাড়তি গুনতে হবে ৩৩ শতাংশ। কেমন হলো ব্যাপারটা! ভেবে স্তম্ভিত দেশীয় বিনিয়োগকারীরা। ঢাকা ঘুরে যাওয়া বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই বা কী বার্তা পেলেন? গ্যাস বিতরণ কম্পানিগুলোর তো প্রস্তাব ছিল ১৫০ শতাংশ দাম বাড়ানোর।

এ নিয়ে গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে বিয়াম মিলনায়তনে মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানিতে দেখা দেয় তুমুল হট্টগোল। এর প্রায় দেড় মাস পর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ৩৩ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিল। এতে ক্যাপটিভে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪২ টাকা আর শিল্প-সংযোগে ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হলো ৪০ টাকা। গ্যাসের এই দাম চড়ানো ব্যবসা সম্প্রসারণ, নতুন বিনিয়োগকে নিরুৎসাহ না করে পারে না।

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের কথা বলে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। শিল্প ও ক্যাপটিভে প্রতি ইউনিটের দাম করা হয় ৩০ টাকা। পরে গত বছর ক্যাপটিভে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। তা দেশি-বিদেশি দুই বিনিয়োগকেই ধাক্কা দিয়েছিল।

সেখানে এখন ধাক্কার ওপর আরেক ধাক্কা। এর মাত্র কয়েক দিন আগে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ প্রায় অর্ধশত দেশের পাঁচ শতাধিক বিনিয়োগকারীর শরিকানায় একটা উচ্চাশার পারদ জাগিয়ে ঢাকায় হয়ে গেল বিদেশি বিনিয়োগ সম্মেলন। সম্মেলন প্রশ্নে এবারের আবহটা ছিল ভিন্ন। বড় মোক্ষম ও প্রাসঙ্গিক সময়ে বাংলাদেশের কোর্টে নিয়ে আসা হয় বিনিয়োগের বলটি। বিগত সময়ে বিনিয়োগ সম্মেলন হতো বিদেশে।
দেশ থেকে দল বেঁধে ব্যাংকাররা যেতেন, সঙ্গে থাকতেন কিছু ব্যবসায়ী, আমলা এবং বিশেষ কোটারির কিছু সাংবাদিকের লটবহর। সবাই মিলে মৌজ-মাস্তিতে সরকারি টাকা খরচ করে আসতেন। কেউ কেউ থেকেও যেতেন বা পরে সুবিধামতো সময়ে বিদেশে থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেন।

এবারের পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন। প্রেক্ষাপটেও অনেক তফাত। যাবতীয় আলোচনা-পর্যালোচনার মূলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সফরে চীন কী দিয়েছে, আরো কত কী দেবে বাংলাদেশকেএ প্রশ্ন  ঘিরে। এর পরপরই এই বিনিয়োগ সম্মেলন। এর প্রাপ্তি দৃশ্যমান হবে ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে। যেকোনো বিনিয়োগকারী দেশে-বিদেশে যেখানেই বিনিয়োগের চিন্তা করেন, প্রথমেই চান বিনিয়োগকৃত অর্থের নিশ্চয়তা। বিনিয়োগ করতে কত সময় লাগবে, বিনিয়োগের জন্য সরকারের কাছ থেকে কী রকম সহায়তা মিলবে, তা-ও ভাবতে হয়। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে সম্ভাব্য বিনিয়োগের আওয়াজ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কেউ বিনিয়োগ করেছে কি না, সেই তথ্য থাকে না। বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের কাছেও এসংক্রান্ত তথ্য নেই। এবারের বিনিয়োগ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন কম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতিসহ তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সেই তালিকা অনুযায়ী আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রতিশ্রুত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা এখনো ভবিতব্য। তার পরও আশাবাদী সরকারসহ অনেকে। দেশি বা বিদেশি, বিনিয়োগ হওয়া দিয়ে কথা।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিনে সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে অনেক উচ্চাশার কথা জানানো হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে বিনিয়োগের একটি সুযোগভূমি বলে জানিয়েছেন। এই সুযোগভূমি শুধু বিদেশিদের জন্য? নিশ্চয় নয়। দেশিদের জন্য মোটেই দুর্যোগভূমি নয়। তাহলে আদতে দেশি বিনিয়োগকারীরা কেন নিজ দেশের এই সুযোগভূমিতে দুর্যোগের আজাবে ভোগেন? সম্মেলনটিতে দেশি বিনিয়োগকারীদের কদর মেলেনি। হতে পারে নামে আন্তর্জাতিক বলে। স্থানিক হওয়ার পরই তো আন্তর্জাতিক। এ ছাড়া বাংলাদেশের যেসব বিনিয়োগকারী বিশ্বের দেশে দেশে বিনিয়োগ করেন সেখানে তাঁরাও বিদেশি। আন্তর্জাতিকও। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিনিয়োগকারীরা চীন-ইংলিশসহ যাঁর যাঁর ভাষায় বাংলাদেশে কারখানার লাইসেন্স, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বিলম্বের কথা জানিয়েছেন। উল্লেখ করেছেন পদে পদে হয়রানির কথা। দেশি বিনিয়োগকারীরা তো বাংলা ভাষায় এসব যন্ত্রণার কথা বহুদিন ধরেই বলে আসছেন। যন্ত্রণার ভাষা ভিন্ন হলেও বেদনা একই। বিনিয়োগ প্রশ্নে দেশি বা বিদেশি, স্থানিক আর আন্তর্জাতিক বিবেচনাও প্রায় একই। পুঁজির গ্যারান্টি উভয়ের কাছেই পয়লা নম্বর শর্ত। এরপর লাভ, রাষ্ট্রীয় নীতি সহযোগিতা, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক-সামাজিক স্থিতাবস্থা ইত্যাদি। তা একেবারে দুইয়ে দুইয়ে যোগ করলে চার হওয়া অঙ্কের মতো। যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ গোটা দুনিয়ায় একই।

বাংলাদেশের পক্ষে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, এসব ভোগান্তি ধীরে ধীরে আর থাকবে না। সরকারের আশ্বাসমতো এসব ভোগান্তি ভবিষ্যতে না থাকলে তা নিশ্চয়ই দেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে। তাহলে সরকারের দিক থেকে এভাবে ঘটা করে না হলেও মাঝেমধ্যেও কি দেশি বিনিয়োগকারীদের ডাকা যায় না? তাঁদের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো যায় না? অভয় দিয়ে তাঁদের বিনিয়োগে উৎসাহ জোগানো যায় না?  আগেও বহুবার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশের সম্ভাবনার কথা জানান দেওয়া হয়েছে। বাস্তবতাটা নিদারুণ। আশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসের সংযোগ ঘটেনি। প্রচারণা সম্মেলনের গণ্ডি পার হতে পারেনি। সমান্তরাল তথ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অনেক সফল উদ্যোক্তা মালয়েশিয়া, দুবাই, কানাডা, ইউরোপে এমনকি আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পর্যন্ত বিশাল ভলিউমের বিনিয়োগ গড়ে তুলেছেন, যা এ দেশের অনেকের জানা বা ধারণারও বাইরে। সেখানে তাঁরা বিদেশি হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত। বিভিন্ন দেশে তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা পাচ্ছেন। রয়েছে ব্যাবসায়িক পরিবেশের স্থায়িত্ব। পড়ছেন না প্রশাসনিক হয়রানিতে, রাজনৈতিক থাবা পার্টির কবলে। করনীতির জটিলতায় ঘুম হারাম হচ্ছে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি এই উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী শ্রেণিকে আয়ত্ত করতে সরকারের চেষ্টার তথ্য কমের চেয়েও কম। দেশের বর্তমান সরকারটি অরাজনৈতিক। তাদের পক্ষে কিছু উদ্যোগ শুরু করা কঠিন নয়। অন্তত শুরুটা করলে ভবিষ্যৎ কোনো সরকারের পক্ষে তা অগ্রাহ্য করা সম্ভব হবে না। এ জন্য প্রথমেই দরকার সরকারের নীতি সহায়তা। কর-ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ডিজিটাইজেশনের একটা বন্দোবস্ত আনা নিশ্চয়ই কঠিন হবে না সরকারের জন্য। অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে অংশ নিয়ে একটি ইতিবাচক বার্তা দিতে চাচ্ছে, তা দৃশ্যমান। বার্তাটিতে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সংযুক্ত করতে বাধা কোথায়?

বর্তমান সরকারের হাতে এ-বিষয়ক একটা বিশেষ সুযোগ আছে। এ সরকারের ফটো সেশন করার দরকার পড়ে না। তাত্ত্বিকভাবে নানা কথা বলা হলেও বাস্তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে উদ্যোক্তাদের কাছে আস্থা ফিরিয়ে আনার ওপর। বাংলাদেশের উন্নয়নধারা আর দশটা দেশের মতো নয়। একটা বড় পার্থক্য হলো, এ দেশের উন্নয়নযাত্রায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর অবস্থান। কিন্তু সরকারের বাইরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির পেছনে তাদের অবদান স্বীকার না করার একটি মানসিকতা রয়েছে। উন্নয়নযাত্রায় নতুন পথে, নতুন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির রূপরেখা দিশা পেতে তাই চলছে নানা অবান্তর-অবাস্তব কথার কচলানি। ব্যাংকের তারল্য সংকট ও উচ্চ সুদহার বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থায়ন প্রক্রিয়াকে চাপে ফেলেছে। আবার ডলার সংকটে শিল্প খাতে মেশিনারিজ ও কাঁচামাল আমদানিতে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রারও সংস্থান করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বিদেশির মতো স্থানীয় বিনিয়োগ আকর্ষণও এখন দিন দিন আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর হলে দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়াতেই হবে। পরিবেশকে বিনিয়োগবান্ধব করতেই হবে। দুর্নীতি, ঘুষ, জ্বালানির সংকট, শ্রমিক-কর্মচারীদের উসকে দেওয়ার মতো ঘটনা হাড়ে হাড়ে বোঝেন শুধু ভুক্তভোগীরাই। তাঁদের বিনিয়োগ প্রবণতায় কেন পিছুটান, তা বোঝার মতো সক্ষম-যশ-খ্যাতিবান  ব্যক্তিত্ব এই সরকারে অনেকে আছেন। অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত না হলে দেশি বা বিদেশি কোনো বিনিয়োগও শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না। স্থানিক উহ্য রেখে আন্তর্জাতিক সোপান গড়ার রেকর্ড দুনিয়ার কোথাও নেই। এ দুইয়ের মধ্যে পয়লা নম্বরে স্থানিক। এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সেতুবন্ধ কতটা গড়েছে, তা কিন্তু এখনো পরিষ্কার হয়নি। রয়ে গেছে কিছু প্রশ্নও।

লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লালমনিরহাট সীমান্ত

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
শেয়ার
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসিবুল ইসলাম (২২) নামের এক বাংলাদেশি কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে। হাসিবুল সিংগীমারী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে হাসিবুলকে গুলি করে বিএসএফ।

পরে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভারতে নিয়ে যায় তারা।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজেদের জমিতে দুপুরে কাটতে যান হাসিবুল। এক পর্যায়ে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বিএসএফের একটি টহলদল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোনো কারণ ছাড়াই হাসিবুলকে গুলি করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হাসিবুল।

এরপর রাইফেলের বাঁট দিয়ে তাঁকে আঘাত করে বিএসএফ। পরে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে ভারতে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বিকেলে কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিবুলের মৃত্যু হয়েছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, বাংলাদেশিকে গুলি করার ঘটনায় বিজিবির আহ্বানে গতকাল বিকেলে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠকে অংশ নেয় বিএসএফ।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহামুদুন-নবী জানান, বাংলাদেশি এক যুবককে গুলি করে বিএসএফ ভারতে নিয়ে গেছে বলে খবর মিলেছে।

 

মন্তব্য
বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ আজ

রাষ্ট্রের নাম বদলে বেশির ভাগ দলের আপত্তি

নিখিল ভদ্র
নিখিল ভদ্র
শেয়ার
রাষ্ট্রের নাম বদলে বেশির ভাগ দলের আপত্তি

রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টির মধ্যে শতাধিক প্রস্তাবে একমত প্রকাশ করেছে এযাবৎ মতামত প্রদানকারী সব রাজনৈতিক দল। তবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার প্রস্তাবে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল আপত্তি জানিয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনে এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দল লিখিত মতামত দিয়েছে। এর মধ্য থেকে ১১টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপির অনুষ্ঠিত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি অনলাইনে সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়া হবে। সংলাপ ও অনলাইনে পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব হবে, তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে জুলাই সনদ-এ সই হবে। এইসব প্রক্রিয়া মধ্য জুলাইয়ে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এরপর সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করেছে এই কমিশন। প্রথম পর্যায়ে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬ সুপারিশ বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাব তৈরি করে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত আহবান করে।

এ পর্যন্ত ৩২টি দল লিখিত মতামত জানিয়েছে। অন্যদিকে লিখিত মতামত প্রদানকারী দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছতে গত ২০ মার্চ থেকে সংলাপ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১টি রাজনৈতিক দল এই সংলাপে গিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরার পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ চলছে।

অনেক ক্ষেত্রে লিখিত মতামতে আপত্তি থাকলেও সংলাপে আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিষয়ে দলগুলো একমত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (আজ) সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি সংলাপে অংশ নেবে। আগামী সপ্তাহে জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলগুলোর সংলাপে বসার কথা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সংলাপের পর যেসব সুপারিশের বিষয়ে সবাই একমত, সেগুলো আলাদা করা হবে। এ ছাড়া যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আগামী মাসের মাঝামাঝি দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত সংলাপ করা হবে। সেই সংলাপে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সুধীসমাজের প্রতিনিধিসহ অংশীজনের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করবে ঐকমত্য কমিশন। এরপর সুপারিশমালা চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

কমিশন সূত্র জানায়, এরই মধ্যে মতামত জানানো রাজনৈতিক দলগুলো শতাধিক প্রস্তাবে একমত প্রকাশ করেছে। তবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ইস্যুতে দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। আবার কয়েকটি বিষয়ে বেশির ভাগ দল জোর আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আপত্তি এসেছে। কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধানের প্রযোজ্য সব ক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ শব্দগুলোর পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্রজনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ শব্দগুলো ব্যবহার করা হবে। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ এবং ১২ দলীয় জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো। এমনকি জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রজাতন্ত্রগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে।

সূত্র জানায়, এনসিপিসহ কয়েকটি দল সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি থেকে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে কমিশন প্রস্তাবিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। এ ক্ষেত্রে জামায়াত শুধু বহুত্ববাদ শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। দলটি এর পরিবর্তে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ’—এই শব্দগুলো যোগ করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ দল চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে। তারা গণপরিষদ ও গণভোটের বিষয়ে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর বহাল রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। একাত্তর আর চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানকে একসঙ্গে মিলিয়ে ফেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল। কেউ কেউ এর সঙ্গে নব্বইকে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। বিএনপি আপত্তি জানালেও অনেকেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে।

জানা গেছে, লিখিত মতামতে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল কমিশন প্রদত্ত স্প্রেডশিট (ফরম) ব্যবহার করেনি। তারা আলাদাভাবে লিখিত মতামত দিয়েছে। শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার ছাড়া বাকি সংস্কার নির্বাচিত সংসদ দ্বারা বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ দলের পক্ষে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে যে অস্থিরতা ও সংকট বিরাজ করছে, তা উত্তরণের একমাত্র উপায় দ্রুত সংসদ নির্বাচন। তবে এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল সামগ্রিক সংস্কার শেষ করার পর নির্বাচনের কথা বলছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজনৈতিক দল ও জোটগতভাবে প্রথম পর্যায়ের সংলাপ শেষ হবে। এরপর আমরা দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে পারব। সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে ভিন্নমত আছে বা কোনো ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে, সেগুলো নিয়ে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আলোচনা করতে পারব।

 

মন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক

মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আপত্তি এনসিপির

    ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিক গতকাল বৈঠক করেছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির সঙ্গে
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আপত্তি এনসিপির
মো. নাহিদ ইসলাম

আমরা ন্যূনতম সংস্কার নয় বরং মৌলিক সংস্কার ও রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্যই কাজ করছি। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের দিকে গেলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সেই নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কি না সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে মার্কিন ডেপুটি অব মিশনের বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, মূলত বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচন বিষয়ে নিকোল চুলিকের প্রধান ফোকাস ছিল। এ ছাড়া দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসহ বাংলাদেশের সামনের রাজনীতি কোনদিকে যাবে এবং আমাদের রাজনৈতিক দলের গঠনপ্রক্রিয়া, সাংগঠনিক কার্যক্রম ও আদর্শিকতার বিষয়ে তাঁদের আগ্রহ ছিল। আমরা আমাদের জায়গা থেকে ব্যাখ্যা করেছি। আমাদের রাজনৈতিক দল কোন প্রেক্ষিতে কেন এবং কোন লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তা জানিয়েছি।

সংস্কার বিষয়ে আমরা যে প্রস্তাবনা সংস্কার কমিশনে দিয়েছি সেটি আমরা বলেছি। আমাদের যে তিনটি দাবি বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনসেটি আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি। আমরা বলেছি, আমরা আমাদের তিনটি এজেন্ডা নিয়েই সারা দেশে কাজ করছি।

বর্তমান সময় নিরপেক্ষ আচরণ করছে না অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময় মাঠ পর্যায়ে যে প্রশাসন রয়েছে সেই প্রশাসন আমাদের কাছে মনে হয়েছে নিরপেক্ষ আচরণ করছে না।

বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে। সেই জায়গায় প্রশাসনকে আমরা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করতে দেখছি। সে জায়গাগুলো আমরা বলেছি।

নিরপেক্ষ না বলতে বা প্রশাসন কার পক্ষে ভূমিকা পালন করছে বলতে আপনারা কী মনে করছেন জানতে চাইলে এনসিপির এই আহ্বায়ক বলেন, প্রশাসন আমরা দেখছি অনেক জায়গায় প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে। মাঠ পর্যায়ে যে ধরনের চাঁদাবাজি চলছে সে জায়গায়ও প্রশাসন আসলে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।

আমরা বলেছি, এ ধরনের একটি প্রশাসন যদি থাকে তাহলে এর অধীনে নির্বাচন করাটাও আসলে সম্ভব নয়। ফলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র ও পুলিশ আসলে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের টাইমফ্রেমের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, টাইমফ্রেমের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডিসেম্বর থেকে জুনকে আমরা প্রাথমিকভাবে সমর্থন করছি। কিন্তু দৃশ্যমান বিচার, বিচারের রোডম্যাপ দেওয়া ও সংস্কার অর্থাৎ জুলাই সনদ কার্যকর করা ইত্যাদি ছাড়া আসলে নির্বাচনের সময় নিয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই।

মন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক

আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত

    ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিক গতকাল বৈঠক করেছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির সঙ্গে
বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
শফিকুর রহমান

আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোকবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমনটাই চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি   অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াতের আমির। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) জানতে চেয়েছে আমরা কবে নির্বাচন চাই।

আমরা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টা এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে চেয়েছেন। আমরা জানতে চেয়েছি, তিনি তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন কি না। তবে আমরা চাই, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বর্ষার আশঙ্কা মাথায় রেখে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন হোক। আর আমরা চাই, নির্বাচনটি যেন অবশ্যই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে হয়।

বৈঠক নিয়ে জামায়াতের আমির আরো জানান, তাঁদের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। যদি ভবিষ্যতে আমরা দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক নীতিমালা কী হবে তা জানতে চেয়েছেন তাঁরা। অঞ্চলভিত্তিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু, নারী অধিকার ও শ্রম অধিকার নিয়েও কথা বলেছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছি, আমাদের দেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। এই সময় যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক যেন তারা পুনর্বিবেচনা করে। আমরা আশা করি, তারা সহযোগিতা করবে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা ন্যায়বিচারের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগের বিচার চেয়েছি।

উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই প্রথমবারের মতো ঢাকা সফরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি চুলিক, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু  হেরাপ এবং মায়ানমারে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ