<p>শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল উপশহরে বরাদ্দ দেওয়া প্লটসহ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সব অবৈধ বরাদ্দ বাতিলের নির্দশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এই রিট করেন।</p> <p>বরাদ্দ বাতিলের নির্দশনা চাওয়ার পাশাপাশি বরাদ্দের সঙ্গে জড়িত ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া এবং বরাদ্দসংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করতে হাইকোর্টের সাবেক একজন বিচারপতিকে প্রধান করে তিন সদস্যর কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।</p> <p>সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দীন আবেদনকারীদের পক্ষে এই রিট করেন। রিট আবেদনকারী আইনজীবী হলেন মো. রেজাউল ইসলাম, আল রেজা মো. আমির, মো. গোলাম কিবরিয়া, মোহাম্মদ হারুন, মো. বেলায়েত হোসেন সোজা, কামরুল ইসলাম রিগান, হাসান মাহমুদ খান, শাহীনুর রহমান শাহীন ও মো. জিল্লুর রহমান।</p> <p>তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, রাজউকের আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামেও। এ ছাড়া প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকায় আছেন হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলে-মেয়ে। ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি ‘রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না।</p> <p>শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, পূর্বাচলে প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনে ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রোডে শেখ হাসিনার প্লট নম্বর ০০৯। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট বরাদ্দপত্র ইস্যু করে রাজউক। শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমণ্ডির ৫৪ সুধা সদনের ঠিকানায় বরাদ্দপত্র পাঠানো হয়।</p> <p>রিটে আবেদনে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, পূর্বাচল প্রকল্প পরিচালক, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেজওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিক রুপান্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।</p>