ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মো. আখতার হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের নামে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে পরিণত করেছিল। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে তাদের পতনের পর দেশের মধ্যে এখন ধর্মীয় দাঙ্গা লাগাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ভারতের সাধারণ জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। তবে বাংলাদেশের স্বার্থের প্রশ্নে এ দেশের মানুষ ভারতকে একবিন্দু ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
বাংলাদেশের স্বার্থের প্রশ্নে ভারতকে একবিন্দু ছাড় নয় : আখতার হোসেন
রংপুর অফিস

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে প্রধান অতিথির আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
আখতার হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের নামে বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা ও গুমে লিপ্ত ছিল। উন্নয়নের নামে তারা কোটি কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে। খুনি হাসিনা সরকার ও তার দোসররা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা করেছে, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অভ্যুত্থানের শক্তি নাগরিক, আহত ও শহিদ পরিবারের সঙ্গে তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি গোটা দেশব্যাপী একটি রাজনৈতিক ভারসাম্য নির্মাণে কাজ করছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক মনিরুল ইসলাম সুমন আরিফুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক কমিটির কাউনিয়া উপজেলা শাখার সংগঠক রমজান আলী, শামীম হোসেন, রফিকুল ইসলাম কনকসহ অনেকে।
পরে আখতার হোসেন রংপুর টাউন হলে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সম্পর্কিত খবর

জুয়া খেলার সময় ১০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : নৌকার মাঝি খুন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

বুড়িগঙ্গা নদীতে খেয়া নৌকার মাঝিরা জুয়া খেলার সময় ১০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে মন্নান (৫৭) নামে এক মাঝিকে পিটিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে মাঝিরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। পরে বরিশুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত মান্নান বরিশালের উজিরপুর থানার পূর্ব কেশবকাঠি গ্রামের হাসেম মোল্লার ছেলে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগানগর বটতলা নৌকা ঘাট বরাবর বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে বরিশুর নৌ পুলিশকে হস্তান্তর করে।
বরিশুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুক্তার হোসেন জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগানগর বটতলা নৌকা ঘাট এলাকায় ডিঙ্গি নৌকায় বসে সোমবার দিবাগত রাতে নিহত মন্নান-শামীমসহ আরো ছয় সাতজন নৌকার মাঝি তাস খেলছিল। এ সময় ১০০ টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া হয়।
৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে মন্নানের কোনো সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের খবর দেই। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশ থেকে মন্নানের লাশ উদ্ধার করে।

একে অপরকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ লাগিয়ে দুই নেতার জিডি, সংবাদ সম্মেলন
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ‘চিত্রি’ গ্রামে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুটি বিবদমান গ্রুপের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একে অপরকে ‘প্রাণ নাশের হুমকি’ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ওই গ্রামটিতে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মহলে আলোচনার ঝড় বইছে।
এ অবস্থায় বিবদমান দুই গ্রুপের দুই শীর্ষ নেতা একে অপরকে ‘আওয়ামী লীগ’-এর ট্যাগ লাগিয়ে নবীনগর থানায় দুটি জিডি করেছেন।
এদিকে দুই পক্ষের ওই দুই আলোচিত নেতা গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে নবীনগর প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ক্লাবে দুটি পৃথক সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।
নবীনগর থানায় অভিযোগ করা ওই দুটি জিডির সূত্র ও সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিত্রি গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জালাল সরকার দুজনেই চিত্রি উত্তর পাড়ার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী।
এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ‘স্টোর অফিসার’ এবং জালাল সরকার সুদীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। তবে গ্রামটিতে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে এই দুই নেতার রয়েছে গ্রামে বেশ অনুসারী।
এলাকার লোকজন জানান, গ্রাম্য মাতব্বরির আধিপত্য স্ব স্ব কব্জায় রাখা নিয়ে এই দুই নেতার গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছিল।
পাশাপাশি নবীনগর সদরে এসে দুটি সাংবাদিক ক্লাবে ঘটা করে একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন।
এদিকে থানায় জমা দেওয়া দুটো জিডির একটিতে জালাল সরকার বাদী হয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন, গত ৪ এপ্রিল বিকেল ৫টায় চিত্রি গ্রামের কবরস্থানের পাশে প্রতিপক্ষ হাবিবুর রহমান ও তার লোকজন তাকে (জালাল) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একপর্যায়ে ‘প্রাণ নাশের হুমকি’ প্রদান করে।
অপর জিডিতে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন একই দিনে (৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে প্রতিপক্ষ জালাল সরকার ও তার লোকজন চিত্রি গ্রামের নদীর পাড়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একপর্যায়ে তাকেও (হাবিব) ‘প্রাণ নাশের হুমকি’ প্রদান করে।
এ অবস্থায় এই দুই আলোচিত নেতা সোমবার রাতে (৭ এপ্রিল) নবীনগর উপজেলা সদরে এসে একে অপরকে ‘আওয়ামী লীগ’-এর ট্যাগ দিয়ে হাবিবুর রহমান গং নবীনগর প্রেস ক্লাবে এবং জালাল সরকার গং রিপোর্টার্স ক্লাবে দুটি পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ বিষয়ে জালাল সরকার মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘হাবিবুর রহমান একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ সরকারি চাকরিজীবী। ইতিমধ্যে সে একাধিকবার হসপিটালের চাকরি থেকে ‘বরখাস্ত’ হয়েছেন। সে ও তার স্ত্রী আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ দোসর। আওয়ামী লীগের আমলে নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।
তবে ‘স্টোর অফিসার’ হাবিবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলবার দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি নই। মূলত জালাল গংই চিত্রি গ্রামে দলাদলি সৃষ্টি করে রেখেছে। সে হলো খাস আওয়ামী লীগ। চিত্রি ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগেরও সদস্য। তাই সে এতদিন প্রভাব বিস্তার করে নানা অপকর্ম করেছে। আর আমি তার প্রতিবাদ করায় গত ৪ এপ্রিল সে ও তার লোকজনের হামলায় আমি নদীতে ঝাপ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর থানার ওসির সরকারি ফোন নম্বরে কল দিলে, থানার এস আই আবদুল মোন্নাফ কল রিসিভ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওসি স্যার ছুটিতে।’
এসময় থানায় দুটি জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

ফরিদপুরে সেই বাসের ফিটনেস সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ, তদন্তে কমিটি
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে ফারাবী ডিলাক্স পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ ৭ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে অন্তত আরো ২৫ যাত্রী। এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স-টোকেন মেয়াদোত্তীর্ণ বলে জানা গেছে।
সড়কে খানাখন্দে ভরা লোকাল বাসটির বেপরোয়া গতির কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা। ৭ জন নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর গাড়ির চালক পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের জোয়াইড় এলাকার শরীফ জুটমিল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে।
দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শেখরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাবা জোয়ার সরদার (৭০) তার ছেলে ইমান সরদার (৩৩), নগরকান্দার কাঠিয়া বড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব খানের স্ত্রী দীপা খান (৩৪), ফরিদপুর সদরের চর চাঁদপুর গ্রামের বলরাম সরকারের স্ত্রী ভারতি সরকার (৪২), চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীটেক গ্রামের বাসিন্দা খালেক চৌধুরীর ছেলে আলম চৌধুরী (৪২), ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার বাসিন্দা লতিফ ব্যাপারির স্ত্রী ফজিরন নেসা (৪০) এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে আজিবর উদ্দিন (৪৪)।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত ফরিদপুরগামী ফারাবি ডিলাক্স পরিবহনটি (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০০৬৬) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে নগরকান্দা হয়ে ফরিদপুর আসছিল। আসার পথে সময় বাঁচাতে দ্রুতগতির গাড়িটি একটি পরিবহনকে ওভারটেক করতে গিয়ে ফরিদপুর সদরের জোয়াইড় এলাকার শরীফ জুট মিল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পাশে একটি বিদ্যুতের পিলারে ধাক্কা খেয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে আহত ৩৫ যাত্রীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে ৫জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২টার দিকে আরো দুইজন মারা যায়। এ ঘটনায় আরো ১০-১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাঁধন সরকার (২৫) নামে দুর্ঘটনায় এক আহত যাত্রী জানান, বাসটি তালমার মহিলা রোড থেকে ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে চলতে শুরু করে। যাত্রীরা বার বার বলার পরেও বাসচালক কারো কথা শোনেননি।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে বাসের গতি ৮০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ছিল। এ ব্যাপারে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সঙ্গে সভা করা হবে। এভাবে অতিরিক্ত গতির কারণে এ দুর্ঘটনা, এ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গাড়িটি দ্রুতগতির ছিল একই সঙ্গে আরেকটি দ্রুত কোনো যানকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুরের কার্যালয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত ফরিদপুরগামী হাই ডেক্স (ফরিদপুর-জ ১১-০০৬৬) ফারাবী পরিবহনের বাসটির মালিক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফায়জুর রহমান। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের কোর্টপাড় এলাকার বাসিন্দা। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ গত ৫ মার্চ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২৬ জুন বাসটির ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদও শেষ হয়েছে। ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান। তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। পরে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, নিহত প্রত্যেককে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে বিআরটিএ’র মাধ্যমে এককালীন টাকা দেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামে মোটরসাইকেল-ট্রলির সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে জয়নাল আবেদীন (৬০) নামের এক স’মিল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, নিহত জয়নাল তার শ্যালক জুয়েলের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে কুড়িগ্রাম থেকে ভিতরবন্দ যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ জানান, খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।