<p>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবে না কিন্ত ছাত্র রাজনীতির কালচার পরিবর্তন হবে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি চলবে না। </p> <p>বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের বিভিন্ন ব্যাচ ও বিভাগ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>ছাত্র সংসদ চালুর ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, জকসু যতদ্রুত সম্ভব তত দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তাহলে আমাদের একটা স্পেসিফিক উইন্ডো হবে যেটা নিয়ে আমরা কাজ করতে পারব।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/18/1721292798-7185ef9eea74de9573255830eb4db1d5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/07/18/1407596" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হল ও আবাসন সংকটের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমাদের হল নেই। এখানে ভিসি ভবনও নাই। আমি কোথায় থাকব তারও ঠিক নেই। আমি তো ক্যাম্পাসেই থাকতে চাই। কিন্ত এখানে থাকার জায়গা নাই। নতুন ক্যাম্পাসে টেম্পরারি থাকার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটাও আমি ভাবছি। দশ হাজার শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা সহজ কিছু নয়। যা ১৯ বছরে হয়নি তা এক মাসে হয়তো হবে না। তবে আমরা অগ্রগতি জানাবো। আমি তোমাদের ভিসি। আমরা সবাই মিলে সফল হবো। </p> <p>দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমি মাস্টার প্লান নিয়ে আলোচনা করেছি। কনসালট্যান্টের নিয়োগ দিয়ে সাথে সাথে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের কাজ করা হবে। আমি ক্যাম্পাসের কাজের মেয়াদ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওসচিবের সঙ্গে দেখা করেছি, তাদের বলেছি কাজ সময়মত হয়নি, টাইমটা যেন আরেকটু বাড়ানো হয়। তারা বলেছেন সময়টা বাড়ানো হবে।</p> <p>মানোন্নয়ন পরীক্ষায় জিপিএ পাওয়ার সীমাবদ্ধতার উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আগে রুলসে এটা ওপেন ছিলো। পরে সীমাবদ্ধতা আনা হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেন নাই। আমাদের সুযোগ থাকলে করে দেওয়া যাবে কিন্ত পরে দেখা যাবে এটা অনেকেই বলবে বন্ধ করতে। দেখা যাবে, কেউ বি মাইনাস পেয়ে মানোন্নয়ন দিতে পারে, সে মানোন্নয়ন দিয়ে এ প্লাস পেলো। কিন্ত বি প্লাস পেয়ে একজন আর দিতে পারে না। এখানে তাইলে ওর বৈষম্য হলো না? তাহলে ওকেও সুযোগ দিতে হবে। সুযোগ দিতে হলে এ প্লাসের নিচে যে পাবে তাকেই সুযোগ দিতে হবে। কিন্ত তখন পরীক্ষার্থীর পরিমাণ বেড়ে যাবে, রেজাল্টেও দেরি হবে। </p> <p>সমাবর্তনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা সবাই চাই সমাবর্তন হোক। আমি ভাবছি নেক্সট কনভোকেশন নতুন ক্যাম্পাসে করতে পারি কিনা। একটা সমাবর্তনের প্রস্ততি নিতেই এক বছর চলে যায়। ততদিনে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করতে পারলে ওখানেই করব। এ ছাড়া ধুপখোলা মাঠে লিগ্যাল রাইট দেয়ার আমাদের দেয়ার কথা আছে, দেয়া হলেই ওখানে আমাদের স্থায়ী কিছু করা হবে। লিগ্যালভাবে একবার যদি বসতে পারি তাইলে বাকিটা আমরা দেখে নেবো।  </p> <p>এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহা. তাজাম্মুল হক এবং পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) ড. কে. এ. এম. রিফাত হাসানসহ সহ বিভিন্ন বিভাগ ও ব্যাচ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।</p>