<p>করোনাকালে দেশে মানবিকতার বহু নজির স্থাপিত হয়েছে। এই মিছিলে শামিল হয়েছেন দেশের আলেমসমাজও। চট্টগ্রামে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ২৩০টিরও বেশি লাশ দাফনের পর এবার ৭০ শয্যার একটি করোনা হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আলেম আল্লামা শাহ জমিরুদ্দিন (রহ.)-এর ছেলেরা সংস্থাটি পরিচালনা করছেন।</p> <p>আল মানাহিল চট্টগ্রামের হালিশহরে একটি ছয়তলা ভবনে করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।  নামকরণ করা হয়েছে ‘আল মানাহিল নার্চার হাসপাতাল’। হাসপাতালে বসানো হয়েছে ১০টি আইসিইউ বেড। এর মধ্যে থাকছে পাঁচটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা। ছয়তলা ভবনজুড়েই রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম। হালিশহরের বি-ব্লকের চৌধুরীপাড়ায় হাসপাতালটি অবস্থিত। ছয়তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটির নিচের তলায় থাকছে রিসেপশন, জরুরি বিভাগ ও অবজারভেশন ওয়ার্ড। বাকি পাঁচটি তলায় বসানো হয়েছে ৭০টি শয্যা। আগামী সপ্তাহে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p> <p>আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর আল মানাহিল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেয়। গত ১৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় এবং তাঁরা আমাদের উদ্যোগ অনুমোদন করেন এবং কাজের প্রশংসা করেন।’ তিনি আরো জানান, লাশ পরিবহন ও দাফন, রোগী বহন, নমুনা সংগ্রহসহ করোনাকালীন সেবা প্রদানে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চারটি গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। কর্তৃপক্ষ আশা করছে আগামী সপ্তাহে রোগী ভর্তি ও সেবা প্রদান শুরু করা যাবে।</p> <p>উল্লেখ্য, আল্লামা শাহ জমিরুদ্দিন (রহ.) ১৯৯৮ সালে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে নানামুখী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। সরকার নিবন্ধিত এই বেসরকারি সেবা সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা হেলালুদ্দিন বিন জমিরুদ্দিন। গভীর নলকূপ স্থাপন, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ এবং রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সেবা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা এর অন্যতম।</p> <p> </p>