পটুয়াখালীর বাউফলে এক হত্যা মামলায় ২৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এনামুল করিম এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেমের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২৭), আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে তোফায়েল সরদার (৩৯), জালাল সরদারের ছেলে মো. শামীম সরদার (৩৫), সেকান্দার সরদারের ছেলে এলমাছ সরদার (৩৪), গেদু সরদারের ছেলে মো. সোহরাব সরদার (৪৭), আব্দুর কাদের মল্লিকের ছেলে মো. নাঈম মল্লিক (৫৭), আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৪২), জয়নাল সরদারের ছেলে মুসা সরদার (৩২) ও সামসু সরদার (৩৪), চারু সরদারের ছেলে মাওলা সরদার (৩৯) ও ইউসুফ সরদার (৩৭), সামসুল হকের ছেলে ফরিদ আহম্মেদ (৬১), আ. খালেকের ছেলে জসিম সরদার (৪১), ছোবহান হাওলাদারের ছেলে বাবলু (৪৫)।
আরো পড়ুন
ঢাকাসহ ১২ জেলায় রাতে ঝড়ের আভাস
বাকিরা হলেন মো. কাদের তালুকদারের ছেলে মো. ডালিম তালুকদার (৩১), মৃত হাসেম আলী সিকদারের ছেলে মো. ফিরোজ সিকদার (৪৩), হারুন গাজীর ছেলে হাসান গাজী (৩২), মৃত গেদু সরদারের ছেলে সেকান্দার সরদার (৫৭), মাতাহার মাস্টারের ছেলে মো. জামাল (৩৫), চুন্নু মিয়ার ছেলে শামীম হাওলাদার (২৮), আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুল (৫২), ছত্তার সরদারের ছেলে মন্টু সরদার (৩৫) এবং শিরু সরদারের ছেলে মো. দুলাল সরদার ওরফে ভয় (৪৫)।
সাজাপ্রাপ্তরা সবাই বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিকের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। ওই হামলায় সোহেলের বাবা আব্দুল ওহাব মল্লিক গুরুতর আহত হন। পরদিন ২১ মার্চ তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।
আরো পড়ুন
ক্যারাম খেলা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২০
এ ঘটনায় সোহেল বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালে মামলার চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সাত বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামলার বাদী বলেন, ‘আমার বাবার হত্যার দীর্ঘদিন পর আমরা ন্যায়বিচার পেলাম।
এখন আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।’
আরো পড়ুন
পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যায় নারী
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফরিদ হোসেন বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে কোনো অপরাধীই আইনের হাত থেকে রেহাই পায় না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
আসামিদের পরিবারের সদস্যরা এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ এবং উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়ে বলেন, ‘এই রায় একপেশে ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। প্রকৃত অপরাধীরা আজও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
আরো পড়ুন
বন্ধ হোক সব চিড়িয়াখানা নামক জেলখানা—আহ্বান জয়া আহসানের