বিভাগীয় নগরী রংপুরে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ঈদগাহগুলো। এবারে রংপুরে ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় কালেক্টরেট ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) সারা দেশের মতো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে রংপুর জেলা ও নগরীতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে রংপুর জেলা ও মহানগরীর মসজিদসহ ঈদগাহ ও মাঠে প্রায় সাড়ে ১৪০০ ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন
‘পুরোটাই মনগড়া গল্প’, জামিন চাইলেন সাইফের ওপর হামলাকারী
এদিকে, আগামীকাল সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে মাওলানা কেরামত আলী (র.) মাজার সংলগ্ন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদ মাঠ, মুলাটোল হাফেজিয়া মাদরাসা মাঠ, নুরপুর, গনেশপুর ঈদগাহ, রংপুর সদর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহ, তারাগঞ্জ, গংগাচড়া, মিঠাপুকুর, কাউনিয়া, পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ও কারবালা মাঠে। বদরগঞ্জ চান্দামারী কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এতে ঈমামতি করবেন কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মো. বায়েজিদ হোসাইন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে একই সময় জেলা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়াও, দামোদরপুর বড় ময়দান, মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, তারাগঞ্জ চৌপথি ঈদগাহ, পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সদর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহ, রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠ, গঙ্গাচড়ার পাইকান বড় জুম্মা মসজিদ মাঠ, ধাপ স্টাফ কোয়াটার জামে মসজিদ মাঠ, পশ্চিম নীলকণ্ঠ ঈদগাহ, বুড়িরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহসহ নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ড এবং জেলার ৮ উপজেলার ৭৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ঈদগাহ ও মাঠে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা
এবার রংপুর জেলার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মসজিদ ও ঈদগাহ খোলা মাঠে ঈদের নামাজের সময় সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঈদের জামাত আদায়ের লক্ষ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাজসজ্জার কাজ চলছে ঈদগাহগুলোতে। অন্যদিকে ঈদের নামাজ সুষ্ঠভাবে আদায় করতে আইনশৃঙ্খলাসহ সব বিষয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রংপুরের জাতীয় ঈদগাহ হিসেবে পরিচিত কালেক্টরেট ঈদগাহে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। মাঠের প্রধান গেটসহ মোট ৩টি গেটে তোরণ নির্মাণের কাজ চলছে। জাতীয় ঈদগাহের মতোই রংপুর নগরীর ও জেলার বিভিন্ন প্রধান ঈদগাহে জামাতের প্রস্তুতি চলছে।
কালেক্টরেট মাঠে রাজনৈতিকভাবে উল্লেখযোগ্য কেউ নামাজ আদায় না করলেও বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি, রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম,রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সালসহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ ঈদের নামাজ আদায় করার কথা রয়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু জানান, সিটি করপোরেশনের প্রশাসক স্যারের নির্দেশে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে কয়েকদিন ধরে ঈদগাহের কাজ চলছে। একটু বিলম্ব হলেও সময়মতো সব কাজ শেষ হবে আশা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন
ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) হাবিবুর রহমান জানান, ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহগুলোতে পুলিশ থাকবে। প্রধান প্রধান সড়কে পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।