<p>শরীয়তপুরে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে জেলার সাতটি থানায় ফের কার্যক্রম শুরু করেছে।</p> <p>সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় পুলিশ লাইনসের সামনে থেকে একটি মোটর শোভাযাত্রা বের করা হয়, যা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ। এতে জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।</p> <p>পুলিশ সদস্যরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের পর বেশ কিছু দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন। পরে তারা সরকারের কাছে যেসব দাবি জানিয়েছিল তার বেশির ভাগই মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ জন্যই তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এবং তারা আশা রাখেন, সবাই সুন্দরভাবে নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরবেন।</p> <p>শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আমাদের একটা অস্থিরতা চলছিল। আমাদের বাইরে কোনো কাজকর্ম ছিল না। কিন্তু প্রতিটি থানায় ফোর্স অফিসার ছিলেন। নিজেদের নিরাপত্তা, স্থাপনার নিরাপত্তা, অস্ত্র গোলাবারুদের নিরাপত্তা বিধান করছিলাম। ইন্টার্নাল কাজগুলো অব্যাহত ছিল আজকে থেকে আমরা একেবারে পুরোদমে স্বাভাবিকভাবে পুলিশের সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জনগণ এটাকে খুবই সুন্দরভাবে ওয়েলকাম জানিয়েছে। আমরা এই কয় দিনে একটি জিনিস বুঝতে পেরেছি রাষ্ট্র এবং সোসাইটির একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের জন্য।’</p> <p>পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে জেলায় কোনো সরকারি স্থাপনায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। জেলার সব থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের স্থাপনা অক্ষত রয়েছে। কর্মবিরতির পর পুলিশ সদস্যরা ফের কর্মস্থলে ফিরে আসায় জেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার হবে।’</p>