<p>বরগুনার আমতলীতে চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপির উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব তুহিন মৃধাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চলাভাঙ্গা গ্রামের মুদি দোকানদার হুমায়ুন কবির মিল্টন বাদী হয়ে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।</p> <p>মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ধারালো দা, রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে গিয়ে মিল্টনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তুহিন। মিল্টন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা তাকে ব্যাপক মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে তিন লাখ টাকার মাল লুট করেন তুহিন ও তার সহযোগীরা। ওই সময় দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙে দুই লাখ টাকাও নিয়ে যায় হামলাকারীরা। </p> <p>বাকি আসামিরা হলেন আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিমু আকন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল আকন, উপজেলা যুবদলের ১ নম্বর সদস্য সামসু চৌকিদার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান রাকিব।</p> <p>আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আমতলী থানাকে এজহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।</p> <p>চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন বলেন, ‘চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, মালামাল ও নগদ টাকা লুট কোনোটিই আমি করিনি। উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরের নেতৃত্বে তার ছেলে রাহাত ফকির খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি করেছিলেন। আমি তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এ জন্য জালাল ফকির আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার নিজের লোক দিয়ে আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা করেছে।’ </p> <p>সাজানো মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চেক করলেই দোকান ভাঙচুরের আসল রহস্য বের হবে। </p> <p>উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাতজন আহত হন। </p> <p>আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন, ‘আদালতের আদেশ আমরা এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>