<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবর্ষণে একজন আহত হওয়ার ঘটনায় নতুন মামলা নিয়ে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ এজলাস থেকে নেমে চলে যান। এ ঘটনার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অন্য বিচারকরাও এজলাস থেকে নেমে যান। তবে দুপুরের পর তাঁরা আবার বিচারকাজ পরিচালনা করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজের সঙ্গে দেখা করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা। বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহানগর দায়রা জজের সঙ্গে আমরা দেখা করে কথা বলেছি। এটা আসলে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ আপাতত কয়েক দিন ছুটিতে থাকবেন। যেহেতু উকিলরা ওনার আচরণে কিছুটা সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরা চাচ্ছি ভবিষ্যতে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। যে কারণে আপতত ছুটিতে থাকবেন তিনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার বাসিন্দা শোয়াইবুল হক চৌধুরী গত ১৭ জুলাই মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হন। এ ঘটনায় তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে যান। তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য নিয়োগ পাওয়া জেলা পিপি আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক। এ সময় মামলার বাদীর আইনজীবী মামলাটি গ্রহণ করে থানায় এজাহার হিসেবে নিতে শুনানিতে আবেদন জানান। পরে আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে বাদীর কাছে আসামিদের নাম জানতে চান। বাদী শুরুতে কয়েকজনের নাম বলে থেমে যান। তখন আইনজীবী আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক বিচারককে বলেন, এভাবে সব আসামির নাম বলা সম্ভব নয়। এ নিয়ে বিচারক ও আইনজীবীর মধ্যে তর্ক শুরু হয়। তবে হট্টগোলের এক পর্যায়ে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন। এরপর এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক অলি উল্লাহ। এ ঘটনা জানাজানি হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকরা এজলাস থেকে নেমে যান। যদিও তাঁরা দুপুরের পর আবার বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একজন আহতের ঘটনায় ভুক্তভোগী ১২৬ জনকে তালিকাভুক্ত আসামি করে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহর আদালতে একটি মামলার আবেদন করা হয়। যে মামলায় আমাকে উনারা ডেকেছেন। আমি ওই মামলার ফাইল করতে গিয়েছি। যেহেতু এটা একটা জেনোসাইডের ঘটনা, ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে, এটা স্পর্শকাতর মামলা। বিচারকের কাছে আমরা থানায় এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অ্যাডভোকেট আশরাফ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্যার বলেছেন, দেখে আদেশ দেবেন। তাই আমরা স্যারের আদেশকে সম্মান জানিয়েছি। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়েছেন, ওই জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বাদীকে সব আসামির নাম বলতে বলেছেন। উনি একেক করে ১৮ থেকে ২০ জন আসামির নাম বলেছেন। বিচারক বলেছন, ১২৬ জন আসামির নাম বলতে হবে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অভিযোগ বলতে বলেছেন। তখন আমি বলেছি, আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, আমরা এর ভিডিও ফুটেজ দিয়েছি এখানে। বাদী যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সেটির ডাক্তারি সনদ দিয়েছি, ছবিগুলো দিয়েছি। উনি বলেছেন, ঠিক আছে। আমরা যে আদেশ চেয়েছি, সেই আদেশ পাইনি। তিনি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের পেশাদারির নিয়ম অনুযায়ী, আদালতকে সম্মান জানিয়ে চলে আসছিলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর মধ্যেই তিনি (বিচারক) মন্তব্য করেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ধরনের ইয়ে নিয়ে আমার আদালতে আসবেন না। আমার আদালতে কোনো ধরনের জোর চালাইতে আসবেন না। কোনো ধরনের ইন্টারফেয়ার করার চেষ্টা করবেন না। আমি তো কোনো ধরনের ইন্টারফেয়ার করিনি; আমরা আবেদন করেছি। এর পরই তিনি এজলাস থেকে নেমে গেছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>