<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাম্প্রতিক দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে নদীভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, ক্ষেতখামার ও বসতভিটা। দিন দিন বেড়েই চলেছে ভিটামাটি হারানো মানুষের সংখ্যা। দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রা উপজেলার আব্দুস ছালামের  বেড়ে ওঠা। বারবার  নদীভাঙনের কবলে পড়ে সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে কর্মহীন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে জীবিকার সন্ধানে পরিবার ছেড়ে পাড়ি জমান চট্টগামে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বারবার নদীভাঙন এবং লবণাক্ততার কারণে খুলনার কয়রা উপজেলায় আব্দুস ছালামের মতো নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য মানুষ। একই উপজেলার করিম গাজি, শাহানুর গাজি, মতলেব সানা, আব্দুস সামাদ, মোকছেদ তরফদার ভিটামাটি ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছেন।  কেউ যাচ্ছে সাময়িক সময়ের জন্য কাজের খোঁজে; আবার কেউ চলে যাচ্ছে একেবারে বিদায় নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে। মহাসেন, বুলবুল, আম্ফান, ফনি,  রেমাল  তা আরো বাড়িয়ে দিল। এভাবে চলতে থাকায় কৃষিজমি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সবজি চাষ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এসব কারণেই মানুষ দক্ষিণাঞ্চল ছেড়ে অন্য জেলায় চলে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি সংস্থার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে আইলার পর ১৫ বছরে  বিভিন্ন  প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে এ পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ১৮ হাজার পরিবার নিজের বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এদের মধ্যে ১০ শতাংশ এলাকার কাছাকাছি অথবা দূরে উঁচু বাঁধের ঢালে আশ্রয় নিয়েছেন, ৫৭ শতাংশ দেশের বিভিন্ন শহরে, বাকি ৩৩ শতাংশ মানুষ পাশের দেশ ভারতে চলে গেছেন। কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম  জানান, বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে  শুধু একটি ওয়ার্ড থেকে ১১৮টি পরিবার উদ্ধার হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত প্রায় ১০০ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু হুরাইরা খোকন জানিয়েছেন, সুপার সাইক্লোন আম্ফানে তাঁর ওয়ার্ডের ২০০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীভাঙনে চলে গেছে। এসব পরিবারের বেশির ভাগ এখন এলাকা ছাড়ার চিন্তা করছে। মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়েছে ইউনিয়নটিতে এ রকম পরিবারের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দশহালিয়া ও পূর্ব মঠবাড়ি গ্রাম। এ গ্রাম দুটির বেশির ভাগ মানুষ তাদের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি হারিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">  কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলি বিশ্বাস বলেন, এলাকাটি দুর্যোগপ্রবণ হওয়ায় প্রতিবছর নদীভাঙনে অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারায়।</span></span></span></span></p> <p> </p>