<p>গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কৃষকদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুই নম্বর সিএন্ডবি (মাওনা চৌরাস্তা দক্ষিণ পাশে) এলাকায় এসকিউ শিল্পগ্রুপের এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড (সোয়েটার) কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেই সময় দেশীয় অস্ত্র মহড়া দেয় তারা।</p> <p>সেনাবাহিনী, থানা ও শিল্পপুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় বিকেল সোয়া পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।</p> <p>জানা যায়, চার দিন আগে এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড কারখানার ঝুটের ব্যবসার কার্যাদেশ পান গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম পলাশ। কার্যাদেশ পেয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে এস এম পলাশসহ তার অনুসারী নেতাকর্মীরা কারখানা থেকে ঝুট বের করতে যান। বিষয়টি জেনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে যান কৃষকদলের প্রায় দেড় শতাধিক কর্মী।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কারখানা থেকে ঝুট বের করতে পলাশসহ তার অনুসারী নেতাকর্মীদের বাধা দেয় কৃষকদলের কর্মীরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে কৃষকদলের কর্মীরা পলাশসহ তার অনুসারীদের ধাওয়া করে। পরে প্রস্তুতি নিয়ে পলাশসহ তার অনুসারীরা কৃষকদলের কর্মীদের পাল্টাধাওয়া করে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, পরে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় ৩০০ গজের ব্যবধানে দেশিয় অস্ত্র উঁচিয়ে আধা ঘণ্টাব্যাপী মহড়া দেন। এতে ওই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় মহাসড়কে প্রায় ২০-২৫ মিনিট যান চলাচল ব্যাহত হয়।</p> <p>গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম পলাশ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি বৈধভাবে কারখানা থেকে ঝুট বের করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু গাজীপুর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক এস এম আবুল কালামের নেতৃত্বে ১৫০-২০০ জন লোক হামলা চালায়। তারা পর পর ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।’ </p> <p>পলাশর দাবি, ওই হামলায় যুবদলের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাব্বির আহমেদ, ইয়াসিন ও তামিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ১৭ জনকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।</p> <p>তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি সকাল ৬টায় ঢাকায় চলে আসছি। আমি ঢাকায় আছি। আমি এসবের কিছুই জানিনা।’</p> <p>শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঝুট ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ তবে ওই ঘটনায় আজ বিকেল সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।</p>