<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৯ সালে শুরু হয় ঝিনাইদহের সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরেও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। শিক্ষকদের ৯টি পদের সাতটি পদই শূন্য। অনেক সময় বাইরে থেকে শিক্ষক ভাড়া করে এনে পাঠদান করানো হয়। এতে করে সন্তানদের ভর্তি করাতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অভিভাবকরা। ফলে বিদ্যালয়টিতে ১০০ আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ৪৭ জন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, ২০০৬ সালে ঝিনাইদহ শহরতলির মহিষাকুণ্ডু এলাকায় ৯ বিঘা জমির ওপর সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। বিদ্যালয়টি নির্মাণে সে সময় গণপূর্ত বিভাগের ব্যয় হয় চার কোটি ১৮ লাখ টাকা। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের গার্মেন্টস অ্যান্ড এমব্রয়ডারি, ফেন্সি উড ওয়ার্কসহ চার বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসিক ও একাডেমিক মিলিয়ে পাঁচটি ভবন রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনবল না থাকায় কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবন দুটির জানালা, দরজা ও ইলেকট্রনিক পরিস্থিতি বেহাল। আবর্জনায় ভবন দুটি ঘিরে রেখেছে। পরিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা থাকলেও কোনো শিক্ষক ছিলেন না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ২০১৫ সালে জোড়াতালি দিয়ে সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবাসিক বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। তবে চার বছর পর ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবন্ধী শিশুদের ভর্তি করানো শুরু হয়। তবে বিদ্যালয়টিতে তাদের পড়াশোনার কোনো শিক্ষক নেই। বাইরে থেকে তিনজন শিক্ষককে ভাড়া করে এনে পড়ানো হয়। এর মধ্যে হেলেনা শবনম নামের এক প্রশিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কারিগরি বিষয়ে পড়ান। আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দেওয়া দুজন বাবুর্চি, দুজন নিরাপত্তা প্রহরী, একজন মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাঁরা ছয় মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীদের খুবই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। ঠিকমতো খাবার না পেয়ে বাচ্চারা অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঝিনাইদহ সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবাসিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান শিক্ষক, হাউস প্যারেন্ট, সাধারণ শিক্ষক, হিয়ারিং এইড টেকনিশিয়ান ও কারিগরি প্রশিক্ষক পদে কোনো জনবল নেই। এ জন্য অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করাতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। জনবল সংকটের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদের জানান, প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার জন্য তাঁরা সব রকমের চেষ্টা করছেন। পূর্ণাঙ্গভাবে জনবল নিয়োগ দিতে পারলে এই অঞ্চলের প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়েরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে। এ জন্য একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতি মাসে শিক্ষার্থীপ্রতি খাবারের জন্য বরাদ্দ মাত্র তিন হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। তার পরেও এই টাকায় নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাছ, মাংস ও ডিম খাওয়ানো হয়। তবে সব শিক্ষার্থী যদি ভর্তি থাকত তাহলে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে কিছুটা হলেও মানিয়ে নেওয় যেত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>