<p>যশোরের কেশবপুরে চার মাস ধরে একটি সড়ক পাকা করার নামে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। উপজেলার নুড়িতলা-গড়ভাঙ্গা সড়কের গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত ৮৬০ মিটার অংশ পাকা করার কাজ শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু কাজে ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরের বনান্তর ট্রেডিং নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি পাকা করার কাজ করছে। আগামী মাসে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। তবে শুরু থেকেই এ কাজে চরম ধীরগতি দেখা গেছে। সড়কটি চার মাস ধরে খুঁড়ে (বক্স কাটিং) রেখে বর্তমানে বালু ফেলার কাজ চলছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে খুঁড়ে রাখা সড়কটি। কাজে ধীরগতির কারণে উপজেলার বেলকাটি, সাগদত্তকাটি, পাঁচবাকাবর্শী, গড়ভাঙ্গা, ইমাননগর, মুজগুন্নিসহ ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।</p> <p>সড়কের পানি সেচ দেওয়ার সময় বেলকাটি গ্রামের জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মশিয়ার রহমান (৫৯) বলেন, বৃষ্টি হলেই খুঁড়ে রাখা রাস্তায় পানি জমে যায়। এলাকাবাসীর যাতায়াতের জন্য জলাবদ্ধ পানি সেচ দিয়ে চলাচল উপযোগী করে তোলা হয়। শিক্ষার্থী রনি হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খুঁড়ে রাখার কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কের কাজ চলছে খুবই ধীরগতিতে।</p> <p>পাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলু বলেন, ‘পিচ দিয়ে পাকা করার জন্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাস্তাটি খুঁড়ে রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে ওই রাস্তা দিয়ে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ ঠিকভাবে যাতায়াত করতে পারছে না। ঠিকাদারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই রাস্তার কয়েক জায়গায় হাঁটুপানি হয়। এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকেও জানিয়েছি।’</p> <p>সড়কের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বনান্তর ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপক মুকুল হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ কোনো মাটির রাস্তা পিচ দিয়ে পাকা করতে হলে একটু সময় দিতে হয়। তবে রাস্তাটি খোঁড়ার পর বালু দিতে দেরি হওয়ায় একটু বেশি সময় লেগে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর রাস্তাটি পাকা করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী দুই মাসের ভেতর রাস্তাটির কাজ সমপন্ন করা হবে।’ এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘সড়কটি পাকা করার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর। এপ্রিল মাসের ভেতর কাজ সম্পন্নের কথা। তবে বালু ফেলতে দেরি হওয়ায় কাজে ধীরগতি হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে। কাজ দ্রুত করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।’</p>