<p>অস্ট্রিয়ার স্বপ্নদৌড় থামিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে তুরস্ক। ২০০৮ সালের পর প্রথমবার তারা পার হলো শেষ ষোলোর গণ্ডি। শনিবার বার্লিনের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে তুরস্ক। ডাচরা ৩-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়ামকে। জার্মানির মাঠে দারুণ সময় কাটছিল অস্ট্রিয়ার। ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের মতো দলকে পেছনে ফেলে গ্রুপসেরা হয়ে তারা টিকিট কেটেছিল শেষ ষোলোর। গত মার্চে এই তুরস্ককে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করার সুখস্মৃতিও সঙ্গী ছিল রালফ রাংনিকের দলের। লিপজিগের ম্যাচেও তারা লড়েও গেছে শেষ পর্যন্ত। কিন্তু ফুটবল দেবতা হয়তো তাদের প্রতি এদিন সুপ্রসন্ন ছিলেন না। ফুটবলের বড় আসরে নক আউটে ম্যাচ জেতার দীর্ঘ ৭০ বছরের আক্ষেপ এবারও ঘুচাতে পারল না অস্ট্রিয়া।</p> <p><img alt="কোয়ার্টার ফাইনাল" height="323" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/07.July/04-07-2024/Slp/kalerkantho-OA-4A.jpg" style="float:left" width="250" />লিপজিগের আকর্ষণীয় দ্বৈরথে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তুর্কিরা। ভিনসেনজো মনতেল্লার দলের হয়ে দুটি গোলই করেছেন মেরিহ ডেমিরাল। খেলার প্রথম মিনিটেই বল জালে জড়িয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়ে বিরতির পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন রক্ষণভাগের এই সেনানী। ১৬ বছর পর আবার ইউরোর শেষ আটে উঠল তুরস্ক। স্বভাবত উত্ফুল্ল কোচ ভিনসেনজো মনতেল্লা, ‘সত্যিকার অর্থে এটা ইতিহাস গড়া এক জয়। জয়ের মানদণ্ডে আমরা ২০০৮ সালের সাফল্যকে ছুঁয়েছি। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি।’</p> <p>দুই গোল হজম করে তা গোলে জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে একটি শোধও দিয়েছিল অস্ট্রিয়া। তুর্কি গোলরক্ষক মার্ট গুনক ম্যাচের শেষ মুহূর্তে অসাধারণ ‘সেভ’ না করলে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াত, তাতে ভাগ্যবদলও হতে পারত ম্যাচের! তুরস্কের বক্সের ভেতরে খুব কাছ থেকে হেড করেন ক্রিস্টফ বমগার্টনার। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় বল আটকে দেন গুনক। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রিয়ার স্বপ্নিল পথচলারও তাতে সমাপ্তি ঘটে। তুরস্কের কাছে হারের পর কোচ রালফ রাংনিক বলছিলেন, ‘আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, এটা বিশ্বাসই হচ্ছে না! আমরা ভেবেছিলাম আমাদের ভ্রমণ চলতে থাকবে।’ <strong>এএফপি </strong></p>