নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, বরং নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হওয়ার কথা, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এটি নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন করতে হলে নিয়োগ পদ্ধতি বদলাতে হবে, আইন-কানুন পরিবর্তন করতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ : সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে সভাটির আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা সংসদে ১০০টি আসন সংরক্ষিত নারীদের জন্য বরাদ্দ করার প্রস্তাব দিয়েছি, যেন নারীরা বৈষম্যের শিকার না হয়। নারীরা যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকে তাহলে বৈষম্য কমে আসবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ। এ জন্যই নিয়ম-কানুন ও সংস্কার দরকার এবং নতুন আইনের খসড়া দরকার।’ তিনি বলেন, ‘যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের বর্তমান সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবে। নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কারের সুপারিশগুলো যত দ্রুত অধ্যাদেশ আকারে জারি করে কার্যক্রম শুরু করা যায় তত দ্রুত নির্বাচন হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন বা সামগ্রিক পুনর্গঠনের ক্ষমতা যদি আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়ে থাকি, সে ওই ক্ষমতাকে প্রপারলি চর্চা করতে পারছে কি না সে ব্যাপারে কি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কন্সেন্সাস আছে? এই বিষয়গুলো পরিষ্কার না হলে কিন্তু অনেক আলোচনা পণ্ড হয়ে যেতে পারে।’