<p>রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র।</p> <p>গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৮ জুলাই পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় গত ১৮ জুলাই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় দায়িত্ব পালনের সময় অপেশাদার আচরণ করেছেন। তাঁরা কর্তব্যে অবহেলা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করেছেন। তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হোক। গত ১৬ জুলাই রংপুরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ১৭ জুলাই মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়।</p> <p>মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে সাঈদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ম্যাজিট্রেটের উপস্থিতিতে আইন মোতাবেক আবু সাঈদের মৃত্যুর সুরতহাল করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে, তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলেই পুরা বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’</p> <p> </p> <p> </p>