<p><span style="color:#000000;"><strong><em>দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া সংসদ সদস্যদের নিজের এলাকা নিয়ে ভাবনাগুলো তুলে ধরছে কালের কণ্ঠ</em></strong></span></p> <p>হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুল হক সায়েম। তিনি হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রথমবারের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি।</p> <p>এলাকাবাসীর মতে, গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাগুলো উপজেলা দুটির প্রধান সমস্যা। একসময়ের খরস্রোতা নেতাই ও কংশ নদের উজানের নাব্যতা সংকটের ফলে প্রায়ই পাহাড়ি ঢলে নদীর পানিতে কৃষকের মাঠের পর মাঠ ফসলি জমি তলিয়ে যায়। বর্ষা এলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে হালুয়াঘাট পৌর এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী নড়াইল, গাজিরভিটা, ধুরাইল, আমতৈল ও ধোবাউড়া উপজেলার গামারিতলা, দক্ষিণ মাইজপাড়া, ঘোষগাঁও, বাঘবেড় ও সদর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বেকারত্ব নিরসনে এই এলাকায় গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প-কলকারখানা। ফলে এলাকার মানুষের জীবিকার একমাত্র ভরসা কৃষি।</p> <p>এলাকার উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক সায়েম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে। রাস্তাগুলো পাকাকরণ করা হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে নেতাই ও কংশ নদের পানিতে এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়। পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনব। মানুষ যে আস্থা আমার ওপর রেখেছে, আমি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাব।’</p>