<p>বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের বদলি আদেশ প্রত্যাহার এবং কর্মস্থলে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। এ সময় বদলি আদেশ প্রত্যাহার না হলে কমপ্লিট শাটডাউনের হুশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।</p> <p>শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বদলি আদেশ প্রত্যাহার ও কর্মস্থলে পুনঃবহালের দাবিতে মানববন্ধন করেন সর্বদলীয় ওলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের জনতা। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয় ঈমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশন, ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদ, হাফেজ ফোরাম, কওমি মাদরাসা ঐক্য পরিষদ, হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন, ইসলামী আন্দোলন, বিএনপি, যুবদল, মুক্তিযোদ্ধা দল, ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।</p> <p>ইসলামী আন্দোলন বরগুনা জেলার সভাপতি মুফতি মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদী বলেন, আমতলী উপজেলায় ভালো কোনো কর্মকর্তা বেশিদিন থাকে না। মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের মতো সৎ ও দক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমতলীতে আরো অন্তত এক থেকে দেড় বছর থাকা দরকার। আমি সরকারের কাছে তার বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাই।</p> <p>উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। তিনি তার যোগ্য নেতৃত্বে ওই সব দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এই মুহূর্তে ওই কাজগুলো সম্পন্ন করতে ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের কোনো বিকল্প নেই। এখন তার বদলির আদেশ মেনে নেওয়া যায় না। তার বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে মহাসড়ক অবরোধ, হরতালসহ আরো কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। </p> <p>বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, একজন সৎ, জনবান্ধব ও দক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। তার বদলির কথা শুনে সাধারণ মানুষ চোখের পানি ফেলে। নামাজ পড়ে দোয়া করে। তার মতো একজন দক্ষ লোককে আমরা হারাতে চাই না। তাকে আমরা আরো অন্তত দুটি বছর আমতলীতেই রাখতে চাই। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের কাছে তার বদলির আদেশ প্রত্যাহার করে আমতলীতে রাখার জোর দাবি জানাই।</p> <p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে প্রশাসনে তার মতো সৎ, নিষ্ঠাবান ও জনবান্ধব কর্মকর্তা প্রয়োজন। আমতলী উপজেলাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে তার মতো দক্ষ ইউএনও আমতলীতে খুবই প্রয়োজন। তাই সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের ছাত্র সমাজের আবেদন, তাকে আমতলীতে পুর্নর্বহাল করা হোক। অন্যথায় আমতলী উপজেলাকে কমপ্লিট শাটডাউন করে দেওয়া হবে।</p> <p>উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমকে কুমিল্লায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ইউএনওর বদলির আদেশ প্রত্যাহার ও বদলি ঠেকাতে মাঠে নামে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। দফায় দফায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে তারা। </p>