পেঁয়াজের পর বাড়তি দামে চাল, ডাল, তেল

রোকন মাহমুদ
রোকন মাহমুদ
শেয়ার
পেঁয়াজের পর বাড়তি দামে চাল, ডাল, তেল

চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে পেঁয়াজের অযৌক্তিক দ্বিগুণ দাম ভোক্তার ঘাড়ে। সেই বোঝা এখনো নামেনি। তার ওপর আবার বেড়েছে চাল, ডাল ও তেলের দাম। গত এক সপ্তাহে কেজিতে ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে কোনো কোনো চালের দাম।

ভোজ্য তেল সয়াবিনে বেড়েছে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। মসুর ডালে সপ্তাহের ব্যবধানে ভোক্তাদের বাড়তি গুনতে হচ্ছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। প্রয়োজনীয় এসব নিত্যপণ্যের দামে নাকাল ভোক্তা। অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চারটি পণ্যই ভর্তুকি মূল্যে খোলাবাজারে বিক্রি করছে সরকার।

ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, সংকটের কথা বলে একশ্রেণির ব্যবসায়ী এসব পণ্যের বাজার থেকে ফায়দা নিচ্ছেন। বহুদিন ধরে এসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান জোরদার করার দাবি জানিয়েছে তারা।

গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে মোটা চাল গুটি ও স্বর্ণা ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেও এসব চালের কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা ছিল। বিক্রেতারা বলছেন, মোটা চাল এখন আড়তে খুব একটা পাওয়া যায় না। দু-একটিতে বিক্রি হলেও দাম বেশি।

বাজারে মাঝারি মানের চাল লতা, পাইজাম ও ব্রি-২৮ খুচরা বিক্রেতারা ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি করছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫-৪৬ টাকা। সরু চাল সাধারণ মানের মিনিকেটের কেজি ৫৮-৬০ টাকায় পৌঁছেছে, যা ছিল ৫২-৫৪ টাকা।

যে মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল আগে ৫৫-৬০ টাকা কেজি ছিল, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।

ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, দেশে ২০১৭ সালে হাওরে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর চালের দাম  অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। তখন মোটা চালের কেজি ৫০ টাকায় উঠেছিল। তারপর এ বছরই চালের দাম এতটা বেশি।

মুগদা বাজারের মেসার্স মরিয়ম স্টোরের বিক্রেতা আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চালের বাজার তিন-চার দিন আগে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে। পাইকারি বাজারে বাড়তি হওয়ায় আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয় গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে। ওই দিন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে দেশে রাতারাতি দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ কেজি ১০০ টাকা করে ফেলেন ব্যবসায়ীরা। গতকালও খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। পাইকারিতে গতকাল আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরো পাঁচ টাকা বেড়ে ৬৫-৭০ টাকায় উঠেছে। ১০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪৫ টাকা পর্যন্ত।

খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৩ টাকা লিটার। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮৫-৮৮ টাকায়। অর্থাৎ লিটারে বেড়েছে পাঁচ টাকা। পাম সুপার তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা লিটার। আগে ছিল ৭৫-৮০ টাকা।

মসুর ডালের দামও বেড়েছে চলতি সপ্তাহে। গত সপ্তাহে খুচরায় মাঝারি দানার ডাল কেজি ৯০ টাকায় আটকে রাখা গিয়েছিল। এখন ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। কারওয়ান বাজার ও মৌলভীবাজারে গতকাল পাইকারিতে এ মানের ডাল বিক্রি হয়েছে ৭৬-৭৮ টাকা কেজি দরে, যা আগের দিনও ৬৯-৭২ টাকা ছিল। বড় দানার মসুর ডালের দামও পাইকারি বাজারে চলতি সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে চার টাকা পর্যন্ত। ৫৮-৬০ টাকা কেজির ডাল এখন ৬২-৬৩ টাকা। বড় দানার ডাল কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা পর্যন্ত। আগে ৬৫-৭০ টাকায় পাওয়া যেত।

এভাবে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, যেসব দেশ থেকে ডাল আসে সেসব দেশে করোনার প্রভাব অনেক বেশি। ফলে তাদের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এতে দামও বাড়ছে। এই অবস্থা তেলের বাজারেও।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এনডিবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এনডিবি
এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির কাজবেকভ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) চলতি বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে ঋণ সহায়তা এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার কথা জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ভ্লাদিমির কাজবেকভ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় ভ্লাদিমির কাজবেকভ জানান, সম্প্রসারিত ঢাকা সিটি ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে এনডিবি। এ বছর বাংলাদেশের উন্নয়নের চাহিদা বিবেচনা করে এই তহবিলের পরিমাণ তিন গুণেরও বেশি করতে চায় তারা।

প্রধান উপদেষ্টা বহুপক্ষীয় ঋণদাতা সংস্থাটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নীতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।’

কাজবেকভ জানান, এনডিবি বাংলাদেশে গ্যাস খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ঋণ প্রদানে আগ্রহী তারা।

বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনৈতিক অঞ্চলে হাজার হাজার কর্মীর জন্য আবাসন সুবিধার মতো সামাজিক অবকাঠামোতে ঋণ দেওয়ার ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা।

কাজবেকভ বলেন, ‘ব্যাংকটি বহু-মুদ্রা ঋণ চালু করেছে। যা বাংলাদেশকে উপকৃত করবে।’

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এনডিবির উচিত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে অর্থায়নের সমন্বয় সাধনের জন্য বাংলাদেশের ওপর দেশীয় কৌশল কর্মসূচি চালু করার প্রতি মনোনিবেশ করা।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

দেশের বাজারে কমল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশের বাজারে কমল সোনার দাম

দেশের বাজারে কিছুটা কমেছে সোনার দাম। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে এক হাজার ২৪৮ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকায়। আগামীকাল বুধবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

আরো পড়ুন
অবশেষে কী সিদ্ধান্ত হলো সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে?

অবশেষে কী সিদ্ধান্ত হলো সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে?

 

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
শাওয়াল মাসের বিয়ে প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) যা বলেছেন

শাওয়াল মাসের বিয়ে প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) যা বলেছেন

 

অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অবশেষে কী সিদ্ধান্ত হলো সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অবশেষে কী সিদ্ধান্ত হলো সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে?

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আজ মঙ্গলবার ও গত রবিবার দুই দিন বৈঠক করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তাই আগামীকাল বুধবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে আবারও বৈঠক ডেকেছেন তিনি। ওই বৈঠকের পরই জানা যাবে কত দাম বাড়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা করে বাড়াতে চায় কম্পানিগুলো। বিষয়টি গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। ১ এপ্রিল থেকেই তারা নতুন দর কার্যকর করতে চেয়েছিল।

আরো পড়ুন
পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যায় নারী

পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যান নারী

 

বাণিজ্য উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খানের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ও ভোজ্য তেল পরিশোধন কারখানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রগুলো জানায়, কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়েছে, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত মাসে। দাম বাড়াতে চাওয়ার মূল কারণ এটাই। তবে রেয়াত সুবিধা বজায় থাকলে দাম বাড়াতে চান না তারা।

এদিকে কর রেয়াতের সুবিধা বহাল রাখার বাস্তবতায় এনবিআর নেই বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ধারণা পেয়েছে।

এ কারণেই এবারের রোজার মাঝামাঝি সময়ে ট্যারিফ কমিশন ভোজ্য তেলে আমদানি পর্যায়ের শুল্ক-কর রেয়াতের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ করে এনবিআরকে চিঠি দেয়। কিন্তু এনবিআর এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ২৭ মার্চ ট্যারিফ কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা করার প্রস্তাব দেয় পরিশোধন কারখানার মালিকদের সংগঠন। সে হিসেবে লিটারে ১৮ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আর পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৩৫ টাকা।

আরো পড়ুন
পুরুষকে বেঁধে নারী এনজিওকর্মীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ওসি বদলি

পুরুষকে বেঁধে নারী এনজিওকর্মীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ওসি বদলি

 

একইভাবে খোলা সয়াবিন ও খোলা পাম তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৭০ টাকা। বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দাম লিটারপ্রতি ১৫৭ টাকা। এ হিসাবে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ থেকে ১৭৬ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮৪৫ থেকে ৮৫০ টাকা। আর এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ থেকে ১৬৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেলের দাম ১৪৪ থেকে ১৫০ টাকা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

৫ দিনে প্রবাস আয় এলো ১৪৬৪ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৫ দিনে প্রবাস আয় এলো ১৪৬৪ কোটি টাকা
সংগৃহীত ছবি

চলতি এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনে প্রায় ১২ কোটি (১১ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার) ডলারের প্রবাস আয় এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ এক হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।

হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি খোলা বাজারের মতোই ডলারের দাম পাওয়ায় বৈধ পথে বাড়ছে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়। এর ফলে দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্সে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন বিভিন্ন দেশের বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

আরো পড়ুন
পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যায় নারী

পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যান নারী

 

তারা গত মার্চ মাসের পুরো সময়ে ৩২৯ কোটি ডলার বা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশ স্বাধীনের পর এর আগে এত বিপুল রেমিট্যান্স কখনোই দেশে আসেনি।

তবে ঈদের পরেই কমে গেছে রেমিট্যান্স আসার গতিপ্রবাহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সাধারণত কোনো উৎসব উপলক্ষে নিজ পরিবারের জন্য বাড়তি অর্থ পাঠিয়ে থাকেন প্রবাসীরা।

এতে প্রবাস আয়ের গতি বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম পাঁচ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৮০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটির মাধ্যমে (কৃষি ব্যাংক) এসেছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ