ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ শাওয়াল ১৪৪৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

তোফাজ্জল হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তোফাজ্জল হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ আদালতের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে আগামী ৪ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত ঢাবি প্রশাসনের পক্ষে মামলার বাদীর নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ।

মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি মর্মে তিনি এ নারাজি দেন। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ রাখেন। তবে ওই দিন তা পিছিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। এর আগে তদন্ত শেষে গত ১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযোগপত্রে উল্লিখিত আসামিরা হলেন ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, হলটির আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম, ফিরোজ কবির, আব্দুস সামাদ, শাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহিল কাফি। তাঁদের মধ্যে প্রথম ছয়জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তোফাজ্জল গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে বঙ্গবাজার এলাকার পার্শ্ববর্তী ফজলুল হক মুসলিম হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান।

তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাঁকে আটক করে হলের অতিথিকক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবার তাঁকে হলের অতিথিকক্ষে এনে ব্যাপকভাবে মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দিনাজপুরে ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
দিনাজপুরে ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

দিনাজপুরের বিরলে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর চার দিন পর মামলা হয়েছে। গতকাল চারজনের নাম উল্লেখসহ আটজনের বিরুদ্ধে বিরল থানায় মামলা করেন তাঁর ছেলে স্বপন চন্দ্র রায়।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের আতিকুর ইসলাম, শহরগ্রামের রতন ইসলাম, নরসিংপাড়ার মুন্না ইসলাম  ও পাঁচশালা গ্রামের রুবেল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আতিকুর, রতন, মুন্না ও রুবেল এলাকার পরিচিত দাদন ব্যবসায়ী।

তাঁদের কাছ থেকে ভবেশ রায় মাসে তিন হাজার ২৫৫ টাকা লাভ দেওয়ার শর্তে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নেন। এরপর প্রতি মাসের লাভের টাকা শোধ করে আসছিলেন তিনি। তবে অভাবের কারণে মূল টাকা শোধ করতে পারেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে আসামিরা ভবেশ রায়কে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান।
আসামিরা ঋণের টাকার জন্য মানসিক চাপ দিতে থাকেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৮টার দিকে আসামি রতন ফোন করে ভবেশের ছেলে স্বপনকে তাঁর অসুস্থতার কথা জানান। এরপর আসামিরা ভবেশকে ফুলবাড়ী বাজারের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান।
পরে স্বপন অ্যাম্বুল্যান্সে ভবেশকে নিয়ে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসক ভবেশকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

মন্তব্য

বাইক কিনে না দেওয়ায় ঘরে আগুন দিল ছেলে

মনোহরদী প্রতিনিধি
মনোহরদী প্রতিনিধি
শেয়ার
বাইক কিনে না দেওয়ায় ঘরে আগুন দিল ছেলে

মোটরসাইকেল কিনে দেননি বাবা। তাই রাগ করে ছেলে নিজেদের ঘরেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। গত রবিবার রাতে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে জুনায়েদ (১৫) এই ঘটনা ঘটায়।

স্থানীয়রা পরে আগুন নেভায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুনায়েদ বাবা কামাল হোসেনের কাছে মোটরসাইকেল দাবি করে আসছিল। রবিবার সকালে এ নিয়ে বাবার সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক হয়। বাবা মোটরসাইকেল কিনে দিতে সম্মত না হলে জুনায়েদ রাগ করে দুপুরে বাড়িতে থাকা পোলট্রি খামারের সামনে আগুন দেয়।
প্রতিবেশী লোকজন আগুন দেওয়ার দৃশ্য দেখে চিৎকার-চেঁচামেছি শুরু করে। তখন জুনায়েদ পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নেভায়। এরপর খবর পেয়ে মনোহরদী থানা পুলিশ কামাল হোসেনের বাড়িতে যায়।
এক পর্যায়ে কামাল তাঁর ছেলে জুনায়েদকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর সারা দিনে বাড়ি ফেরেনি জুনায়েদ। পরে রাত ৯টায় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে আবার পোলট্রি খামারে আগুন দেয় জুনায়েদ।

মন্তব্য

দুই উপদেষ্টার দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
দুই উপদেষ্টার দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে অব্যাহতির বিষয়টি এত দিন সবার মুখে মুখে থাকলেও গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলো।

গত ৮ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে কী কারণে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি অফিস করছেন না। উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তাঁকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। 

তুহিন ফারাবী কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল দলের সদস্য। ৮ এপ্রিল উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সম্মতির ভিত্তিতে ওই তারিখ থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে এপিএস পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

তাদের উভয়ের নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, উপদেষ্টা যত দিন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন অথবা যত দিন তাঁকে এ পদে রাখার ইচ্ছা পোষণ করবেন, তত দিন তিনি এ পদে বহাল থাকবেন।

মন্তব্য
গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে রিকশায় শহর ঘুরানোর ঘটনায় মামলা

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে রিকশায় শহর ঘুরানোর ঘটনায় মামলা

নাটোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে নাটোর থানায় মামলা করা হয়েছে। ছাত্রলীগকর্মী কদরকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর এই মামলা করা হলো।

সোমবার দুপুরে আহত ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরের বাবা খায়রুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় নাটোর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এস এম জোবায়ের, নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রিমন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমসহ অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ওসি মাহবুর রহমান। তিনি বলেন, গতকালই ঘটনাটি নজরে এলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। তবে এখন পর্যন্ত কেউ
গ্রেপ্তার হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এস এম জুবায়ের বলেন, ছাত্রদলের কিছু কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে (কদরকে) মারধর করছিল।

আমি তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দিই।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ