আটা-কিশমিশ-খেজুর-পনির—কী দিয়ে ফিতরা দেবেন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আটা-কিশমিশ-খেজুর-পনির—কী দিয়ে ফিতরা দেবেন?
সংগৃহীত ছবি

এবারের ঈদুল ফিতরে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮০৫ টাকা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ফিতরার এই পরিমাণ চূড়ান্ত করা হয়।

ইসলাম ধর্মে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফিতরা আদায় করা বাধ্যতামূলক।

ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি পণ্যের বাজার দরের ভিত্তিতে। এগুলো হলো আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির। ফিতরা আদায়ের জন্য এই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি বেছে নেওয়া যায়।

ফিতরার পরিমাণ

আটা দিয়ে ফিতরা : এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১১০ টাকা।

যব দিয়ে ফিতরা : তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৫৩০ টাকা।

খেজুর দিয়ে ফিতরা : তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা।

কিশমিশ দিয়ে ফিতরা : তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য এক হাজার ৯৮০ টাকা।

পনির দিয়ে ফিতরা : তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ৮০৫ টাকা।

দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতরা আদায় করতে পারবেন।

ফিতরার তাৎপর্য

ফিতরা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে আদায় করতে হয়। এটি গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ পৌঁছে দেয়। ফিতরা আদায়ের মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ জোরদার হয়।

কী দিয়ে ফিতরা দেবেন?

আপনি যদি আটা দিয়ে ফিতরা দিতে চান, তাহলে এক কেজি ৬৫০ গ্রাম আটা বা এর বাজারমূল্য ১১০ টাকা দিতে পারেন। আবার যদি খেজুর বা কিশমিশ দিয়ে ফিতরা দিতে চান, তাহলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম খেজুর বা কিশমিশ অথবা এর বাজারমূল্য আদায় করতে পারেন। পনির দিয়ে ফিতরা দিতে চাইলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম পনির বা দুই হাজার ৮০৫ টাকা দিতে হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রশ্ন-উত্তর

ফজরে ৪০ আয়াত পড়া কি বাধ্যতামূলক?

ইসলামী জীবন ডেক্স
ইসলামী জীবন ডেক্স
শেয়ার
ফজরে ৪০ আয়াত পড়া কি বাধ্যতামূলক?
প্রতীকী ছবি

প্রশ্ন : কেউ যদি ফজরের নামাজে উভয় রাকাত মিলিয়ে ৪০ আয়াত পরিমাণ পড়তে না পারে, তাহলে তার বিধান কী?

-মুসা, নারায়ণগঞ্জ

উত্তর : ফজরের নামাজে ৪০ আয়াত পড়া সুন্নত। কিন্তু কেউ যদি তা পড়তে না পারে, এতে নামাজে কোনো অসুবিধা হবে না এবং নামাজ মাকরুহও হবে না। (রদ্দুল মুহতার : ১/৪৯২, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৬/৩৩৪)

সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ বসুন্ধরা, ঢাকা

মন্তব্য

১৫ বছর না হলে যাওয়া যাবে না হজে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১৫ বছর না হলে যাওয়া যাবে না হজে
সংগৃহীত ছবি

এ বছরের হজ মৌসুমে পবিত্র হজ পালনের জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে সৌদি আরব সরকার। ২০২৫ সালের হজ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। শিশুদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১২ মার্চ) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২৫ (১৪৪৬ হিজরি) সনের হজ মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে এই ন্যূনতম বয়সসীমা বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর থাকবে।

যেসব আগ্রহী হজযাত্রী নিবন্ধন করতে চান, তাদের পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম তারিখ যাচাই করা হবে।

তবে ১৫ বছর বয়সী নিবন্ধিত শিশু হজযাত্রী এবং তার সঙ্গে গমনকারী অভিভাবক হজযাত্রীর ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যদি কোনো কারণে শিশু হজযাত্রী বা তার অভিভাবক হজে যেতে না পারেন, তবে প্রাক-নিবন্ধিত অন্য কোনো ব্যক্তি তাদের স্থানে প্রতিস্থাপনের সুযোগ পাবেন।

সৌদি সরকারের এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী কেউ হজ পালনের অনুমতি পাবে না।

হজযাত্রার প্রস্তুতি নেওয়া সব মুসল্লির জন্য এই নীতিমালা সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়

মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
শেয়ার
রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল ছিল নামাজ। তিনি নামাজে প্রশান্তি খুঁজে পেতেন। নামাজের মাধ্যমে তিনি জীবনের সব সংকটের সমাধান খুঁজতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজকে আমার চোখের প্রশান্তি করা হয়েছে।

’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩৯৫০)

ফরজ নামাজের পর শেষ রাতের নামাজ তথা তাহাজ্জুদ ছিল মহানবী (সা.)-এর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তিনি বলেন, ‘রমজানের রোজার পর সবচেয়ে উত্তম রোজা মহররমের। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম হলো রাতের নামাজ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাহাজ্জুদের নামাজে দাঁড়ালে আল্লাহর গভীর ধ্যানে নিমজ্জিত হতেন।

এমনকি নিজের শরীরের প্রতিও কোনো ভ্রুক্ষেপ থাকত না। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) রাতে নামাজ আদায় করতেন, এমনকি তার পা ফুলে যেত। আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি এত কষ্ট করেন কেন? অথচ আল্লাহ আপনার পূর্বাপরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না?’ (বুখারি, হাদিস : ৪৮৩৭)

তাহাজ্জুদের প্রতি রাসুল (সা.)-এর তীব্র আকর্ষণ বিবৃত হয়েছে পবিত্র কোরআনেও।

তিনি সারা রাত তাহাজ্জুদে কাটিয়ে দিতেন। তাই আল্লাহ তাআলা পরম মমতায় বলেছেন, ‘হে চাদরাবৃত! আপনি রাতের সামান্য অংশে জাগরণ করুন। অর্ধরাত বা তার চেয়ে কম অথবা (সামান্য) বেশি। আপনি কোরআন তিলাওয়াত করুন ধীরস্থিরভাবে।’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ১-৪)

রমজানে তাহাজ্জুদের প্রতি মহানবী (সা.)-এর আকর্ষণ আরো বেড়ে যেত।

তিনি রমজানে অধিক পরিমাণ তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন, বিশেষত রমজানের শেষ দশকে তিনি ইতিকাফ করতেন এবং রাত জাগরণ করতেন। এ সময় তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও রাতে আমলের জন্য ডেকে দিতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.) রাত জেগে ইবাদত করতেন, তাঁর পরিবারকে ডেকে দিতেন এবং লুঙ্গি শক্ত করে বেঁধে নিতেন।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)

সাহাবা কিরাম (রা.)ও তাহাজ্জুদ আদায়ে প্রলুব্ধ ছিলেন। রমজানে তাঁদের এ আগ্রহ আরো বহু গুণ বেড়ে যেত। যেমন আবু হুরায়রা (রা.)-এর ঘরে পালাক্রমে সারা রাত আল্লাহর ইবাদত করা হতো। আল্লাহ তাআলা কোরআনের একাধিক স্থানে সাহাবায়ে কিরামের তাহাজ্জুদ আদায়ের প্রসংশা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা রাতের খুব সামান্য অংশই ঘুমাত এবং শেষ রাতে তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৭-১৮)

সাধারণত রাসুলুল্লাহ (সা.) তাহাজ্জুদ ছেড়ে দিতেন না এবং তিনি ছেড়ে দেওয়া পছন্দও করতেন না। আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হে আবদুল্লাহ! অমুকের মতো হয়ো না। সে তাহাজ্জুদ আদায় করত। অতঃপর তাহাজ্জুদের নামাজ ছেড়ে দিয়েছে।’ (রিয়াদুস সালিহিন)

আসুন! তাহাজ্জুদের নামাজের অভ্যাস করি। সারা বছর যারা তাহাজ্জুদ আদায় করতে পারি না; অন্তত রমজান মাসে নিজে তাহাজ্জুদ আদায় করি এবং নিজের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবকে তাহাজ্জুদ আদায়ে অভ্যস্ত করি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।

মন্তব্য
প্রতিদিনের আমল

নেক সন্তান লাভে নবী-রাসুলদের দোয়া

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
নেক সন্তান লাভে নবী-রাসুলদের দোয়া

সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নেয়ামত। পবিত্র কোরআনে নবী-রাসুলদের সন্তান লাভের দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সুসন্তান চেয়ে মহান আল্লাহর কাছে ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়াটি ছিল-

رَبِّ هَبۡ لِیۡ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ

উচ্চারণ: রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন। 

অর্থ : হে আমার রব, আমাকে সৎসন্তানদের একজন দান করুন।

(সুরা সাফফাত, আয়াত : ১০০)

জাকারিয়া (আ.) বৃদ্ধ বয়সে নেক সন্তানের জন্য দোয়া করেছেন। অন্য আয়াতে তাঁর দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে। তা হলো- 

رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَ أَنْتَ خَيْرُ الْوَرِثِينَ

উচ্চারণ : রাব্বি লা তাজারনি ফারদান ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসিন। 

অর্থ: হে আমার রব, আমাকে একা ছেড়ে দেবেন না।

আপনি সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৮৯)অন্য আয়াতে
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ