ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬
খোঁজ পেল ইউজিসি

‘ভুয়া’ বিশ্ববিদ্যালয়, কী হয় সেখানে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘ভুয়া’ বিশ্ববিদ্যালয়, কী হয় সেখানে?
ইউজিসির লোগো

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) খুঁজে পেয়েছে ‘ভুয়া’ বিশ্ববিদ্যালয়। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ‘ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি’ নামের একটি অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সনদ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইটে এই ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। 

ইউজিসি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে (https://eaub.info/) দেওয়া ভুয়া তথ্য বিশ্বাস করে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার না হতে।

মঙ্গলবার ইউজিসির পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান রাজধানীর ইস্ট মেরুল বাড্ডা হওয়ায় এর কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য কমিশন দুই সদস্যের একটি পরিদর্শন টিম গঠন করে। সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন শেষে টিমের সদস্যরা ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।

আরো পড়ুন
পদ ছাড়ার কারণ জানালেন সারজিস আলম

পদ ছাড়ার কারণ জানালেন সারজিস আলম

 

গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম টাইপ করলে স্ক্রলবারে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর নামসহ লোগো প্রদর্শিত হয়।

কিন্তু ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামেই পেইজটি ওপেন হয়। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির নামের ওপর ক্লিক করলে ইবাইস ইউনিভার্সিটি নামের পেইজটি ওপেন হয়।

পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সনদ বাণিজ্যের জন্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অননুমোদিত এ প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে প্রতারণা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ডোমাইনটি অতি দ্রুত বন্ধের বিষয়ে বিটিসিএলে পত্র পাঠানোর সুপারিশ করেছে।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আমি শিক্ষা উপদেষ্টা হয়েও এনসিটিবির কাছে বই চেয়ে পাই না : শিক্ষা উপদেষ্টা (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমি শিক্ষা উপদেষ্টা হয়েও এনসিটিবির কাছে বই চেয়ে পাই না : শিক্ষা উপদেষ্টা (ভিডিওসহ)
ছবি : কালের কণ্ঠ

পাঠ্য বই ছাপানো বিলম্ব হওয়া নিয়ে সমালোচনা করে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, ‌‌‘আমি শিক্ষা উপদেষ্টা হয়েও বই চেয়ে পাইনি। পাঠক্রম রচনা করা যাদের মূল কাজ, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বই ছাপানো। তারা পাঠ্যক্রমে ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করেন কি না আমার সন্দেহ। ৮০ শতাংশ শ্রম দেন বই ছাপানোর কাজে।

এই হচ্ছে একটা অবস্থা এবং তাদের জবাবদিহিতে আনা দরকার।’

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠানে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। 

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

কুবিতে ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের সাবজেক্ট চয়েজ শুরু

কুবি প্রতিনিধি
কুবি প্রতিনিধি
শেয়ার
কুবিতে ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের সাবজেক্ট চয়েজ শুরু
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল) এবং ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সাবজেক্ট চয়েজ কার্যক্রম আজ রাত ১২টা থেকে শুরু হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা যায়। আজ দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে আগামী ১ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব প্রফাইল থেকে সাবজেক্ট চয়েজ দিতে পারবেন।

আরো পড়ুন
ডা. জাহাঙ্গীর আলম ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ

ডা. জাহাঙ্গীর আলম ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ

 

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সাবজেক্ট চয়েসের সময় অবশ্যই তাদের কোটা উল্লেখ করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২৪ এপ্রিল রাত ১২টার পর থেকে ১ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সাবজেক্ট চয়েজ দিতে পারবেন।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল (শনিবার) অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে ৩০টি কেন্দ্রে ২১ হাজার ৯৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন, যেখানে পাসের হার ৩৪.০৫ শতাংশ এবং ‘সি’ ইউনিটে ১২টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৬৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন, যার মধ্যে পাসের হার ৬৯.৭৫ শতাংশ।

মন্তব্য

পিএসসির সংস্কারের দাবিতে আমরণ অনশনে ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
পিএসসির সংস্কারের দাবিতে আমরণ অনশনে ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সংস্কার, ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তারা বলেন, তাদের দাবি আদায় না হলে তারা এ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

আরো পড়ুন
র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র ইন্তেখাব

র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র ইন্তেখাব

 

অনশনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী শাহআলম বলেন, ‘আমি ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা প্রার্থী, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত দিয়েছি এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত দেব।

আমাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পিএসসির সংস্কার। আমরা সবাই জানি, ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। প্রশ্ন ফাসেঁর সাথে জড়িত সবাই বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সুতরাং এ স্বীকৃত ঘটনার পরেও পিএসসি প্রথম ধাপে ১১ হাজার এবং পরবর্তী ধাপে ১১ হাজার শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করেছে।

আরো পড়ুন
ডিবির হারুনের ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গীরের সম্পদ জব্দের আদেশ

ডিবির হারুনের ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গীরের সম্পদ জব্দের আদেশ

 

তিনি আরো বলেন, ‘একটি বিসিএসের রেজাল্ট একবার হয়। কিন্তু তারা ২ বার দিলো কোন যুক্তিতে। এখন তারা আবার বলে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি যদি না হয়ে থাকে তাহলে তারা দ্বিতীয়বার রেজাল্ট প্রকাশ করল কেন। প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত সবাইকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্হা করা হোক।

আমরা চাই, একটি ফ্রেশ টেবিলে বসে বিসিএস পরীক্ষা দিতে এবং ভবিষ্যতে যেন আর এ রকম জটিলতা সৃষ্টি না হয়।’

অনশনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮-১৯ সেশন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল করিম বলেন, ‘আমরা পিএসসির সংস্কার চাই। আর প্রশ্ন ফাঁসের পরেও কেন ৪৬তম বিসিএস এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার জবাবদিহি চাই। আমরা চাই কোনো সংশয় না রেখে স্বচ্ছতা দেখানো হোক।’

মন্তব্য

আমি পদত্যাগ করিনি বা আমাকে পদত্যাগ করতে বলাও হয়নি : উপ-উপাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমি পদত্যাগ করিনি বা আমাকে পদত্যাগ করতে বলাও হয়নি : উপ-উপাচার্য
সংগৃহীত ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলম বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি বা আমাকে পদত্যাগ করতে বলাও হয়নি। আমি গতকাল রাত ১০টায় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছি। তবে কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি। এটা অব্যাহতি হতে পারে।

’ 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর শেখ শরীফুল আলম সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি বলত ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পদত্যাগ করতেই হবে, এটাই একমাত্র সমাধান। তাহলে আমরা পদত্যাগ করতাম। আমি কোনো পদত্যাগপত্র পাঠাইনি।

’ 

আরো পড়ুন
‘বিএনপির ভিত নড়বড়ে করার মিশনে নেমেছে একটি মহল’

‘বিএনপির ভিত নড়বড়ে করার মিশনে নেমেছে একটি মহল’

 

উপ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলম বলেন, ‘ইউজিসির টিম গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করেছে। বেশির ভাগ সময় ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছে। আমার সঙ্গে কথা বলেছে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। ১৮ ও ১৯ তারিখের ঘটনার বিষয়ে কথা হয়েছে।

তাদের কোনো প্রশ্নই আমার কাছে মনে হয়নি যে আমার কোনো একটা জায়গা থেকে ত্রুটি বা স্বচ্ছতা, নিষ্ঠার অভাব আছে। প্রতিষ্ঠান বা ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করছি। তবে আমি বুঝতেই পারছি না যে আসলে আমার অপরাধটা কী?’

এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ