ঢাকা, বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫
১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ রমজান ১৪৪৬

সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে বসুন্ধরার ত্রাণ বিতরণ

মানিকগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে বসুন্ধরার ত্রাণ বিতরণ
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে গতকাল সিরাজগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

মানিকগঞ্জ জেলা শহর থেকে দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী, বাচামারা ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন তিনটি প্রায় ৪০ কিলোমিটর দূরে। যমুনা নদীর ভাঙন আর প্রায় প্রতিবছর

বন্যার কারণে এই তিনটি ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ মানুষেরই বসবাস দারিদ্র্যসীমার নিচে। এবারের বন্যায় আরেক দফা দুর্ভোগে পড়েছে তারা। এই তিন ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত চার হাজার পরিবারের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।

একই দিনে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এক হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব মোর্শেদ হাসান রুনুর তত্ত্বাবধানে গতকাল মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলে তিনটি পয়েন্টে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, চিঁড়া, গুড় ও চিনি। তিনটি ইউনিয়নের চার হাজার পরিবারের মধ্যে প্রতিটি পরিবারকে প্রায় ১৫ কেজি করে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়।

ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন এলাকার সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এ ছাড়া ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল ইসলাম মট্টু এবং ওই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।

ত্রাণ বিতরণ শেষে মাহবুব মোর্শেদ হাসান রুনু বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগান ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’। কেবল কথায় নয় কাজেও আমরা তা প্রমাণ করেছি।

একটি দায়বদ্ধতা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় দেশের মানুষের পাশে থাকছে। এটা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চিন্তার ফসল।”

সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় বসুন্ধরা গ্রুপ ও এর চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতা এই প্রথম নয়, সব সময় তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের সহযোগিতায় এলাকার দুস্থদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হলো।’

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এক হাজার পরিবারের মধ্যে গতকাল দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয় পৌর এলাকার বাহিরগোলা মহল্লায়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ কামরুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

ত্রাণসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দফা বন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলার লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বন্যাদুর্গত মানুষের কথা ভেবে বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।’ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো বানভাসি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব।’

‘যাঁরা আমাদের এ সহায়তা করেছেন, আল্লাহ তাঁদের ভালো রাখুক’ : ত্রাণ নিতে আসা ছোনগাছা গ্রামের বৃদ্ধা আকলিমা বেগম বলেন, ‘গত দুই দফা বন্যায় ঘরের মধ্যে রাখা সব খাবারই প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থা চলছে বেশ কয়েক দিন। এরই মধ্যে ঈদের আগে এই ত্রাণ পেয়ে অন্তত দুটো দিন তো ভালো চলবে। যাঁরা আমাদের এ সহায়তা করেছেন, আল্লাহ তাঁদের ভালো রাখুক।’

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কিংব্র্যান্ড সিমেন্টের সিরাজগঞ্জ টেরিটোরি সেলস এক্সিকিউটিভ অঞ্জন কুমার চৌধুরী, উল্লাপাড়া টেরিটোরি সেলস এক্সিকিউটিভ মন্টু মিয়া, বেলকুচি টেরিটোরি এক্সিকিউটিভ মিজানুর রহমান, বসুন্ধরা সিমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলস এক্সিকিউটিভ আব্দুল মমিন, উপসহকারী প্রকৌশলী সোহানুর রহমান, কিংব্র্যান্ড সিমেন্টের পরিবেশক মানিক আহম্মেদ, বসুন্ধরা সিমেন্টের পরিবেশক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। ওই সময় সদর, পৌরসভা, খোকশাবাড়ী ও ছোনগাছা ইউনিয়নের এক হাজার বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে চাল, ময়দা, চিঁড়া, গুড়, লবণ, ওষুধ, স্যালাইন ও দিয়াশলাই বিতরণ করা হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুই দশক পর হামাদে সালসোলা গুল্মের সন্ধান

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
দুই দশক পর হামাদে সালসোলা গুল্মের সন্ধান

সালসোলা এক ধরনের গুল্ম। এটা বৈজ্ঞানিক নাম সালসোলা টেট্রান্ডা। সালসোলা নামটি লাতিন সালসাস থেকে এসেছে, যার অর্থ নোনতা বা লবণাক্ত। আর টেট্রান্ডা নামটি তৈরি হয়েছে দুটো গ্রিক শব্দের মিলনে।

ট্রিক টেট্রা মানে চার এবং অ্যান্ড্রোস অর্থ পরাগধানী। এই গুল্মে ফুলে চার পরাগধানী থাকে। এরা সাধারণত মরু অঞ্চলে জন্মে। এই গুল্ম শুধু প্রাণীর পুষ্টিসাধনই করে না; এটা মাটিকে শক্তভাবে আঁকড়ে থাকে।
এতে মাটির ক্ষয়ের পরিমাণ কমে। গুল্মটি দুই দশক আগেই সৌদি আরব থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। হঠাত্ই গুল্মটি আবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় দেখা যাচ্ছে।

এটা মূলত পশুচারণভূমির গুল্ম।

এককালে সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের হামাদ অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে এই গুল্ম দেখা যেত। পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেছেন, অতিরিক্ত আহরণের কারণে গাছটি মরু এলাকা থেকে হারিয়ে যায়। এখন এই গুল্মটিকে পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় দেখা যাচ্ছে। বুনো পশু ও গৃহপালিত পশুর সমান জনপ্রিয় এই গুল্মটি। সৌদি কর্তৃপক্ষ এখন পশুচারণভূমি পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিয়েছে।
পাশাপাশি এসব তৃণভূমির তৃণ ও গুল্ম বাছ-বিচারহীন কায়দায় আহরণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে বড় ধরনের পরিকল্পনা থাকার কারণে মরুর দেশ সৌদি আরবে এরই মধ্যে নানা প্রজাতির বিপন্ন উদ্ভিদের পাশাপাশি জীবজন্তুর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকার জীববৈচিত্র্য ধরে রাখতে নানা ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সৌদি পরিবেশ মন্ত্রণালয়। প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় উদ্যোগী হওয়ার ব্যাপারে বিশ্বে যেসব দেশ বেশ এগিয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে সৌদি অন্যতম। দেশটি এক হাজার কোটি গাছ ও গুল্ম রোপণের একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে সৌদি আরব সাউদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ চালু করে। এরই মধ্যে দেশটি ১০ কোটি উদ্ভিদ ও গুল্মের চারা রোপণ করেছে এবং এক লাখ আট হাজার অনুর্বর জমি চাষের উপযোগী বানিয়েছে। সূত্র : এরাব নিউজ

মন্তব্য
ঈদের কেনাকাটা

বসুন্ধরা সিটিতে আরামদায়ক পোশাক, আকর্ষণীয় ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বসুন্ধরা সিটিতে আরামদায়ক পোশাক, আকর্ষণীয় ছাড়
ঈদুল ফিতর সামনে রেখে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। ছবি : লুৎফর রহমান

দেশের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে সব বয়সের ক্রেতারা আসতে শুরু করেছে। ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, পান্থপথ, গ্রিন রোডসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ এ শপিং মলে পোশাক কিনতে আসছে।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ণিল পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা। তবে এখনো অনেক ক্রেতা কেনাকাটা শুরু করেনি বলেও মনে করছেন তাঁরা।

পাঁচ-ছয় রোজা থেকে কেনাকাটা জমবে বলে আশা বিক্রয়কর্মীদের।

এবারের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো সুতি কাপড়ের ওপর জোর দিয়েছে। ছোটদের জন্য বাজারে এনেছে আরামদায়ক অনেক পোশাক। আরামের পাশাপাশি স্টাইল আর ঈদের আমেজ ফুটিয়ে তুলতেও জোর দিয়েছে তারা।

আড়ং, দেশি দশের মতো দেশীয় পণ্যের শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। কোনো কোনো পণ্যে বিশেষ ছাড়ও দিচ্ছে কিছু প্রতিষ্ঠান।

পোশাকের ব্র্যান্ড রাইসের শাখা ব্যবস্থাপক তাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন,  ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক আনা হয়েছে, দামও বেশ নাগালের মধ্যে। আশা করি আগামী বৃহস্পতি বা শুক্রবার থেকে ঈদের কেনাকাটা পুরোদমে শুরু হবে।

তিনি জানান, এবারের ঈদের কেনাকাটায় রাইস বাংলালিংক অরেঞ্জ ক্লাব ও রবির এলিট সদস্যেদের ১২ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাবিব হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকার কয়েকটি শপিং মলে নীল-সাদা পাঞ্জাবি খুঁজছি। কিন্তু পছন্দমতো পাইনি। বসুন্ধরা সিটির লা রিভের বেশ কয়েকটি পাঞ্জাবি পছন্দ হয়েছে। দামও বেশ কম।

যদি পছন্দের রঙের পাঞ্জাবি পাই, তাহলে আজই কিনব।

হাসান জানান, পরিবারের সদস্যদের জন্যও পোশাক কেনার পরিকল্পনা আছে তাঁর।

বেসরকারি চাকরিজীবী তুষার কান্তি ঘোষ তাঁর মায়ের জন্য শাড়ি ও নিজের জন্য প্যান্ট কিনেছেন। এখন বাবার জন্য পাঞ্জাবি কেনার কথা ভাবছেন বলে জানান তিনি।

তবে কাঙ্ক্ষিত বিক্রি নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন জেন্টেল পার্কের বিক্রয়কর্মী রাফি হোসেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের একটা ধাক্কা যাবে এবার। অনেক নেতাকর্মী উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য পোশাক কিনতেন। এবার সেই বাজার পাওয়া যাবে না বললেই চলে। এর পরও বিশেষ পাঞ্জাবিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

আর্ট বি স্মার্টের ব্যবস্থাপক  মামুন  আহমেদ  বলেন, এখন স্বল্পপরিসরে বিক্রি হলেও আশা করছি রোজার মাঝামাঝি পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে। তারা কোনো পণ্যে ছাড় না দিলেও সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে পোশাক। এক হাজার ৬০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে আকর্ষণীয় সব পাঞ্জাবি।

রিচম্যানের শাখার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, রোজা মাত্র শুরু হয়েছে।  রমজানের মাঝামাঝি বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।

সাধারণত শুক্রবার ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকে উল্লেখ করে একটেসি শোরুমের ব্যবস্থাপক জুবায়ের মিয়া জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে যেসব ক্রেতা আসার কথা, তারা সাধারণত রমজানের মাঝামাঝি আসতে শুরু করে। দর্জিবাড়ির জাহিদুল ইসলাম জাহিদও একই কথা বলেন।

তবে আগের বছরের চেয়ে এ বছর আরো ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করেন হস্তশিল্প ও তাঁত পণ্যের খুচরা বিক্রেতা কে ক্রাফটের বিক্রয়কর্মী প্রবাল চৌধুরী। তিনি বলেন, এখনো ঈদের বেতন-বোনাস হয়নি। আগামী দিনগুলোতে আশানুরূপ বিক্রি বাড়বে।

 

 

মন্তব্য
ফেসবুকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ
আবরার ফাহাদ

স্বাধীনতা পদক ২০২৫ পাচ্ছেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

পোস্টে সজীব ভূঁইয়া বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্তচিন্তার এক প্রতিচ্ছবি আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি।

তিনি আরো বলেন, আবরার ফাহাদের আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!

ক্যাটাগরি হওয়া উচিত মুক্তিযুদ্ধ : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এদিকে আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাঁকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লোকজন। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

তিনি গতকাল ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে বলেন, স্বাধীনতা পদকে আবরার ফাহাদের ক্যাটাগরি হওয়া উচিত মুক্তিযুদ্ধ

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, আবরার ফাহাদের কথাটা যেকোনোভাবেই হোক সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক সাংবাদিক ভাই-বোন এর সত্যতা জানতে চেয়েছেন। আবরার ফাহাদের নাম সামনে আসায় একটা নির্দিষ্ট দলের লোকদের অবুঝ প্রশ্ন দেখতে পাচ্ছি, আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক কী বিবেচনায় দেওয়া হবে? তিনি বলেন, কী বিবেচনায় দেওয়া উচিত, সেটা ব্যাখ্যা না করে আমি বলতে চাই কোন ক্যাটাগরিতে দেওয়া উচিত। আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিবেচনা আবরার ফাহাদের ক্যাটাগরি হওয়া উচিত মুক্তিযুদ্ধ! মুক্তিযুদ্ধের ফল স্বাধীনতা।

স্বাধীনতার প্রধান শর্ত সার্বভৌমত্ব। আর সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড আবরার ফাহাদ।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

মন্তব্য

কুমিল্লার সাবেক মেয়র সূচনার ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ফ্ল্যাট জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কুমিল্লার সাবেক মেয়র সূচনার ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ফ্ল্যাট জব্দ
তাহসীন বাহার সূচনা

সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনার ৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে তিন কোটি তিন লাখ ২৫ হাজার ৬৩৫ টাকা রয়েছে।

গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহীম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের জমিসহ এক হাজার ৪৭৪ বর্গফুটের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান এই আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাহসীন বাহার মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ তিন কোটি চার লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকা মূল্যর সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রেখেছেন। তাঁর নামে থাকা ১৬টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৩ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে।

আবেদনে বলা হয়, তদন্তকালে আসামি তাহসীন বাহার সূচনা কর্তৃক অর্জিত সব সম্পদ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সম্পদ যাতে তিনি অন্যত্র হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে না পারেন তার জন্য স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর আদালত সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নেছা, মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা এবং ছেলে আয়মান বাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ