<p>উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বিরামপুরে ধানের পর এবার কচু চাষেও বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে গত বছর ফলন কম হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। ভালো ফলনের পাশাপাশি চাহিদামতো মূল্য পাওয়ার ফলে খুশি কৃষকরা।</p> <p>স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন প্রজাতির ১৬০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮৫০ জন কৃষক কচু চাষ করেছেন। তবে বেশি চাষ হয়েছে বিলাসি জাতের কচু। এতে উপজেলায় প্রতি বিঘা জমিতে ৮০ থেকে ১০০ মণ এবং পুরো উপজেলা প্রায় সাড়ে চার হাজার মণ কচু উৎপাদন হয়েছে।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মুকুন্দপুর, কেশবপুর, ফকিরপাড়া, হরেকৃষ্টপুর, ভবানিপুর, মাহমুদপুর, প্রস্তমপুর, সারাঙ্গপুর, চকবসন্তপুর, মির্জাপুর ও হাবিবপুর গ্রামের মাঠে সবচেয়ে বেশি কচুর চাষ হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য আটক করেছে বিজিবি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/24/1727170890-c1324a71a95c76846fc8b4a0d194c427.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য আটক করেছে বিজিবি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/09/24/1428447" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবিঘা জমিতে এ বছর শ্রেণিভেদে ৭০ থেকে ৮৫ মণ পর্যন্ত কচুর ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাঠ থেকে ফলন তুলতে এবং পরিষ্কার করতে মণপ্রতি আরো ৩০০ টাকা খরচ গুনতে হয়েছে।</p> <p>গত মঙ্গলবার সকালে বিরামপুর কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ভোর থেকে শুরু হয় কাঁচাবাজার। এলাকার চাষিরা ভ্যানে করে জমি থেকে তোলা কচুসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি নিয়ে বাজারে আসছেন। এ সময় প্রতি মণ কচু শ্রেণিভেদে ১৩৫০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। এসব কচু স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। </p> <p>মাধবপাড়া গ্রামের কৃষক ইমরান আলী বলেন, ‘এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে কচু চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে শ্রেণিভেদে ৭৫ থেকে ৮০ মণ করে কচু চাষ হয়েছে। গত বছর অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হলেও এবার ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে এক মণ কচু ১৪২০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করেছি। এতে করে বিঘাপ্রতি খরচ বাদ দিয়েও ভালো টাকা লাভ হয়েছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুতে মুখ খুললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/29/1727607802-d515dc95be25e9e1402d10e15171dc23.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুতে মুখ খুললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/29/1430131" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জানতে চাইলে ভবানীপুর গ্রামের কচুচাষি আহসান কামাল বলেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কচু চাষ করছি। প্রতিবছর বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ফলন কমবেশি হলেও এবার খুব ভালো ফলন হয়েছে। দুই বিঘা জমিতে ১৮০ মণ কচুর ফলন হয়েছে। প্রতি মণ কচু ১৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি।’</p> <p>আকবর হোসেন নামের এক শ্রমিক জানান, ‘প্রতিদিন জমি থেকে প্রায় পাঁচ মণ কচু উত্তোলন করি। এতে এক হাজার টাকা মজুরি হিসেবে পাই। এই এলাকায় কচুর আবাদ বেশি হওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।’</p> <p>নারী শ্রমিক আকলিমা খাতুন জানান, জমি থেকে উত্তোলনকৃত কচুর বইগুলো আমরা মাটি পরিষ্কার করে বিক্রয়ের উপযোগী করি। এতে প্রতিমণ কচুতে আমরা ৮০ টাকা পাই। এই দিয়েই চলছে আমাদের সংসার। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অপকর্ম ঢাকতেই পছন্দের ব্যক্তিকে কলেজের সভাপতি মনোনয়নের অভিযোগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/29/1727605607-a2f1d8dbfbaea5f18d5fde49de884fe3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অপকর্ম ঢাকতেই পছন্দের ব্যক্তিকে কলেজের সভাপতি মনোনয়নের অভিযোগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/09/29/1430120" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘উপজেলার বেশ কয়েকটি মাঠে কচু চাষ হয়। এই এলাকার মাটি বেলে-দো-আঁশ মাটির মিশ্রণ রয়েছে। এসব জমি কচুচাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আবহাওয়া তারতম্যের কারণে ফলন কিছুটা কমবেশি হয়। আমাদের এই কচু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়।’</p>