উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শিক্ষা সনদ, নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন লালমাই সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। একটি সাদা খাতায় লিখে কলেজটির অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই টাকা নেন। টাকা গ্রহণের একাধিক ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হতে গত রবিবার সকালে কলেজের অফিসে গেলে একই চিত্র দেখা যায়।
অফিস সহকারী প্রকাশ্যেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বকশিশের নামে টাকা গ্রহণ করছেন। টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রসিদ না দিলেও অধ্যক্ষকে হিসাব দেওয়ার সুবিধার্থে তিনি একটি সাদা খাতায় শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ও টাকার পরিমাণ লিখে রাখছেন। সেই খাতায় গত সাত দিনের হিসাব রয়েছে। এদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী থেকে ৩০০, দুইজন শিক্ষার্থী থেকে ২০০ ও চারজন শিক্ষার্থী থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারির হিসাবে ছয়জন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজন থেকে ৩০০ ও দুজন থেকে ২০০ টাকা করে এবং দুজন থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর শিক্ষা সনদ, নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র পাওয়া আমাদের অধিকার। কিন্তু এসব পেতে আমাদের টাকা দিতে হয়।’
অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি রসিদবিহীন কোনো টাকা নিই না।
কিছু কিছু নিই, এগুলো হলো আনসিন। এগুলো সারা বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজে নেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাছানাত মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নওয়াব ফয়েজুন্নেছা সরকারি কলেজ, এটা শত বছরের সংস্কৃতি। চাইলেই বাদ দেওয়া যাবে না।’