আক্কেলপুরে এক রাতে ৬ থ্রি ফেজ মিটার চুরি, রেখে গেছে ফোন নম্বর

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
আক্কেলপুরে এক রাতে ৬ থ্রি ফেজ মিটার চুরি, রেখে গেছে ফোন নম্বর
ছবি : কালের কণ্ঠ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নে এক রাতে ৬টি গভীর নলকূপের থ্রি ফেজ বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট রেখে গেছে, যেখানে যোগাযোগের জন্য একটি ফোন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।

নিয়মিত নলকূপের মিটার চুরির ফলে নলকূপের মালিকরা বিপাকে পড়েছেন।

কৃষকরা ফসলের বিশেষ করে আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

জানা গেছে, তিলকপুর ইউনিয়নের পাঠানধারা মাঠ থেকে আজাদ হোসেনের, করমজি মাঠ থেকে আসলাম হোসেনের, পুকুড়িয়া পাড়ার মাঠ থেকে শাহানুর আলম শান্টুর, কয়া গোপীনাথপুর মাঠ থেকে খোরশেদ আলমের, কাদোয়া মাঠ থেকে শহীদুল ইসলামের এবং কয়া গোপীনাথপুর এলাকার মেহেদী হাসানের কারখানার থ্রি ফেজ মিটার চুরি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি মিটার চুরির পর চোরেরা যোগাযোগের জন্য একটি ফোন নম্বর রেখে যায়। নম্বরে যোগাযোগ করলে চোরচক্র বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করে।

টাকা না দিলে ফের চুরি করার হুমকি দেওয়া হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত মালিক শাহানুর আলম শান্টু বলেন, ‘নিয়মিত মিটার চুরির কারণে পাহারা দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। চোরেরা চুরির সময় হুমকিও দিয়ে যায়।

এর আগেও আমার মিটার চুরি হয়েছে। আমাদের দেখার কেউ নেই।’

কৃষক শাহাদত হোসেন বলেন, ‘ফসলে সময়মতো পানি দিতে না পারলে ফসলের অনেক ক্ষতি হবে। প্রায়ই মিটার চুরির ঘটনা ঘটে, যা আমাদের বড় সমস্যায় ফেলেছে।’

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো কোনো গ্রাহক অভিযোগ করেননি।

তবে এলাকায় নিয়মিত মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে। গ্রাহকরা আমাদের বিষয়টি অবগত করলে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করব।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘মিটার চুরির বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিয়মিত মিটার চুরির কারণে নলকূপ মালিক এবং কৃষকরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।

মন্তব্য

কর্ণফুলীতে লোকালয়ে বন্য হাতির তাণ্ডব, ৪ বাড়িঘরে ভাঙচুর

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
কর্ণফুলীতে লোকালয়ে বন্য হাতির তাণ্ডব, ৪ বাড়িঘরে ভাঙচুর
ছবি: কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় লোকালয়ে ঢুকে চারটি বসতবাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্য হাতির দল।

গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন স্থানীয় মো. ওমর, আযম, মো. জামাল, মো. নজরুল ইসলাম।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি রাতেই লোকালয়ে ঢুকে বন্য হাতি মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে বন্য হাতি বাড়িতে ঢুকে প্রথমে গাছপালা উপড়ে ফেলে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ধান ও মালামাল নষ্ট করে। বন্য হাতি নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

এ বিষয়ে বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (৭ নম্বর ওয়ার্ড) ইলিয়াস বলেন, ‘বন্যহাতি লোকালয়ে এসে চারটি পরিবারের সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।

বন্য হাতির কারণে জানমাল নিয়ে চরম আতংকে আছে এখানকার বাসিন্দারা।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতি

সভাপতি জামায়াতের, সাধারণ সম্পাদক বিএনপির

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী প্রতিনিধি
শেয়ার
সভাপতি জামায়াতের, সাধারণ সম্পাদক বিএনপির
বাঁ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ছবি : কালের কণ্ঠ

নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত আল ফারুক আব্দুল লতিফ সভাপতি এবং বিএনপি সমর্থিত আল মাসুদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জেলা আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে আল ফারুক আব্দুল লতিফ ৯৮ ভোট পেয়েছেন। তিনি জেলা জামাযাতের সহকারী সেক্রেটারি।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু মো. সোয়েম পেয়েছেন ৮৩ ভোট। তিনি জেলা জজ আদালতের জিপি এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে অপর প্রার্থী আব্দুল লতিফ সরকার পেয়েছেন ৩১ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে আল মাসুদ চৌধুরী ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি জেলা জজ আদালতের পিপি ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৬৬ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবুল কালাম আজাদ ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত আশরাফুল লতিফ কিবরিয়া পেয়েছেন ৮১ ভোট।

১৩০ ভোট পেয়ে বিএনপি সমর্থিত হাসনেন ইমাম সোহেল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৯ ভোট।

১২২ ভোট পেয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত গোলাম মোস্তফা সজীব। তার নিকটতম মো. সেলিম শাহ্ পেয়েছেন ৯১ ভোট (আ. লীগ সমর্থিত)।

১০৯ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত আসাদুজ্জামান খান রিনো।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক হোসেন সরকার ভোট পেয়েছেন ১০৫ (আ. লীগ সমর্থিত)।

১২৬ ভোট পেয়ে জামায়াত সমর্থিত আনিছুর রহমান আজাদ লাইব্রেরি সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আলপনা রানী রায় রেখা ভোট পেয়েছেন ৮৪ (আ. লীগ সমর্থিত)।

১৩২ ভোট পেয়ে ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত মো. হুজুর আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ. লীগ সমর্থিত হৃদয় চন্দ্র শর্মা ভোট পেয়েছেন ৮২টি।

সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলে। গণনা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নীলফামারী আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. আবু আহমেদ নুরুল জাকী।

নীলফামারী আইনজীবী সমিতির ২২১ জন ভোটারের মধ্যে ২১৬ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ক্ষোভে উত্তাল কক্সবাজার

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ক্ষোভে উত্তাল কক্সবাজার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল। ছবি : কালের কণ্ঠ

কক্সবাজার জেলা শহরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার পর হঠাৎ করে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল বের হয়। ১৫ থেকে ১৬ জনের এই মিছিলের কারো ছিল মুখ খোলা আবার কারো মুখ ছিল মাস্ক দিয়ে ঢাকা।

সামনে ব্যানার নিয়ে তারা প্রধান সড়কের ঝাউতলার মোড় পর্যন্ত গিয়ে উধাও হয়ে যায়। মিছিলে নানা স্লোগান দেন তারা।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার শহরে আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাস্তায় নামে ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরও।

একসঙ্গে চলে বিক্ষোভ মিছিল।

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে কক্সবাজার। এ সময় ছাত্রনেতারা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোকে হুঁশিয়ার করে দেন।

শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় সংক্ষিপ্ত পথসভা করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় ছাত্র প্রতিনিধি শাহেদ বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমরা ছাত্রলীগকে বলেছিলাম “দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইও না”।

তাই হয়তো তার টুস করে দেখা দিতে এসে আবারও টুস করে গর্তে মিলিয়ে গেছে।’

জেলা ছাত্রদল নেতা ফাহিমুর রহমান বলেন, ‘শান্ত কক্সবাজারকে অশান্ত করার পায়তারা করছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। আওয়ামী লীগের এই পায়তারা কক্সবাজারবাসী যে কোন মূল্যে রুখে দেবে।’

ছাত্রলীগের মিছিলের কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। যা কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের লালদিঘি পাড়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুর রহীম নূরী বলেন, ‘এখনো আমাদের শরীরের রক্ত গরম হয়নি।’

শিবির নেতা বলেন, ‘যে দিন রক্ত গরম হবে সে দিন এই কক্সবাজার থেকে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।’

তিনি ঝটিকা মিছিলের সাথে জড়িত সকলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মেঘনা নদীতে ডাকাতদলের গোলাগুলি, নিহত ২

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
মেঘনা নদীতে ডাকাতদলের গোলাগুলি, নিহত ২
ছবি: কালের কণ্ঠ

চাঁদপুর-মুন্সীগঞ্জ মেঘনা নদীর নৌ সীমানার বাহেরচর এলাকায় বিবদমান নৌ ডাকাত দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

নিহতরা হলেন চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামের রিফাত (২৯) ও মুন্সিগঞ্জের রাসেল (৩০)। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ আহত আইয়ুব আলী নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনাটি মেঘনা নদীতে ঘটেছে।

আমরা সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এসে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছি। আরেকজন গুলিবিদ্ধকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত আরো জানানো যাবে।

চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি চাঁদপুর-মুন্সীগঞ্জ মেঘনা নদীর নৌ সীমানায় সংঘটিত হয়েছে।

সেখানে নৌ ডাকাত সর্দার কানা জহির ও কিবরিয়া পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।’

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বিবদমান কানা জহির ও কিবরিয়া এই দুই পক্ষ ডাকাতি ও বালু মহলের সঙ্গে জড়িত। দিনের বেলায় তাদের উৎপাত না থাকলেও রাতের বেলায় আধিপত্য বিস্তার করতে বেপরোয়া হয়ে উঠে পক্ষগুলো। তারই জের ধরে রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষ হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ