<p style="text-align:justify">দুর্নীতি আর অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতি, ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া জন্ম ও নাগরিকত্ব সনদ প্রদান, টাকার বিনিময়ে অন্যের জন্য জমি দখল, মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা ইত্যাদি। অভিযোগ রয়েছে, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের নামে রাজউকের ৬৩টি প্লট বাগিয়ে নেন তিনি। এসব দুর্নীতি আর অনিয়মের মাধ্যমে মাত্র কয়েক বছরে বনে গেছেন হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক।</p> <p style="text-align:justify">যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তিনি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম অলি (৪৩)। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি।</p> <p style="text-align:justify">২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর নাগরী ইউনিয়নের বড়কাউ গ্রামের আদি বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম পূর্বাচলে অলির ৬৩টি প্লট জালিয়াতির তথ্য-প্রমাণসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দেন। ২০২২ সালে অলির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দুর্গাপূজার ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে মানুষের ঢল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/12/1728681972-d3516e00d8bf4f0c9e780a739d168b65.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দুর্গাপূজার ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে মানুষের ঢল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/12/1434305" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তবে অজ্ঞাত কারণে ছয় মাসের মাথায় থেমে যায় তদন্ত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলেনে ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ৫ আগস্টের পর হত্যা মামলা হলে গাঢাকা দেন অলি।</p> <p style="text-align:justify">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ময়েজউদ্দিনের ছেলে অলিউল ইসলাম ডিভি লটারির মাধ্যমে ২০০৯ সালে ধারদেনা করে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন।</p> <p style="text-align:justify">২০১৮ সালে দেশে ফিরে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে নাগরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। পরের বছর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একই ইউপির নির্বাচনে ফের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পর্যটক ছিনতাইকারীচক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/12/1728684485-aab311188b4cfc678fb5f645f2a09e93.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পর্যটক ছিনতাইকারীচক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/12/1434307" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>যেভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ</strong></p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, পূর্বাচল নতুন শহর স্থাপনে সরকার ২০০১ সালে ছয় হাজার ২২৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে।</p> <p style="text-align:justify">এর মধ্যে গাজীপুর অংশে কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের বড়কাউ ও পাড়াবর্থা মৌজায় এক হাজার ৫৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ দিতে ২০১৮ সালে আবেদন করার আহ্বান জানায় সরকার। ২০২০ সালে শুরু হয় আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই। জেলা প্রশাসন ও রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে পদাধিকারবলে বাছাই কমিটির সদস্য করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি ডিও লেটার দিয়ে চেয়ারম্যানকে তাঁর প্রতিনিধি মনোনীত করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ও সংসদ সদস্যের ডিও লেটার ব্যবহার করে অলি জাল কাগজের মাধ্যমে প্লট বাণিজ্যে নেমে পড়ন। কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও বাছাই কমিটির সদস্যদের যোগসাজশে নামে-বেনামে নিজের স্ত্রী-স্বজন এবং ঘনিষ্ঠ লোকজনের নামে প্লটের জন্য আবেদন করেন অলি। বাগিয়ে নেন ৬৩টি প্লট। এ ছাড়া রাজউকের আরো অনেক প্লট বাগিয়েছেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ রয়েছে, আবেদনের সঙ্গে অলির জমা দেওয়া জমির মালিকানার দলিলপত্র সবই জাল। এতে বঞ্চিত হন বহু প্রকৃত জমির মালিক। বরাদ্দ নেওয়া প্লট বিক্রি করে অলি রাতারাতি হাতিয়ে নেন শত শত কোটি টাকা। পূর্বাচলে তিন কাঠার প্লটের বর্তমান মূল্য তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা। ওই হিসাবে ৬৩টি প্লট বিক্রি করেই তিনি হাতিয়েছেন কমপক্ষে ১৯০ কোটি টাকা। এসব টাকায় দেশে-বিদেশে বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে গড়েন সম্পদের পাহাড়। প্লট ছাড়াও ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ, জন্ম সনদ, নাগরিক সনদ ও ওয়ারিশ সনদ দিয়ে কামিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বহাল রাখতে পারে বাংলাদেশ’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/12/1728680302-7c8dcf2e17ea87d8c03a669fcc2f35e1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বহাল রাখতে পারে বাংলাদেশ’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/12/1434304" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের নামে ৬৩ প্লট</strong></p> <p style="text-align:justify">২০০১ সালে জমি অধিগ্রহণের সময় অলি ছিলেন ২৩ বছরের যুবক। অন্য দুই ভাই রহমতউল্লাহ ও আলীউল ইসলামের বয়স ছিল যথাক্রমে ২০ ও ১৩ বছর। দুই বোনের মধ্যে বড় মিনা আক্তারের বয়স ছিল ১২ ও নার্গিস আক্তারের ৯ বছর। অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে চেয়ারম্যান অলির বাবা বড়কাউ গ্রামের মো. ময়েজ উদ্দিনের ২৬ শতক জমিও ছিল। নিয়ম মেনে আবেদন করে তিনি পাঁচ-ছয় বছর আগে রাজউক থেকে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ পান। বড়কাউ ও পাড়াবর্থা মৌজায় চেয়ারম্যান অলি বা তাঁর চার ভাই-বোনের আর কোনো জমি বা ঘরবাড়ি ছিল না। তাই তাঁদের আর কোনো প্লট পাওয়ার সুযোগ নেই। অথচ ২০২১ সালে প্রকাশিত মূল আদিবাসী কোটায় তিন কাঠার প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন অলির স্ত্রী আরনি (২৬), ছোট ভাই মো. রহমতউল্লাহ (৩৮), তাঁর স্ত্রী সানজিদা আক্তার সাথী (৩০), ছোট ভাই আলীউল ইসলাম (৩৬), বোন মিনারা আক্তার (৪০) ও ছোট বোন নার্গিস আক্তার (২৮), দুই চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম ও শরীফ মিয়া, নানি কোহিনূর বেগম, দুই খালা খোদেজা খাতুন রেহানা ও রোজিনা আক্তার রুমা, অলির শ্বশুর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাসিন্দা কৃষক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, শাশুড়ি পিয়ারা বেগম, স্ত্রীর বড় বোন রুনা আক্তার, শ্যালিকা রানিয়া, তিন ফুফু শাশুড়ি শাহিনা আক্তার, লুত্ফরন্নেসা গোলজার, নাসিমা বেগমসহ শ্বশুরবাড়ির ১১ জন আত্মীয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পর্যটক ছিনতাইকারীচক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/12/1728684485-aab311188b4cfc678fb5f645f2a09e93.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পর্যটক ছিনতাইকারীচক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/12/1434307" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">অলির ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাগরীর পাঞ্জোরা গ্রামের রেজাউল করিম শিকদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বড়কাউ মৌজায় তাঁর জমি বা ঘরবাড়ি না থাকলেও রাজউকের প্লট পেয়েছেন তিনিও। অলির আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমানের বাড়ি উপজেলার তালিয়া গ্রামে। তাঁরও কোনো জমি অধিগ্রহণ না হওয়ার পরও তিনিসহ পরিবারের ১৭ সদস্য পেয়েছেন তিন কাঠার ১৭টি প্লট।</p> <p style="text-align:justify">বড়কাউ গ্রামের মজিবুর রহমান বলেন, কালীগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্যের এপিএস সেলিম অলির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁর হাত ধরেই উত্থান অলির। এলাকার বাসিন্দা না হলেও লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে অনেক সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, বড় বড় ব্যবসায়ীকে নাগরিক সনদ ও জন্ম সনদ দেন। ওই সব সনদ জাল দলিলে দিয়ে জমির মালিক সেজে বহু প্লট হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেন অলি। বিনিময়ে হাতিয়ে নেন শত শত কোটি টাকা। ওই ৬৩ প্লট ছাড়াও অলির নামে-বেনামে আরো কমপক্ষে ২০০ প্লট রয়েছে। সব প্লট নেওয়া হয়েছে জমির জাল কাগজ দিয়ে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এইচআরএসএসের প্রতিবেদন: দুই মাসে সহিংসতায় নিহত ৬২৫" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/12/1728685813-70385347d091ee27378b8dd4f9f8661f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এইচআরএসএসের প্রতিবেদন: দুই মাসে সহিংসতায় নিহত ৬২৫</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/12/1434308" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, হাতে গোনা কয়েকটি রেখে বাকি সব প্লট বিক্রি করে দিয়েছেন অলি। পূর্বাচলে প্রতি তিন কাঠার প্লটের সর্বনিম্ন দাম তিন কোটি টাকা। ওই হিসাবে শুধু প্লট বিক্রি করেই তিনি লুটেছেন ৬০০ কোটি টাকা।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় মুজিবুর রহমান বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ৬৩টি প্লট হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনি ২০২১ সালে গাজীপুর আদালতে অলির বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন গাজীপুর পিবিআইকে। তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন পিবিআইয়ের পরিদর্শক (বর্তমানে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি) হাফিজুর রহমান তদন্ত শুরু করেন। কিন্তু পরে মামলাটি ধামাচাপা পড়ে যায়।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে ওসি হাফিজুর রহমানের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।</p> <p style="text-align:justify">পাড়াবর্থা গ্রামের জাহিদুল ও শহিদুল সরকার অভিযোগ করেন, তাঁদের দাদা মাজম আলী সরকারের ১১৮ বিঘা জমির সবই অধিগ্রহণ করা হয়। তাঁরা চার ভাই ও দুই বোন। ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের পর তাঁদের সব ভাই-বোনের নামে অ্যাওয়ার্ড হয়। কিন্তু আবেদন করেও তাঁদের দুই বোন প্লট পাননি। অথচ জমিজমা না থাকলেও প্লট পেয়েছে অলির ঘনিষ্ঠজনরা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কেরানীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল জব্দ, আটক ৩" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/12/1728688772-d4718778ac2d86a75cc1449506fab2d1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কেরানীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল জব্দ, আটক ৩</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/12/1434310" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>অলির যত সম্পদ</strong></p> <p style="text-align:justify">অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য এবং এলাকার লোকজনের ভাষ্য মতে, প্লট বিক্রি ছাড়াও নাগরিকত্ব ও জন্ম সনদ, একটি হাউজিং কম্পানির হয়ে জমি দখল, মালপত্র সরবরাহ, পূর্বাচলে শত শত কোটি টাকার বালুর ব্যবসা, ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসায় মদদ—এসবের মাধ্যমে অলি গত পাঁচ বছরে হাজার কোটি টাকা আয় করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা মৌজায় ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে ১২ শতাংশ জমির ওপর অলির রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের ছয়তলা বিলাসবহুল বাড়ি। আরো রয়েছে মঠবাড়ি মৌজা ও মাথৈল মৌজায় ছয় কাঠার প্লট, উলুখোলা বাজারের সঙ্গে গ্রামীণফোন টাওয়ারের পাশে দুই কোটি টাকা মূল্যের ১৩ শতাংশ জমি, বীরতুল মৌজায় আড়াই বিঘা জমি। পূর্বাচলের ময়জউদ্দিন চত্ব্বরের পাশে ১৩ নম্বর সেক্টরে তিন কাঠার সাতটি প্লট, ডিপ্লোমেটিক জোনের পাশে ২৬ ও ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠার তিনটি প্লট, উত্তরায় একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি। দুবাইতেও ফ্ল্যাট ও দোকান রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১০৯ বছর আগে নিখোঁজ জাহাজের চিত্র মিলল থ্রিডি স্ক্যানে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/12/1728700171-032b2cc936860b03048302d991c3498f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১০৯ বছর আগে নিখোঁজ জাহাজের চিত্র মিলল থ্রিডি স্ক্যানে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2024/10/12/1434311" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>দ্বৈত নাগরিক হয়েও নির্বাচনে</strong></p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক অলিউল ইসলাম অলি। অথচ দ্বৈত নাগরিক হলে কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায় না।</p> <p style="text-align:justify">২০০৯ সালে ছাত্র অবস্থায় ডিভি লটারির মাধ্যমে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট (এএ৫৫৭৮১৬৮) ব্যবহার করেন। ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি ১০ বছর মেয়াদি আমেরিকান পাসপোর্ট ইস্যু হয় মোহাম্মদ অলিউল ইসলামের নামে। তাঁর আমেরিকান পাসপোর্ট নম্বর ৫০৫৫০০১। পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন করতে হলে ভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়। তিনি তা করেননি।</p> <p style="text-align:justify">গাজীপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, দ্বৈত নাগরিকের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রথম শর্ত বাংলাদেশের নাগরিক এবং ভোটার হতে হবে। দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p style="text-align:justify">এসব বিষয়ে জানতে অলির মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।</p>