শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভাঙচুর ও লুটপাটের কারণে জাতীয় সংসদ ভবনের অভ্যন্তর এখনো লণ্ডভণ্ড হয়ে আছে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই ভবনের মধ্যে কোনো দপ্তরেই বসার পরিবেশ নেই। ফলে সংসদ সচিবালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। কখন চালু হবে, তা কেউ বলতে পারছে না।
সংসদ ভবন এখনো লণ্ডভণ্ড
- * কোনো দপ্তরেই বসার পরিবেশ নেই * সংসদ সচিবালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ * স্পিকার নেই, ডেপুটি স্পিকার জেলে, সচিব পদ শূন্য
নিখিল ভদ্র

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে হাজারো ছাত্র-জনতা। এ সময় তারা স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হুইপদের কক্ষসহ ৯ তলা ভবনের প্রায় সব কক্ষ তছনছ করে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সংসদ সচিবালয়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। অফিসের সরঞ্জামগুলো নতুন করে সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে চেয়ার-টেবিল-এসিসহ লুট হওয়া মালপত্র কিছু পাওয়া গেলেও তার বেশির ভাগই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে। ফলে অনেক মালপত্র কেনাকাটার প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কেউ নেই। কারণ সংসদ বহাল না থাকায় চিফ হুইপ ও হুইপদের পদ শূন্য। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু দায়িত্বে থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ৫ আগস্টের পর অফিস করেননি। সর্বশেষ তিনি গত ২ সেপ্টেম্বর স্পিকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আর সংসদ সচিব কে এম আব্দুস সালামকে গত ১৪ আগস্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে কর্মকর্তাদের অনেকেই আতঙ্কে অফিস এলাকায় আসছেন না। কারণ সংসদ সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে সংসদ ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা জাতীয় সংসদ থেকে নিয়মবহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধনও করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধভাবে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অনেককে তাঁরা চাকরি দিয়েছেন। তাঁরা এখন উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে চলে গেছেন। তাঁদের চাকরির কোনো ভিত্তি নেই। অথচ নিময়তান্ত্রিকভাবে চাকরি পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংসদ সচিবালয় থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর

তরুণীকে মারধর
আপন কফি হাউসের কর্মচারীর দায় স্বীকার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় আপন কফি হাউসে তরুণীকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার কর্মচারী শুভ সূত্রধর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে অন্য আসামি ম্যানেজার আল আমিনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত শুভর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ধানমণ্ডির সড়কে চার মাস ধরে চাঁদা আদায় করেন সেই আশরাফুল
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সড়কে প্রাইভেট কার থেকে আশরাফুল আলম (২৩) নামের এক তরুণের চাঁদা আদায়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এর পরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে আশরাফুল আলম পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি ও আরো কয়েকজন সড়কে প্রাইভেট কার ও মোটরবাইক থেকে তিন থেকে চার মাস ধরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিলেন।
গতকাল বুধবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাবেক এমপি ফারুকের ২৮ বিঘা জমি জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর নামে থাকা ২৮ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ৬৮ ব্যাংক হিসাবের চার কোটি ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৭৭ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। এ ছাড়া আরেক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদক পাচার, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলা চলমান। প্রাথমিক তদন্তে বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে আছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে।

সংক্ষিপ্ত
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ভূমিহীন আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি না থাকার কারণে লুটপাট, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম বেড়েই চলেছে। স্থানীয় নাগরিকরা তাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাই অতি দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।