<p style="text-align:justify">২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের সময় ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মারুফ শেখ (১৯)। হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১১ বছর পর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৭৭ জন নেতাকর্মীরা নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুকে। এ ছাড়া সালথা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর ও নগরকান্দা উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান কাজী শাহজামান বাবুলসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০-৬০ জনকে  হিসেবে আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ নম্বর আমলী আদালতে নিহতের মা ও উপজেলার মিনারগ্রামের বাসিন্দা ছালেহা বেগম ছলে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। </p> <p style="text-align:justify">রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী একেএম হাবিুবুর রহমান হাফিজ। তিনি বলেন, সকালে মামলার জন্য আবেদন করা হলে তা বিকাল ৪ টায় আদালত গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।</p> <p style="text-align:justify">মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, তৎকালীন সময়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর হামলা করে আসামীরা। এ সময় মারুফ শেখের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে কামরুজ্জামান মিঠু নামে ২ নম্বর আসামি। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। এতে নির্দেশ দেন শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী ও দেলো ফকির। তাঁদের হামলায় সাইফ মুন্সি নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়ে পুঙ্গুত্ববরণ করেন।</p> <p style="text-align:justify">ছালেহা বেগম এজাহারে আরো করেন, ছেলের হত্যার পর থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি এবং পুলিশ জানায় এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে আর কোনো মামলা হবে না। এরপর অনেক বার থানায় মামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বরও আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে সেই মামলার আসামীর তালিকা নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তাতে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত না থেকেও এবং বিদেশে অবস্থান করা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে তা প্রত্যাহার করে নিয়ে নতুন করে এ মামলা করা হয় বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন। </p> <p style="text-align:justify">এছাড়া তৎকালীন সময়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মারুফ হত্যাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছিল স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। মারুফ নিহত হবার ঘটনায় নগরকান্দা থানা পুলিশের এসআই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় আসামি করা হয় ১৪৬ জনকে। যারা সবাই ছিলেন বিএনপি ও হেফাজত ইসলামের রাজনীতির সাথে যুক্ত।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে লাবু চৌধুরীর নামে একটি হত্যা ও একটি হত্যার চেষ্টা মামলা হয়।</p>