ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

হাইকোর্টে জামিন পেলেন ২ আ. লীগ নেত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাইকোর্টে জামিন পেলেন ২ আ. লীগ নেত্রী
সংগৃহীত ছবি

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভানেত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিপি খান ভরসাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

সোমবার (২৪ মার্চ) বিচারপতি মো.ইকবাল কবির ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয় মামলায় রুলসহ এ আদেশ দেন।

মামলা দুটিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আল আমিন ও মো.মিজানুর রহমান। এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

 

আরো পড়ুন
আইজিপি পদমর্যাদা পেলেন ডিএমপি কমিশনার

আইজিপি পদমর্যাদা পেলেন ডিএমপি কমিশনার

 

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা এক মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার ইস্কাটন এলাকা থেকে মোনালিসা ইসলামকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর আমলি আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আমলি আদালতের বিচারক বেগম শারমিন নাহার তাকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

পরে জামিন আবেদনের পর দায়রা জজ আদালত ১৬ মার্চ তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর ১৮ মার্চ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।   

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার ১২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। ১৯ আগস্ট মামলাটি করেছিলেন মেহেরপুর সদরের মো.হাসনাত জামান।

 ৪ আগস্টে মেহেরপুরের কলেজ মোড়, চুলকুনি মোড় ও কোর্ট মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও অভিভাবকদের অবস্থান কর্মসূচিতে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। মামলায় ১২ নম্বর আসামি তিনি।   

অন্যদিকে, ১৬ মার্চ সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১৭ নম্বর রোডের ৯/বি ফ্ল্যাট থেকে লিপি খান ভরসাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন রাত সাড়ে ৯টায় রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক শোয়েবুর রহমান লিপি খান ভরসাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে মহানগর জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ১৮ মার্চ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এরপর ২০ মার্চ তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।  

গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত রংপুর মহানগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনের করা হত্যাচেষ্টা মামলার ১৭৯ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি লিপি খান ভরসা। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি ঢাকায় অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন।

লিপি খান সবশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসির নির্বাচনী সভা-সমাবেশে অংশ নেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অক্সফোর্ডের অনারারি ফেলো হলেন প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অক্সফোর্ডের অনারারি ফেলো হলেন প্রধান বিচারপতি
সংগৃহীত ছবি

আইন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে আজীবনের জন্য ‘অনারারি ফেলোশিপ’ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি করার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াধাম কলেজ থেকে আইনশাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বুধবার এই ওয়াধাম কলেজ থেকে প্রধান বিচারপতির ই-মেইলে চিঠি পাঠিয়ে এই সম্মাননার কথা জানানো হয়।

 

আরো পড়ুন
বার্ড ফ্লু কিভাবে ছড়ায়, এর থেকে প্রতিকার কী

বার্ড ফ্লু কিভাবে ছড়ায়, এর থেকে প্রতিকার কী

 

চিঠিটি পাঠিয়েছেন ওয়াধাম কলেজের ওয়ার্ডেন রবার্ট হ্যানিং। তিনি চিঠিতে বলেন, ‘মাননীয় প্রধান বিচারপতি, অত্যন্ত আনন্দের সাথে লিখছি যে, ওয়াদাম কলেজের গভর্নিং বডি আপনাকে একটি অনারারি ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আশা করি, আপনি এই সম্মানটি গ্রহণ করবেন।’

সম্মনসূচক এই ফেলোশিপ আজীবনের জন্য উল্লেখ করার পাশাপাশি একজন ফেলো হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদ কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন চিঠিতে তা তুলে ধরেছেন রবার্ট হ্যানিং।

 

এতে বলা হয়েছে, ‘সর্বোপরি, এই ফেলোশিপের মাধ্যমে ওয়াধাম কলেজ আপনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে সম্মান অনুভব করে এবং তা প্রকাশের মাধ্যমে আপনার উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোকে স্বীকৃতি দিতে চায়। আমি আশা করি যে আপনি কলেজের অনারারি ফেলো হওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন এবং ভবিষ্যতে ওয়াধামের অনেক অনুষ্ঠানে আপনাকে স্বাগত জানাতে পারব।’

জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ২৫তম প্রধানপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন তিনি।

রোডম্যাপের কিছু বিষয় ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। স্বাধীন কার্যকর বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা তাঁর ঘোষিত রোডম্যাপের অন্যতম লক্ষ্য।

সৈয়দ রেফাত আহমেদের ‘সম্মানসূচক ফেলোশিপ’ পাওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচার বিভাগের জন্য এক বিরল ও গৌরবময় মুহূর্ত। এই বিরল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কেবলমাত্র প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত সাফল্যের স্মারক নয়। বরং এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি বৈশ্বিক পর্যায়ে যে সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শিত হচ্ছে তারও প্রতিফলন ও পরিচায়ক।

নিঃসন্দেহে এই সম্মান বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উৎকৃষ্টতা, বুদ্ধিবৃত্তিক দৃঢ়তা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের স্বীকৃতির একটি নিদর্শন।’

এই সম্মাননা পেয়ে বিচার বিভাগের প্রধান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে গর্ব অনুভব করছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হাছান মাহমুদ-নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাছান মাহমুদ-নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী ওয়াসিমসহ কয়েকজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেল এ আদেশ দেন।

প্যানেলের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানি শেষে এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আজ ট্রাইব্যুনালে চট্টগ্রামের বিষয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এবং অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করার জন্য দুটি আবেদনের ছিল আমাদের।

চট্টগ্রামে জুলাই আন্দোলন চলাকালীন যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, এর সিংহভাগেই সম্পৃক্ত ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

তিনি জানান, তদন্ত সংস্থা মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবরের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।  
 

মন্তব্য

আদালতের সামনে মিছিল করে বিচার করা যায় না : চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদালতের সামনে মিছিল করে বিচার করা যায় না : চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘যারা চিফ প্রসিকিউটরের পদ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন, হয় তারা সেটি না বুঝে করেছেন, নয় কোনো একটি বিশেষ মহল তাদের উসকানি দিচ্ছে।’

জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির দাবি নিয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে বিক্ষোভ করেন শহীদ পরিবারের স্বজনরা। সেই বিক্ষোভ থেকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের আদেশ নিয়ে ব্রিফ করার সময় শহীদ পরিবারের স্বজনদের দাবির বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরের প্রতিক্রিয়া জানতে চান এক সংবাদিক।

তখন তাজুল ইসলাম ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু শহীদ পরিবারের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ আছে, তাই একটি বিশেষ মহল উসকানি দিয়ে তাদের আদালতের সামনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু আদালতের সামনে মিছিল করে বিচার করা যায় না।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের মামলার তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, চিফ প্রসিকিউটর একজন আইনজীবী। চিফ প্রসিকিউটরের ক্ষমতা, দায়িত্ব আইন দ্বারা নির্ধারিত।

আমাদের কাছে (প্রসিকিউশনে) তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) দিলে চিফ প্রসিকিউটরের কাজ শুরু হয়। তদন্ত করার কাজ সম্পূর্ণভাবে তদন্ত সংস্থার। যে কারণে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত চিফ প্রসিকিউটর তাড়াতাড়ি করে মামলা শুনানি করতে পারেন না। প্রথমে তদন্ত শেষ হতে হবে, এরপর চিফ প্রসিকিউটরের কাছে তদন্ত রিপোর্ট আসবে, চিফ প্রসিকিউটর ওইটার ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবেন, এরপর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
চার-পাঁচটা মামলার তদন্তকাজ শেষ হয়েছে, রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আসেনি। এখানে চিফ প্রসিকিউটরের কিছু করার নেই। যারা চিফ প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, হয় তারা না বুঝে বলছেন, নয় কোনো একটি বিশেষ মহল তাদের উসকানি দিচ্ছে।’

‘আমরা শহীদ পরিবারের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা তাদের স্বজনদের হারিয়েছেন।

তারা দ্রুত বিচার চাইবেন, এ ব্যপারে কোনো আপত্তি নেই। দ্বিমত করারও কোনো কারণ নাই। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, এই বিচারটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হতে হবে। এটা (ট্রাইব্যুনাল) মোবাইল কোর্ট না যে, আমি বললাম আসামি অমুক, আর তাকে ধরে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেব। এটার সুযোগ এখানে নেই। যেহেতু শহীদ পরিবারের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ তাদের আছে, তারা (একটি বিশেষ মহল) উসকে দিয়ে আদালতের সামনে (শহীদ পরিবারের স্বজনদের) নিয়ে এসেছেন। আমি মনে করি, এটা উচিত হয়নি। কারণ আদালতের সামনে মিছিল করে বিচার করা যায় না। তদন্ত সংস্থা যদি কাজ না করে, সরকারের কাজে যদি ধীরগতি থাকে, তাহলে সরকারের কাছে তারা দাবি জানাতে পারেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের সামনে এসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা শোভনীয় নয়। আমরা অনুরোধ করব, এটা বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার একটা প্রচেষ্টা হবে, জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কোথাও এটা ভালভাবে দেখা হবে না।’ -বলেন তাজুল ইসলাম।

শহীদ পারিবারগুলো তদন্ত কাজে সহযোগিতা করছে না বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) যে দুই-তিনজন শহীদ পরিবার ছিলেন (ট্রাইব্যুনালের সামনে বিক্ষোভে), তাদের প্রত্যেককে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করেছি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন। হয়তো কেউ তাদের উসকানি দিচ্ছে। তা ছাড়া এরকম হওয়ার কোনো কারণ নেই। শহীদ পরিবারের অনেকেই আছেন, যাদের তদন্ত সংস্থায় গিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত সংস্থাকে তারা কেউ সহযোগিতা করেন না। বক্তব্যও রেকর্ড করবে না। কোনো তথ্য-প্রমাণাদি দেবে না। শুধু বলবে আসামিদের ফাঁসি দাও। চৌদ্দ শ শহীদ পরিবারের মধ্যে এক-দেড় শ শহীদ পারিবারও তো আমাদের কাছে আসেনি। বাকি শহীদ পরিবারগুলো যদি এগিয়ে না আসে, তাহলে তদন্তে সময় লাগবে। আর তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে চিফ প্রসিকিউটর কিছু করতে পারবেন না। তদন্ত প্রতিবেদন এসে গেছে, আদালতে কোনো কারণ ছাড়া আমি সময় নিচ্ছি, শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছি, তাহলে বলা যাবে প্রসিকিউশন টিম এর জন্য দায়ী।’

আগামীতে ট্রাইব্যুনালের সামনে এ ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন না করার আহ্বান জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আর বিচারের জন্য ভিকটিম ও শহীদ পরিবারের স্বজনদের সহযোগিতা চান তিনি।

মন্তব্য

মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রসিকিউশনের আবেদনে চেয়ারম্যান বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই পরোয়ানা দেন। 

ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের সাবেক দুই মেয়র আ জ ম নাসির ও রেজাউল করিম এবং তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নাম জানা গেছে।

 

আরো পড়ুন
মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ

মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজীরহাট নৌ রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ

 

চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। তিনি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকার শফিউল আলমের দ্বিতীয় সন্তান। ওয়াসিম পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। গত বছর ১৬ জুলাই মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।

সংঘর্ষ চলার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওয়াসিম আকরামের। পরে ছাত্র-জনতার আন্দোলেনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত বছর ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন ওয়াসিমের মা জোসনা। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়। 

আরেক আদেশে ট্রাইব্যুনাল আনসার সদস্য ওমর ফারুককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সরকার পতনের আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় হওয়া মামলায় ওমর ফারুককে হাজির করা হলে এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার, গাজী এম এইচ তামিম, শহিদুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ ও মইনুল করিম। আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ