<p>ঝিনাইদহে সদর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এক পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার মৃত্যুর পর অন্য ব্যক্তিকে স্বামী সাজিয়ে লাম্প গ্রান্টের টাকা আত্মসাত। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার(২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান।</p> <p>মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মৃত রেখা চৌধুরীর ভাতিজা সৌভিক চৌধুরী, বোন রীতা চৌধুরী, আরেক বোনের স্বামী নিরঞ্জন পালিত ও সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শহীদুর রহমান।</p> <p>মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক ভবনে ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি অগ্নিদগ্ধ হন রেখা। পরে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জানুয়ারি মারা যান তিনি। এরপর নিরঞ্জনকে স্বামী সাজিয়ে লাম্প গ্রান্টের টাকা তুলতে ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল জেলা পরিবার পরিকল্পনা ও খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হয়।</p> <p>আবেদনপত্রে রেখা চৌধুরীর মৃত্যু সনদে স্বামীর নাম লেখা হয় বিনয় কর্মকার। সনদটি সত্যায়িত করেন ডা. শহীদুর রহমান। তবে ওয়ারিশ সনদে স্বামীর নাম নিরঞ্জন উল্লেখ করা হয়, এতে সুপারিশ করেন কাউন্সিলর মধু। পরে বিভাগীয় কার্যালয়, নিরঞ্জনের স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা থেকে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫শ টাকা উত্তোলন করা হয়।</p> <p>ঘটনাটি নিশ্চিত করে জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও ওই মামলার বাদি বজলুর কালের কণ্ঠকে জানান, তদন্তে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।</p>