<p style="text-align: justify;">রাষ্ট্রায়াত্ত যমুনা ফার্টিলাইজার কম্পানি লিমিটেডের ব্যাংকে গচ্ছিত ১০টি এফডিআর ভেঙে প্রায় ৮৬ কোটি টাকার বকেয়া কর আদায় করেছেন কর অঞ্চল-১৫-এর কর্মকর্তারা। গত ৫ ও ৬ জুন দুইটি ব্যাংকের ছয়টি শাখা থেকে যমুনা ফার্টিলাইজারের ১০টি এফডিআর ভেঙে এই টাকা আদায় করা হয়।</p> <p style="text-align: justify;">কর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমবারের মতো কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও এফডিআর ভেঙ্গে বকেয়া করের এত টাকা আদায় করা হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">তারা জানান, জামালপুরে অবস্থিত এই সার কারখানার আয়কর ফাইল কর অঞ্চল-১৫, ঢাকার সার্কেল-৩১০ (কোম্পানি) রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২০১৩-১৪ করবর্ষ থেকে ২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত বকেয়া করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১৪ কোটি টাকা। </p> <p style="text-align: justify;">কিন্তু অভিযোগ ছিলো প্রতিষ্ঠানটির কাছে বাড়তি কর দাবি করা হয়েছে। এই দাবির কারণে সম্প্রতি যমুনা ফার্টিলাইজারের করফাইল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা হয়। এতে বকেয়া করের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৬ কোটি ৪১ হাজার ৯০৫ টাকায়। এই টাকা পরিশোধ করবেন বলে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কমিশনারের কাছে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবারো বকেয়া কর পরিশোধে গড়িমসি শুরু করেন।</p> <p style="text-align: justify;">অবশেষে ৫ জুন যমুনা ফার্টিলাইজারের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে দেশের সব ব্যাংকে চিঠি দেয়া হয়। একইসঙ্গে এফডিআর ভেঙ্গে বকেয়া করের টাকা পরিশোধ করতে ব্যাংকে অনুরোধ করা হয়। </p> <p style="text-align: justify;">গত বুধবার সার্কেল-৩১০ এর উপকর কমিশনার মো. নেফাউল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে ছয়জন কর পরিদর্শকের একটি টিম বেসিক ব্যাংক লিমিটেড ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের ছয়টি শাখায় বকেয়া কর আদায়ে যান, যেখানে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের দুইটি ব্যাংক হিসাব ও এফডিআর রয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">বৃহস্পতিবার এই টিম বেসিক ব্যাংকের চারটি শাখা (গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও কাকরাইল) ও জনতা ব্যাংক লিমিটেডের দুইটি শাখা (মতিঝিল কর্পোরেট শাখা ও বংশাল) হতে যমুনা ফার্টিলাইজারের ১০টি এফডিআর ভেঙ্গে বকেয়া কর হিসেবে ৮৬ কোটি ৪১ হাজার ৯০৫ টাকার পে-অর্ডার নিয়ে আসে। </p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে কর অঞ্চল-১৫, ঢাকার কর কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, ‘যমুনা ফার্টিলাইজারের প্রতিনিধিরা কর পরিশোধে গড়িমসি করায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয় এবং দুইটি ব্যাংকের ছয়টি শাখা থেকে ১০টি এফডিআর ভেঙে ৮৬ কোটি টাকা আদায় করা হয়।’<br />  </p>