<p>যশোরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. বাপ্পি হোসেন নামের এক বাসশ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত বাপ্পি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার শঙ্করপাশা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি সরদার ট্রাভেলস কম্পানির একটি বাসের চালকের সহকারী (হেলপার) হিসেবে কাজ করতেন। </p> <p>শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের ঢাকা বাইপাস রোডে মেসার্স মনিরউদ্দিন ফুয়েল স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা বাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে তাবলিগ জামাতের লোকজনকে ঢাকা থেকে যশোর নামিয়ে ওই বাসে অবস্থান করছিলেন বাপ্পি। বাসটির চালক ও সুপারভাইজার সকালে এসে তাকে মৃত পেয়ে পুলিশে খবর দেন।</p> <p>মেসার্স মনির উদ্দিনের ব্যবস্থাপক হুমায়ুন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে বাসটি তাদের ফুয়েল স্টেশন থেকে জ্বালানি নেয়। এরপর বাসটি সামনে মহাসড়কের ওপর রেখে চালক ও সুপারভাইজার বাসায় চলে যান। চালকের সহকারী থেকে যান বাসে।</p> <p>বাসটির (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৯৭৯৮) চালক এনামুল মৃধা জানান, সকালে তিনি ও সুপারভাইজার উজ্জ্বল এসে বাসটির দরজা খুলে ভেতরে বাপ্পির রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। সেখানে একটি চাকু পড়ে ছিল। তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।</p> <p>যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আক্তার জানান, বাপ্পিকে এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে খুন করা হয়েছে। কী কারণে বাপ্পিকে খুন করা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।</p>