বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। ফাইল ছবি

অবশেষে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তাকে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকাকালে ইসলামী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান।

শেখ হাসিনার পতনের পর রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান করে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকটি এস আলমের মালিকানাধীন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নতুন পর্ষদ গঠনের পর অনিয়ম খুঁজতে চারটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর: জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নির্মাণ চুক্তি এ মাসে

    মাতারবাড়ী বন্দরে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টন ধারণক্ষমতার কার্গো জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে ২০৩০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাদার ভেসেল আসা-যাওয়া করতে পারবে এই বন্দরে
মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম
মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম
শেয়ার
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর: জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নির্মাণ চুক্তি এ মাসে

♦ ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেটি ২০২৯ সালের ডিসেম্বরে করা হয়েছে

♦ এই সমুদ্রবন্দরের আয়তন ১ হাজার ৩১ একর, প্রকল্প ব্যয় ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা

কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজের জন্য জাপানের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ এপ্রিল রাজধানীর ঢাকায় সম্ভাব্য চুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। চুক্তির পর শুরু হবে ছয় হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি জেটির সমন্বয়ে একটি টার্মিনাল নির্মাণকাজ। আর পুরো প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা।

আরো পড়ুন
কয়েক বিভাগে তীব্র বজ্রপাতের শঙ্কা, প্রাণ বাঁচাতে ঘরে থাকার পরামর্শ

কয়েক বিভাগে তীব্র বজ্রপাতের শঙ্কা, প্রাণ বাঁচাতে ঘরে থাকার পরামর্শ

 

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাগরপথে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী। এখানে এক হাজার ৩১ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। এরই মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় সাগরে বাঁধ বা ব্রেকওয়াটার তৈরি করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ১৪ মিটার গভীরতার কৃত্রিম চ্যানেল।

এরই মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা কয়লা নিয়ে একের পর এক বিশাল আকৃতির জাহাজ ভিড়ছে। কিন্তু নানামুখী জটিলতায় বারবার পিছিয়েছে পূর্ণাঙ্গ গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন নামের প্রকল্পটি ২০২০ সালের মার্চে নেওয়া হয়। ২০২৬ সালের মধ্যে এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল।

আরো পড়ুন
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে প্রভাব পড়বে না

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে প্রভাব পড়বে না

 

এখন সেটি পিছিয়ে ২০২৯ সালের ডিসেম্বরে করা হয়েছে। ফলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের খরচ দুই দফায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকায়। আর প্রথম পর্যায়ে টার্মিনাল নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ছয় হাজার ১৯৬ কোটি টাকা, যার পুরোটাই বহন করবে জাপানি সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

এরই অংশ হিসেবে জাপানি প্রতিষ্ঠান পেন্টা ওশান এবং থোয়া করপোরেশনের সঙ্গে ২২ এপ্রিল চুক্তি করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী চার বছরে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ একটি কনটেইনার জেটি এবং ৩০০ মিটার দীর্ঘ আরো একটি মাল্টিপারপাস জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।

আরো পড়ুন
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

 

২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পরিদর্শনে যান। তখন তিনি বলেছিলেন, এরই মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৯ সালের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শেষ হবে। এরপর ২০৩০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) আসা-যাওয়া করতে পারবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজের চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২২ এপ্রিল। অনুষ্ঠানটি হবে ঢাকায়। সব ঠিক থাকলে ওই দিনই চুক্তি হবে। তিনি বলেন, প্রায় ছয় হাজার ১৯৭ কোটি টাকায় এই চুক্তিটি হবে। পুরোটাই হবে জাইকার অর্থায়নে।

২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে। এর মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি টার্মিনাল নির্মাণ করবে। নির্মাণকাজে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করবে জাপানি প্রতিষ্ঠানটি। এসব প্রযুক্তির অনেক কিছুই বাইরে তৈরি হবে। শুধু দেশে এনে স্থাপন করা হবে। তাই নির্মাণকাজ অনেক দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করছি।

উল্লেখ্য, মাতারবাড়ী বন্দরে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টন ধারণক্ষমতার কার্গো জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে। ফলে পণ্যের খরচ স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে। ২০২৯ সালের মধ্যে বছরে ১১ লাখ এবং ২০৪১ সালে ২৬ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা থাকবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে।

মন্তব্য

আবার রেকর্ড দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আবার রেকর্ড দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা
সংগৃহীত ছবি

দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড করেছে। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম বেড়েছে ৪ হাজার ১৮৭ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকায়। আগামীকাল রবিবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম বৃদ্ধির তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে এক লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৩ হাজার ৫৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১০ হাজার ২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পোশাকশিল্পে বাড়তি করের বোঝা, রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পোশাকশিল্পে বাড়তি করের বোঝা, রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই করপোরেট করহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে সংকটের মধ্যে থাকা পোশাক খাতের রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।

বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট করহার ১২ শতাংশ। সবুজ কারখানার জন্য এই হার ১০ শতাংশ।

তবে দেশের বিভিন্ন খাতের জন্য করপোরেট করহার ২৭.৫০ শতাংশ। তাই ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে করহার বাড়িয়ে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে’

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আমরা বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করেছি। কারণ আমরা সিস্টেমেটিক্যালি এ ধরনের সমস্যা আগে ফেস করিনি। করলেও এ ধরনের প্রচেষ্টা আগে নেওয়া হয়নি। এই প্রথম আমরা এই উদ্যোগ নিচ্ছি।

এটা দেশের আইনে শুধু হবে না, বিদেশিদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন করতে হবে।

আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আর দেশের কয়েকটি পরিবার ও গোষ্ঠী দেশের বিপুল টাকা পাচার করেছে। পাচার করা টাকা ফেরত আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া।

এসব অর্থ ফেরত আনতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে।

আজ শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যংকিং ইস্যু’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থ পাচারের বিষয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, হয়ে গেছে যা, তা হয়ে গেছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন কোনো কিছু যেন না হয়, তা আমরা ঠিক করতে আসছি।

এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় রেগুলেটারি সংশোধন করতে চাই। 

প্রথম ধাপে পাচার হওয়া সম্পদকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আমরা অ্যাসেটগুলোকে ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্সের বিষয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ল ফার্মের সঙ্গে কথা বলেছি এবং খুব শিগগিরই তাদের হায়ার (নিয়োগ) করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

তিনি বলেন, আমরা এমন ল ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যারা অ্যাসেট ট্রেসিংয়ের কাজ করে (মানে কার সম্পদ কোথায় আছে, সেটা খুঁজে বের করা)।

যদিও আমরা কিছু তথ্য জানি, তবে সেগুলো ভাসা ভাসা। স্পেসিফিক, এক্স্যাক্ট ডকুমেন্টেশন ছাড়া কোনো তথ্য কোর্টে গ্রহণযোগ্য হবে না। 

এই কাজের জন্য বিদেশি অ্যাসেট ট্রেসিং ফার্মগুলোর সহায়তা নেওয়া হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, তাদের সহায়তায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কম্পানি বা সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য শনাক্ত করতে হবে। আমরা এখনই কিছু সহযোগিতা পাচ্ছি, তবে কাজটা মোটেও সহজ নয়। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য আগামী ৬ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের অ্যাসেট ফ্রিজ করা। এটাকে আমরা ইনিশিয়াল অ্যাচিভমেন্ট হিসেবে দেখছি। একবার ফ্রিজ হলে এরপর বিষয়টি কোর্টে যাবে, সেখানে মামলা মোকদ্দমা হবে। এরপরই সেই অ্যাসেট ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

দেশে আগে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে দেখানো হত জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হত। কিন্তু প্রকৃতভাবে দেখা গেছে ১৩-১৪ শতাংশ। গত মাসে সেটি দেখা গেছে ৮-৯ শতাংশে আছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি স্বস্তির দিকেই আছে। আগামী বছর সেটিকে ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনতে পারব।

কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, সব মিলিয়ে আমার ধারণা, আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে বড় শিল্পগ্রুপ ও তাঁর পরিবারও আছে। বেক্সিমকোর পাচার হওয়ার অর্থ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। এগুলো শুধু বড় গ্রুপ। ছোটগুলোকে আপাতত দেখছি না। 

আদালতের মাধ্যমে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে টাকা ফেরানোর চেষ্টা জানিয়ে তিনি বলেন, সব বিষয় আদালতের মাধ্যমে নয়, আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। তার আগে সব তথ্য নিতে হবে। যখন সব তথ্য থাকবে তখন তারা নেগোসিয়েশনে আসবে। নেগোসিয়শনে গেলে সব তথ্য নিয়েই যাওয়া লাগবে। না হলে তো আমরা ঠকে যাব।

অর্থ পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেকে কি জড়িত আছে এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, অমূলক তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে চাকরিচ্যুত করার পক্ষে আমি নই। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। দুদক বা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা যদি তথ্য প্রমাণ দেয় যে কেউ জড়িত আছে আমরা ব্যবস্থা নেব। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টে এখন আর কোনো ঘাটতি নেই। বিশাল ঘাটতি ছিল, সেটা আমরা মিটিয়ে এনেছি। আমাদের রিজার্ভও এখন স্থিতিশীল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। বিভিন্ন রকমের গোলযোগ, আন্দোলন ইত্যাদি সত্ত্বেও রপ্তানি মুখ থুবড়ে পড়েনি। গত আট-নয় মাসের তথ্য বলছে, এখনো রপ্তানি ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেনের সঞ্চলনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন ও বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামন, মো. আশিকুর রহমান, স্বরুপ কুমার চৌধুরীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, বিএফআইইউ এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ