<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূল্যস্ফীতি, যুদ্ধ ও বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে বছর শুরু হলেও আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে স্থিতিশীলতা দিয়েই শেষ হচ্ছে ২০২৪ সাল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি গাজা যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিস্তৃত হয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার শঙ্কা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলেও পর্যাপ্ত সরবরাহের বিপরীতে চাহিদা সেভাবে না থাকায় বাড়েনি জ্বালানি তেলের দাম। এতে সার্বিক পণ্যবাজার স্থিতিশীল ছিল। বিশ্বজুড়ে কমেছে মূল্যস্ফীতি, কেটেছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাও। বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, আবশ্যকীয় কিছু পণ্যের দাম কমেছে ২০২৪ সালে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ২০২৫ সালেও পণ্যবাজার স্থিতিশীল থাকবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জ্বালানি তেল : জ্বালানি তেল নিত্যপণ্য না হলেও নিত্যপণ্যের বাজারকে প্রভাবিত করে এই কালো সোনা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে খাদ্যপণ্য উৎপাদন, পরিবহন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে। আশার বিষয় হচ্ছে, ২০২৪ সালে বছরজুড়েই স্থিতিশীল ছিল জ্বালানি তেলের বাজার। ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, গত শুক্রবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে হয়েছে প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলার। এর পাশাপাশি ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম কমে হয়েছে ৭৪.১৭ ডলার। এ বছর উভয় তেলের দাম কমেছে যথাক্রমে ১.৪৭ ও ৩.৭৩ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বছর বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ভালো ছিল, আগামী বছরও পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে। ফলে ২০২৫ সালেও এ বাজার স্থিতিশীল থাকবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সয়াবিন : বাংলাদেশে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ভোজ্য তেল হচ্ছে সয়াবিন। দেশের ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে দফায় দফায় সয়াবিনের দাম বাড়ালেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সরবরাহ ভালো থাকায় বিশ্ববাজারে গত এক বছরে সয়াবিনের দাম কমেছে। বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, ২০২৪ সালে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দাম কমেছে ২৪.৫০ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গত শুক্রবার প্রতি বুশেল সয়াবিনের দাম ছিল ৯.৯ ডলার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সয়াবিনের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে এবার রেকর্ড শস্য উৎপাদন হলেও চীনসহ অনেক দেশেই চাহিদা কমেছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও বিপুল সয়াবিন উৎপাদন হয়, যার একটি অংশ বায়োফুয়েল তৈরিতে ব্যবহার হয়। কিন্তু এ বছর তাদের বায়োফুয়েল উৎপাদন নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ফলে বাজারে সয়াবিনের সার্বিক চাহিদা কমায় দামও নিম্নমুখী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গম : চালের পাশাপাশি বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যপণ্য গম। শীর্ষ দুই সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধে লিপ্ত হলে গম সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কিন্তু পরে ভারতসহ অন্য দেশগুলোর সরবরাহ বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের সরবরাহ বাড়লে গমের বাজার স্থিতিশীল হয়। ২০২২ সালের মার্চে গমের দাম হয় ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রতি বুশেল এক হাজার ৩৫০ ডলার। পরে কমতে থাকে। ২০২৪ সালে গমের দাম ১২.৮৬ শতাংশ কমে প্রতি বুশেল হয় ৮০.৭৪ ডলার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাল : ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববাজারে চালের দাম কমেছে ২১.৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রধান খাদ্য চাল। তাই এ অঞ্চলে চালের উৎপাদন ও রপ্তানির পাশাপাশি ভোগও বেশি। সর্বশেষ গত শুক্রবার চালের দাম ছিল প্রতি হান্ড্রেডওয়েট ১৩.৭৬ ডলার। ২০০৮ সালের এপ্রিলে চালের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল প্রতি হান্ড্রেডওয়েট ২৪.৪৬ ডলার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিনি : বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী রয়েছে চিনির দামও। ব্রাজিলসহ রপ্তানিকারক দেশগুলোর সরবরাহ ভালো থাকায় এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমেছে ৫.৯৩ শতাংশ। গত শনিবার বিশ্ববাজারে চিনির দাম ছিল প্রতি পাউন্ড ১৯.৩৬ সেন্ট, যা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সূত্র : ট্রেডিং ইকোনমিকস</span></span></span></span></p>