<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ২০০ কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে দুটি ব্যাংকের ৮৭টি হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংকের ১৯টি হিসাবে ১২ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৩ টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামিক ব্যাংকের ৬৮টি হিসাবে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার ১৯৩ বিঘা জমি জব্দ এবং ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দিয়েছেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এস আলমের জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে ঢাকার গুলশানে ২০ কোটি টাকা মূল্যের এক বিঘা জমি রয়েছে, যেখানে ছয়তলা থেকে আটতলা পর্যন্ত নেক্সাস টেলিভিশন এবং নিচে এস আলম গ্রুপের অফিস। ধানমণ্ডিতে এক বিঘা জমির ওপর ছয়তলা ভবন রয়েছে, যার দলিলমূল্য ৮১ লাখ টাকা। এই ভবনটি ইবনে সিনা হাসপাতালের কাছে ভাড়া রয়েছে। ধানমণ্ডিতে ১১.৮৮ শতাংশ জমির ওপর চারতলা ভবন রয়েছে। ভবনটি আবাসিক কোয়ার্টার হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে, যার দলিলমূল্য ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গুলশানে দুই হাজার ৬৫৮ বর্গফুটের পৃথক চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার প্রতিটির প্রদর্শিত মূল্য চার কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া গুলশানে চার কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের দুই হাজার ৫৮৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। গুলশানে ৭৮ শতাংশের দুটি প্লট রয়েছে। সেখানে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছিল, বর্তমানে বন্ধ রয়েছে, যার প্রদর্শিত মূল্য ৮৬ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। উত্তরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে ৩.১২৫ কাঠা জমিসহ সাততলা ভবন, যার প্রদর্শিত মূল্য এক কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাড্ডায় ছয় কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৭০ শতাংশ জমি রয়েছে। একই এলাকায় আরো ১৭২ শতাংশ জমি রয়েছে, যার প্রদর্শিত মূল্য ছয় কোটি ৭৪ লাখ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক (টিম লিডার) মো. আবু সাঈদ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলমের স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা না হলে অভিযোগ নিষ্পত্তির আগেই ভবন, প্লট অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর, মীর আহমেদ আলী সালাম ও রেজাউল করিম রেজা শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদনটি মঞ্জুর করেন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লাক মিয়ার ৩৯ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার বিরুদ্ধে ভিজিডি, ভিজিএফ, এলজিএসপি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক ভূমি দখল ও মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তে গিয়ে আড়াইহাজার উপজেলায় তাঁর নামে থাকা ছয় হাজার ৪০৭ শতাংশ বা ১৯৩ বিঘা জমির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তদন্তের স্বার্থে এই জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত, যার প্রদর্শিত মূল্য ৩৯ কোটি ৭১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে তাঁর নামে থাকা ১৮টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব হিসাবে ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লাক মিয়ার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে দুই সদস্যের অনুসন্ধানদল গঠন করেছে দুদক। অনুসন্ধানকালে ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি লাক মিয়ার মালিকানাধীন এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই দুদকের উপপরিচালক মো. সোহানুর রহমান স্থাবর সম্পত্তি জব্দ এবং অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।</span></span></span></span></span></p>