<p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাম্প্রতিক বন্যায় (গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু) দেশের ২৩টি জেলায় ফসল ক্ষতিপ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলোয় মোট তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ দুই লাখ আট হাজার ৫৭৩ হেক্টর। মোট ক্ষতিগ্রস্ত জমির মধ্যে সাত জেলাতেই ক্ষতি হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার হেক্টর। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত জমির ৯০ শতাংশই হলো সাতটি জেলায়। বেশি ক্ষতির শিকার এই সাতটি জেলায় বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় আক্রান্ত ২৩টি জেলার মোট আবাদকৃত ফসলের প্রায় ১৫ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। উৎপাদিত ফসলের ক্ষতির পরিমাণ সাত লাখ ১৪ হাজার ৫১৪ টন। এই ক্ষতির আর্থিক মূল্য প্রায় তিন হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯। যে সাত জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তার মধ্যে ফেনীতে ৩৫ হাজার ৬৭৩ হেক্টর বা মোট জমির প্রায় ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া নোয়াখালীতে ৩৮ হাজার ৪৫৬ হেক্টর বা মোট জমির ৩৭ শতাংশ, কুমিল্লায় ৪৯ হাজার ৬০৮ হেক্টর বা মোট জমির ৩৬ শতাংশ, লক্ষ্মীপুরে ১৫ হাজার ৬২৬ হেক্টর বা মোট জমির ৩৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৩ হাজার ৯৯২ হেক্টর (১৬ শতাংশ), মৌলভীবাজারে ১৫ হাজার ২২২ হেক্টর (১২ শতাংশ) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আপ হাজার ৩২৬ হেক্টর (৩৫ শতাংশ)।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবারের বন্যায় রোপা আমন এক লাখ ৪১ হাজার ৬০৯ হেক্টর, আউশ ৩৮ হাজার ৬৮৯ হেক্টর, বোনা আমন ৭৬৪ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১৪ হাজার ৯০৮ হেক্টর ও শাক-সবজি ১১ হাজার ২৯০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া আদা, হলুদ, আখ, পান, মরিচ, তরমুজ, পেঁপে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, টমেটো ইত্যাদি ফসল এবং ফলবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, বন্যার্তদের পুনর্বাসনে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গৃহীত পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে বন্যা-পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, বন্যায় পুনর্বাসন কর্মসূচি বাবদ ৯ জেলায় রোপা আমন চাষের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আমন ধানের ৪০০ টন বীজ কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। উপকারভোগী কৃষক পরিবারকে ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং নগদ এক হাজার টাকা (মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিং) দেওয়া হচ্ছে। এতে ১০ হাজার ৬৬৭ হেক্টর জমি রোপা আমন চাষের আওতায় আসবে এবং উপকারভোগী কৃষকের সংখ্যা ৮০ হাজার।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>