ছাত্রদের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ছাত্রদের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
সংগৃহীত ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, আন্দোলনে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে গিয়েছিল, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সেই আন্দোলনকে এক দফায় পরিণত করে। কিন্তু নতুন সংগঠনের কমিটিতে ঢাবি শিক্ষার্থীরাই পদ ভাগাভাগি করেছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি এবং হট্টগোলের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম নাহিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলনকে এক দফায় ত্বরান্বিত করেছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিন্তু আজকে নতুন ছাত্রসংগঠনের কমিটিতে কোনো বেসরকারি শিক্ষার্থীকেই রাখা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে আমরা মধুর ক্যান্টিনে যাই, সে সময় কতিপয় শিক্ষার্থী আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তো এবং একটু সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই প্রত্যয় নিয়ে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইতিহাস গড়তে পারতো। কিন্তু তারা আজকে কমিটি প্রকাশের মাধ্যমে ঐতিহাসিক পরাজয় বরণ করেছে।

নাহিদ বলেন, তারা সংগঠনের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, তাদের এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমরা কেউ বাংলাদেশকে দেখতে পাই না। আমরা শুধু এই সংগঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই দেখতে পেয়েছি। আমরা দেখছি কমিটির সুপার সিক্সের ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, বাকি একজন সম্ভবত জাহাঙ্গীরনগরের। এই কমিটিতে প্রাইভেট নেই, জগন্নাথ নেই, কোনো মাদরাসাও নেই। 

হাতাহাতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো মারামারি বা মার খেতে যাইনি।

আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আন্দোলনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক চাইতে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দিয়ে যে কমিটি ঘোষণা হয়েছে, আমরা সেটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। একইসঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছি, তাদের এই কমিটিতে কোনো পদেই আমরা আর অংশগ্রহণ করব না। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রতিবাদ মিছিল থেকে যারা লুটপাট করেছে তারা মানবতার কলঙ্ক : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রতিবাদ মিছিল থেকে যারা লুটপাট করেছে তারা মানবতার কলঙ্ক : দুদু
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘গতকাল সোমবার সারা বিশ্ব ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশও ঘৃণা প্রকাশ করেছে। আমাদের দেশের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী, কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণ এবং লুটপাট করেছে। এটা ঘৃণ্য ব্যাপার, সমর্থনযোগ্য নয়।

যারা এটা করেছে, তারা মানবতার কলঙ্ক।’ 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।

আরো পড়ুন
পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যায় নারী

পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যায় নারী

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘জাতিগতভাবে আমাদের যে গৌরব, আমাদের অহংকার করার মতো যে মুক্তিযুদ্ধ, মানবতার সপক্ষে যে প্রতিবাদ, সেটাকে তারা কলঙ্কিত করেছে।

আগামীতে এই লুটপাটকারী, দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

ফিলিস্তিন রক্ষায় সারা বিশ্বের মুসলমানদের এক হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতি, মুসলিম জাতি, ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা প্রত্যাশা করি, তারা কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমার মনে হয় এটা পরিহার করে সারা বিশ্বের সঙ্গে এই মানবতার স্বপক্ষে আমাদের দাঁড়াতে হবে।

এই মানবতার রক্ষা যদি আমরা না করতে পারি, তাহলে হযরত মোহাম্মদ (স.) এর প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা সেটাও প্রশ্নের মধ্যে পড়ে যাবে।

দুদু বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবতা সনদের স্বাক্ষরকারী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ। যেকোনো মানবতাবিরোধী দেশ, জাতি, গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান থাকবে। আমরা সশস্ত্র সংগ্রাম এবং লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের মাতৃভূমি পেয়েছি। ৭১ সালের আমাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা করেছিল পাকিস্তান।

আমাদের বিরুদ্ধে তারা নির্মম নির্যাতন করেছিল। গণহত্যা কি সেটা বাঙালি জাতি জানে। গণহত্যা কত নির্মম, ভয়ংকর সেটা জাতি ও দেশ হিসেবে আমরা জানি। এমনকি ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি, তৎকালীন গায়ের জোরে প্রধানমন্ত্রী দাবিদার শেখ হাসিনা কিভাবে মানবতাবিরোধী ভূমিকা নিয়েছিলেন। একটা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার রক্ত যখন রাজপথে রঞ্জিত হয়েছে, তখন সে পালাতে বাধ্য হয়েছে। সে কারণে যেকোনো দেশের গণহত্যাবিরোধী ভূমিকায় বাঙালি জাতি, বাংলাদেশিরা তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করে।

আরো পড়ুন
মিথ্যা তথ্য প্রচার, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির

মিথ্যা তথ্য প্রচার, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির

 

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ফিলিস্তিনির পক্ষে ছিলেন। ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছেন। বিএনপি আগেও ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছে এখনো দেয়।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাবেক এমপি শামীম কায়সার লিংকন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

মন্তব্য

মিথ্যা তথ্য প্রচার, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মিথ্যা তথ্য প্রচার, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির
সংগৃহীত ছবি

মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশের ঘটনায় প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

আরো পড়ুন
‘জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’

‘জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’

 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে’—এই শিরোনামে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ঈদের আগে চাঁদা না পেয়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে সড়কে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে ভুক্তভোগী তাঁর বক্তব্যে অভিযুক্তদের ছাত্রশিবিরকর্মী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ না করে একপাক্ষিকভাবে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।

তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি, প্রথম আলোর মতো একটি প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম এ ধরনের একপাক্ষিক, যাচাইবিহীন এবং মনগড়া প্রতিবেদন দুর্ঘটনাবশত করেছে—এমনটি বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।

বরং এটি স্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড এবং ইতিবাচক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। একই সাথে, প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এই ধরনের মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশের সুযোগ দিয়েছে। আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের এই দায়িত্বহীন, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ছাড়া আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ওই ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইতিপূর্বে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরকে নিয়ে একাধিক মনগড়া ও হাস্যকর শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেমন—‘শিবিরের কমিটিতে পূজা চেরী, যা বললেন নায়িকা!’,  ‘২৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ‘শিবির নাছির’। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী।

শিবিরের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির কাছে একটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ সংগঠনের অর্থায়নের সুনির্দিষ্ট পন্থা তার গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

জনশক্তি ও শুভানুধ্যায়ীদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানে ছাত্রশিবিরের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে একটি অসাধু মহল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে এবং পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ওই প্রতিবেদন তারই অংশ বলে আমরা মনে করি।’

তারা বলেন, ‘আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকতার পেশাগত শিষ্টাচার মেনে অবিলম্বে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার, দুঃখ প্রকাশ এবং সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাই। অন্যথায় আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’
ফাইল ছবি

‘জামায়াত-শিবির কখনো চাঁদাবাজি ও দখলবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য’ উল্লেখ করে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটির নরসিংদী জেলা শাখা।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) নরসিংদী জেলা জামায়াতের আমির মোছলেহুদ্দীন এবং সেক্রেটারি মো. আমজাদ হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ৭ এপ্রিল সোমবার জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও নিখাদ নিউজ পোর্টালসহ কতিপয় সোশ্যাল মিডিয়ায় জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাই।

আরো পড়ুন
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

 

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, প্রথম আলোসহ কতিপয় নিউজ পোর্টালে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, তা যথার্থ নয়। বাস্তবে ছাত্রশিবিরের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত নন।

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীলের বক্তব্য না নিয়ে একপক্ষীয়ভাবে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। 

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মাধবদী শাখা ব্যবস্থাপক আবু সাইদ তার বক্তব্যে বলেছেন, বেশ কিছুসংখ্যক খেলাপি গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করায় এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে তার আশঙ্কা। অথচ তিনি যার নাম বলেছেন, তিনি ব্যাংকের বিনিয়োগ গ্রাহক নন। 

তারা বলেন, ‘জামায়াত-শিবির কখনো চাঁদাবাজি ও দখলবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য।

একপক্ষীয়ভাবে ব্যাংক ম্যানেজার মিডিয়ার সামনে জামায়াত শিবিরের সুনাম সুখ্যাতি ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে জামায়াত-শিবিরের প্রতি তিনি বিষোদগার করেছেন। আমরা তার এই অন্যায় ও অনভিপ্রেত বক্তব্যের নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং অনতিবিলম্বে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করার জন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সংগঠনের ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মৎস্য ভবন ও জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

আরো পড়ুন
ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯

ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯

 

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, ছাত্রঅধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও ঢাকাস্থ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর শাখার সভাপতি, সেক্রেটারিসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ