(আয়াত : ২২)
১০. কোরআন পাঠে মুমিন হৃদয় বিগলিত হয়। (আয়াত : ২৩)
১১. কোরআন সহজ ও সাবলীল।
(আয়াত : ২৮)
১২. আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় কোরো না। (আয়াত : ৩৬)
১৩. মানবীয় জ্ঞান মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। (আয়াত : ৪৯)
১৪. আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। (আয়াত : ৫৩)
১৫. মুত্তাকিদের আল্লাহ রক্ষা করেন। (আয়াত : ৬১)
সুরা মুমিন
আলোচ্য সুরায় আল্লাহর একত্ববাদ ও পরকাল বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। সুরায় আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। সত্য-মিথ্যার চিরন্তন দ্বন্দ্বের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে কিয়ামতের দিন জাহান্নামবাসী জাহান্নাম থেকে বের হওয়ার আবেদন করবে। কিন্তু তাদের আবেদন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হবে। সুরার শেষে মহানবী (সা.)-কে ধৈর্য ধারণ করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে, যেভাবে মুসা (আ.) ধৈর্য ধারণ করেছেন।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. অবিশ্বাসীদের অবাধ বিচরণে বিভ্রান্ত হয়ো না। (আয়াত : ৪)
২. আল্লাহমুখী মানুষরাই উপদেশ গ্রহণ করে। (আয়াত : ১৩)
৩. পরকালে বন্ধুত্ব কাজে আসবে না। (আয়াত : ১৮)
৪. কুদৃষ্টি ও অন্তরের পাপ সম্পর্কে আল্লাহ জানেন। (আয়াত : ১৯)
৫. উদ্ধত ব্যক্তি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। (আয়াত : ২৭)
৬. ভিত্তিহীন বিতর্ক ঘৃণ্য কাজ।
(আয়াত : ৩৫)
৭. স্বজাতিকে সত্যের পথে আহ্বান করো। (আয়াত : ৩৮)
৮. আল্লাহ দ্বিনের সেবকদের রক্ষা করেন। (আয়াত : ৪৫)
৯. দ্বিনের ব্যাপারে তর্ক কোরো না। (আয়াত : ৫৬)
১০. আল্লাহকে ডাকো। কেননা তিনি বান্দার ডাকে সাড়া দেন। (আয়াত : ৬০)
১১. আল্লাহর ইবাদত থেকে বিমুখ হয়ো না। (আয়াত : ৬০)
১২. ক্ষমতার দম্ভ ও উল্লাস আল্লাহ পছন্দ করেন না। (আয়াত : ৭৫)
সুরা হা-মিম-সাজদা
এই সুরায় বলা হয়েছে, অবিশ্বাসীরা কোরআন নিয়ে চিন্তা করে না। আর নবী-রাসুলরা সবাই মানুষ ছিলেন। এই সুরায় আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, পৃথিবীতে শক্তিমত্তায় ও ক্ষমতায় কেউ তাদের সমকক্ষ ছিল না। এই সুরায় সতর্ক করা হয়েছে যে কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। কিছু মানুষ কোরআন নিয়ে ব্যঙ্গ করে। কিন্তু শিগগিরই তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে। এমন ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে সুরাটি শেষ হয়েছে যে প্রতিটি যুগে মানুষকে সৃষ্টিজগতের কিছু কিছু রহস্য উদ্ঘাটন করার ক্ষমতা দেওয়া হবে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. কোরআনবিমুখদের অন্তর পাপাচ্ছাদিত। (আয়াত : ৫)
২. পরকালে অবিশ্বাসীরা জাকাত দেয় না। (আয়াত : ৭)
৩. দ্বিনবিমুখ মানুষদের সতর্ক করো। (আয়াত : ১৩)
৪. পরকালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। (আয়াত : ২০)
৫. আল্লাহর প্রতি উদাসীনতা ধ্বংস ডেকে আনে। (আয়াত : ২৩)
৬. কোরআনচর্চায় বাধা দিয়ো না।
(আয়াত : ২৬)
৭. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করো। (আয়াত : ৩৩)
৮. শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় নাও। (আয়াত : ৩৬)
৯. কোরআন বিকৃতকারীদের জন্য জাহান্নাম। (আয়াত : ৪০)
১০. কোরআন মুমিনের জন্য
আরোগ্যস্বরূপ। (আয়াত : ৪৪)
১১. সম্পদের মোহ অন্তহীন।
(আয়াত : ৪৯)
গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান