নাগরিক সংলাপ

মহামারিতে সংকট বেড়েছে উপকূলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মহামারিতে সংকট বেড়েছে উপকূলে

নাগরিক সংলাপে সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেছেন, মহামারি করোনা সংক্রমণে উপকূলে জীবন-জীবিকার সংকট বেড়েছে। দুর্যোগকবলিত উপকূলের অনেক মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সব মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনার টিকা দ্রুত পৌঁছনোর উদ্যোগ নিতে হবে।

গতকাল শনিবার সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত ‘করোনা পরিস্থিতি ও উপকূলের স্বাস্থ্যসেবা’ শীর্ষক ওই অনলাইন নাগরিক সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, এস এম শাহজাদা ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার, সাতক্ষীরার আওয়ামী লীগ নেতা প্রনব ঘোষ বাবলু, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, মোংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর আলম, স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, খুলনার নাগরিক নেতা এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, বরিশাল সিআরএসএসের রবিন বল্লভ, আপন ফাউন্ডেশনের মো. আফতাবুজ্জামান, পার্লামেন্ট নিউজের সাকিলা পারভীন, শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন প্রমুখ। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন একাত্তর টিভির যুগ্ম প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান।

সভাপতির বক্তব্যে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘উপকূলের মানুষ এখন পানির নিচে বসবাস করছে।

মানুষের ঘরে বন্যা-জলোচ্ছ্বাসের পানি। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফসল ফলাতে পুনরায় বীজ কোথায় পাবে, সেটাও অনিশ্চিত। লকডাউন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কর্মসংস্থানের সংকট তৈরি হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গণমিছিল

শেয়ার
গণমিছিল
মাগুরার ৮ বছরের শিশুসহ সব হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল জাতীয় শহীদ মিনার চত্বরে গণমিছিল করা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

আ. লীগ নিষিদ্ধসহ দুই দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আ. লীগ নিষিদ্ধসহ দুই দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ দুই দফা দাবিতে এক মাসের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত প্রতিবাদী জুলাই জমায়েত কর্মসূচিতে এ ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী। এ সময় তিনি বলেন, আগামী এক মাস দুই দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হবে।

এই দুই দফার প্রথম দফা হচ্ছে, জুলাই, শাপলা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার শুরু করতে হবে। দ্বিতীয় দফা হচ্ছে, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দুই দফাকে সামনে রেখে নতুন লড়াই শুরু হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে চার দিন ধরে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।
এখন দুই দফা দাবিতে এক মাস গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনের পর ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টায় শাহবাগ মোড়ে শহীদি সমাবেশ করা হবে। শরীফ বলেন, কোনো কর্মসূচি না থাকলে নামে-বেনামে আওয়ামী লীগ রাস্তায় নামলে তা প্রতিহত করা হবে।

মন্তব্য

প্রবীণ সাংবাদিক স্বপন দত্ত না ফেরার দেশে

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
প্রবীণ সাংবাদিক স্বপন দত্ত না ফেরার দেশে

প্রবীণ সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য স্বপন দত্ত আর নেই। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। গতকাল শনিবার রাত ৮টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ রবিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে মরহুমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

মন্তব্য

শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দোকান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
শেয়ার
শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দোকান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আট বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার অভিযুক্তের দোকান ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। অভিযুক্ত সাগজত (৫০) সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শিবপুর এলাকায় মুদি দোকান চালান। সাগজত পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে মেয়ে সাগজতের দোকানে যায়। তখন তিনি বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। মেয়ে বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানালে ওর দাদিকে নিয়ে প্রতিবেশী কয়েকজন নারী সাগজতের দোকানে গিয়ে কৈফিয়ত চান। তখন সাগজত ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।

পরে ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে বিষয়টি জানালে তিনি তাঁদের থানা ও হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু খরচের কথা ভেবে তাঁরা আর সেখানে যাননি।

শিশুটির বাবা বলেন, ঘটনার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। বাড়ি ফিরলে আমার স্ত্রী ঘটনাটি জানায়।

রাত অনেক হওয়ায় পরদিন সকালে আমি সাগজতের দোকানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই। সে ভুল স্বীকার করে মাফ চাওয়ার পর রাগান্বিত হয়ে তাঁকে তিনটা ঘুষি মারি। তখন আশপাশের লোকজন এসে ঠেকিয়ে দেয়। পরে একজন এসে মোটরসাইকেলে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় বলে সন্ধ্যায় বিচার করবে। কিন্তু কোনো বিচার করেনি।
আমি গরিব বলে সবাই পাশ কেটে যাচ্ছে।

টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার খবর পেয়ে গতকাল বিক্ষোভ করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। পরে তারা সাগজতের দোকান ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ