<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খালি হুনছি পানির আর কষ্ট করঅন লাগত না, পৌরসভাই পানির ব্যবস্থা করব। অহন দেহি ফাঁকা বুলি। আগে দেখছি মাডি খুইদ্যা তলে পাইপ বয়াইতে (বসানো), কিন্তু গত ২৭ বছরে কোনোহানো এক ফোডা পানি দেখছি না। সব ভাওতাবাজি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘদিনেও সুপেয় পানি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কথাগুলো বলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার মধ্যবাজারের আইনুল হক নামের এক বাসিন্দা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৌরসভার বাসিন্দাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে দুই প্রকল্পে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে গত ১৯৯৭ ও ২০২০ সালে। তার জন্য দৃশ্যমান করা হয়েছে পাঁচটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা পাম্প হাউস। ২২ কিলোমিটার জুড়ে মাটির নিচে দেওয়া হয়েছে পাইপ। তার দেখভালের দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুজন কর্মচারী। তাঁদের কোনো কাজকর্ম না থাকলেও বহাল তবিয়তে থেকে উত্তোলন করে যাচ্ছেন বেতন-ভাতা। কিন্তু প্রায় ২৭ বছরেও সুপেয় পানির কোনো সুবিধা পাননি পৌরবাসী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৌরসভা থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ক্যাটাগরিভুক্ত পৌরসভা হচ্ছে গৌরীপুর। এই শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে প্রথম ধাপে ব্যয় করা হয় দুই কোটি সাত লাখ ১৩ হাজার ৫৯০ টাকা। আর দ্বিতীয় ধাপে ব্যয় হয় দুই কোটি ৮৬ লাখ সাত হাজার ৯২০ টাকা। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গৌরীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় প্রকল্পটি ২০২০ সালের ২০ জুন গৌরীপুর পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ ছামিউল হক ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নান খান এই প্রকল্পটি গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও পৌরসভার উপপ্রকৌশলী মদন মোহন দাসের কাছে হস্তান্তর করেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে স্থাপিত পাইপলাইন থেকে গৌরীপুর পৌরসভার ভবনেও কোনো পানি সংযোগ পাওয়া যায় না। বিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলেও পৌর এলাকার কেউ এই প্রকল্পের ব্যয়সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানে না। প্রকৌশল অধিদপ্তরও জনসমক্ষে প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রজেক্ট প্রফাইল প্রকাশ করেনি। অভিযোগ রয়েছে, পৌর নাগরিকদের কোনোরূপ অবগতি না করেই গোপনে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। পাম্প হাউসগুলোতে যেসব পরিবার বসবাস করছে, তাঁরাও বিকল্প পানি ব্যবহার করছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গৌরীপুর পৌরসভার উপপ্রকৌশলী মদন মোহন দাস জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ২০০ পরিবারকে পানির সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। দুই প্রকল্পের অধীনে পাঁচটি পাম্প হাউস, প্রতি মাসে যে টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে, তার ১০ ভাগের এক ভাগও আয় আসে না। গ্রাহকরাও এই পানি ব্যবহারে আগ্রহী নয়, ফলে বন্ধ হয়ে যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৌরসভার প্রশাসক (সহকারী কমিশনার ভূমি) সুনন্দা সরকার প্রমা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে অচিরেই তদন্ত কামিটি গঠন করা হবে। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জামাল হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্পের কাজ শেষে স্থানীয় পৌরসভার মেয়রসহ কর্মকর্তাদের কাছে সেটি হস্তান্তর করা হয়। তাঁরা কেন এত বছরেও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পারেননি এই দায় তাঁদের। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>