মোমের মতো গলবে চর্বি, খেতে হবে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মোমের মতো গলবে চর্বি, খেতে হবে যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি ঝরানো বা ওজন কমানো অনেকের কাছেই এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদিও বাড়তি মেদ ঝরানো মোটেও মুখের কথা নয়। এর জন্য মানতে হবে কঠোর নিয়ম। ডায়েট থেকে শুরু করে ওয়ার্কআউট টাইম, পর্যাপ্ত ঘুম, জীবনযাপন এবং আরো অনেক কিছু এই ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে, যাতে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। সেই কাজের মধ্যে অন্যতম সঠিক খাবার খাওয়া। কিভাবে মানবেন সেসব নিয়ম, তা জানবেন এই প্রতিবেদনে।

চর্বি গলাবে যেসব খাবার

সঠিক খাবার বিপাক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, অবশেষে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

দিনের শুরুতে সঠিক খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আপনার শরীরকে পুরো দিনের জন্য সেট করে। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা ওজন কমানোর জন্য খালি পেটে খেতে হবে।

আরো পড়ুন
প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

 

লেবু দিয়ে গরম পানি

এক গ্লাস গরম পানি ও লেবু দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন।

লেবু পানি বিপাক হার বাড়ায় এবং হজমে উন্নতি করতে সহায়তা করে। লেবুর অম্লতা পিত্ত উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, যা শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া পানি দীর্ঘ রাতের বিশ্রামের পরে শরীরকে হাইড্রেট করতে সহায়তা করে।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার

অ্যাপল সিডার ভিনেগার রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য রাখতে সহায়তা করে। এটি বিপাক হার বাড়িয়ে তোলে।

যার ফলে চর্বি গলানো অনেক সহজ হয়। এটি আপনার খিদে নিবারণ করতে এবং সারা দিন খিদে কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন, এতে ওজন কমবে খুব তাড়াতাড়ি।

ওটস

ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, বিশেষত বিটা-গ্লুকান, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরে রাখে। খালি পেটে ওটস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল হয়। এতে শক্তি বাড়ে।

আরো পড়ুন
শীতে ওজন কমবে যে চার অভ্যাসে

শীতে ওজন কমবে যে চার অভ্যাসে

 

গ্রিন টি

গ্রিন টিতে ক্যাটচিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বিপাক হাড় বাড়ায়। মেদ ঝরাতে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করা হয়। খালি পেটে এক কাপ গ্রিন টি পান করলে ফ্যাট বার্ন হয়, এতে দ্রুত ওজন হ্রাস পায়।

গ্রিক দই

গ্রিক দই প্রোটিন ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। প্রোটিন পেশি তৈরি করতে সহায়তা করে এবং পেট ভরিয়ে রাখে। যখন প্রোবায়োটিকগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, তখন বিপাক হার আরো ভালো হয়, হজমশক্তিরও উন্নতি ঘটে।

আরো পড়ুন
শীতে যে তেলের মালিশ করলে শিশুর পেশি হবে শক্তিশালী

শীতে যে তেলের মালিশ করলে শিশুর পেশি হবে শক্তিশালী

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোমর ব্যথার রোগীদের রোজায় করণীয়

শেয়ার
কোমর ব্যথার রোগীদের রোজায় করণীয়
সংগৃহীত ছবি

রোজা রেখে কোমর ব্যথা হলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন এবং কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যা আপনার অবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।

চলুন জেনে নেই রোজার সময় কোমর ব্যথায় রোগীদের যেসব নিয়ম মেনে চলা জরুরি। 

সাহরি ও ইফতারে উপযুক্ত খাবার নির্বাচন

প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন: মাছ, মুরগি, ডিম, দুধ, দই, বাদাম, ছোলা ও শাকসবজি খাবেন।

এগুলো হাড় ও পেশিকে শক্তিশালী করে ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার যেমন: হলুদ, আদা, রসুন, অলিভ অয়েল, বাদাম ও সামুদ্রিক মাছ খেলে ব্যথা কমে। এছাড়া ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন: দুধ, দই, পনির, মাশরুম, সূর্যমুখীর বীজ, বাদাম ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চেষ্টা করবেন সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শরীরে পানির ঘাটতি হলে মাসল জয়েন্ট শুকিয়ে গিয়ে কোমর ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। ইফতার থেকে সাহরির মধ্যে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। চা-কফি বা সফট ড্রিংক কম পান করুন। কারণ এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।

ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

এসব খাবার প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া বেশি লবণ খেলে শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে। যা কোমর ব্যথার সমস্যা বাড়াতে পারে।

কোমর ব্যথা হলে বেশি নরম বা খুব শক্ত বিছানায় না শুয়ে মাঝারি-কঠিন গদি ব্যবহার করুন। চিত হয়ে শোয়ার সময় হাঁটুর নিচে একটি বালিশ দিন।

পাশ ফিরে শোয়ার সময় দুই হাঁটুর মাঝে বালিশ রাখুন। অতিরিক্ত উঁচু বালিশ ব্যবহার করবেন না। এটি মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করতে পারে।

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। প্রতি ৩০-৪৫ মিনিট পর একটু হাঁটুন। শরীর নড়াচড়া করুন। সোজা হয়ে বসুন। বেশি নীচু বা শক্ত চেয়ারে না বসে কুশনযুক্ত চেয়ার ব্যবহার করুন। ভারি বস্তু তুলতে হলে কোমর সোজা রেখে হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন। কোমর বাঁকা করবেন না।

কোমর ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি খুবই কার্যকারী চিকিৎসা পদ্ধতি। রমজানে কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হলে ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহার কমাতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন। ইফতারের পর হালকা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। যদি ব্যথা বেশি হয় তাহলে গরম সেঁক (হট প্যাক) বা ঠান্ডা সেঁক (আইস প্যাক) দিন। ব্যথানাশক জেল বা পেইন রিলিফ স্প্রে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

মন্তব্য

রোজায় পানিশূন্যতা বাড়ায় যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রোজায় পানিশূন্যতা বাড়ায় যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

রমজান মাস একটি মহিমান্বিত মাস। এই মাসে মুসলমানরা দিনের বেলায় না খেয়ে রোজা পালন করেন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে কারণে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ কারণে চিকিৎসকরা ইফতার ও সাহরিতে পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন।

অনেকে পর্যাপ্ত পানি না পান করার কারণে পানিশূন্যতায় ভোগেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন শরীর পানিশূন্য হয়, তখন বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। এ কারণে রোজা রেখে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি রোজা রেখে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত যেগুলো পানিশূন্যতা বাড়ায়।

তা না হলে শরীর পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কী সেই খাবার, চলুন জেনে নেওয়া যাক—

আরো পড়ুন
ইফতারে জমবে কাশ্মীরি চিকেন পোলাও, যেভাবে রান্না করবেন

ইফতারে জমবে কাশ্মীরি চিকেন পোলাও, যেভাবে রান্না করবেন

 

লবণাক্ত খাবার

চিপস, আচার, টিনজাত খাবার ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবারে লবণ বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরকে কোষ থেকে পানি টেনে নিতে বাধ্য করে। যার ফলে দিনের বেলায় পিপাসা বাড়ে।

তখন শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।

ক্যাফিনযুক্ত পানীয়

কফি, চা ও সোডায় থাকা ক্যাফেইন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এর অর্থ হলো এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যেহেতু রোজা রেখে পানি খাওয়া যাবে না, তাই সাহরির সময় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।

আরো পড়ুন
কর্মজীবীদের রমজানের রুটিন যেমন হওয়া উচিত

কর্মজীবীদের রমজানের রুটিন যেমন হওয়া উচিত

 

চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়

মিষ্টি, চিনিযুক্ত পেস্ট্রি, সোডা ও এনার্জি ড্রিংকের মতো পানীয়ের মতো উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে।

এর ফলে শরীরে তৃষ্ণার্ত ভাব আরো বেড়ে যেতে পারে।

ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার

চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও অন্যান্য ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে সাধারণত সোডিয়াম ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরে পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। এই খাবারগুলো হজম করাও কঠিন। এসব খাবার খেলে শরীরে অলসতা দেখা দেয়। যার ফলে শরীরের হাইড্রেটেড থাকার ক্ষমতা হ্রাস পায়।

আরো পড়ুন
অন্ধকারে স্মার্টফোন-কম্পিউটার ব্যবহারে চোখের কী ক্ষতি

অন্ধকারে স্মার্টফোন-কম্পিউটার ব্যবহারে চোখের কী ক্ষতি

 
মন্তব্য

মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে কী হয়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে কী হয়
সংগৃহীত ছবি

জিলাপি, সন্দেশ, রসগোল্লা, পানতুয়া, কিংবা চমচম। টুক করে মিষ্টি মুখে পুরে খাওয়ার পর পানি খেয়ে নিলেন। এটা মোটামুটি আমাদের সবারই অভ্যাস। কিন্তু জানেন কি, মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে আমাদের শরীরে কী হয়?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিষ্টি খাওয়ার পর অবশ্য়ই পানি পান করুন।

এর ফলে শরীরে অপকারের তুলনায় উপকারই বেশি। তাদের মতে, মিষ্টি খেলে শরীরে হঠাৎ করে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। একে বলে সুগার স্পাইক। যারা ব্লাড সুগারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদেরই শুধু এই সমস্যা হয় না।
সবার ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে। তাই মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে এই সুগার স্পাইকের সমস্যা ঘটে না।

আরো পড়ুন
ইফতারে জমবে কাশ্মীরি চিকেন পোলাও, যেভাবে রান্না করবেন

ইফতারে জমবে কাশ্মীরি চিকেন পোলাও, যেভাবে রান্না করবেন

 

পানি যেকোনো খাবার সহজে হজম করার কাজ করে। তাই মিষ্টিজাত খাবারকে সঠিকভাবে হজম করার জন্য পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মিষ্টি খেলে দাঁতের ব্যাকেটেরিয়া আরো বেশি সক্রিয় হতে পারে। তাই পানি খেলে সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়। দাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

যারা মাড়ির ব্যথায় সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খান। না হয় ব্যথা আরো বাড়তে পারে।

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

রোজায় কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখার সাত উপায়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রোজায় কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখার সাত উপায়
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীরকে ডিটক্স করার কথা বললেই অনেকে ‘মিরাকল ক্লিন্স’ বা ‘তাৎক্ষণিক সমাধান’ নিয়ে বিভ্রান্ত হন। কিন্তু বাস্তবে, আমাদের কিডনি ও লিভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। তাই কঠোর ডিটক্স প্রোগ্রামের পরিবর্তে, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।

সাতটি সহজ উপায় অনুসরণ করলে কিডনি ও লিভার সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকবে।

১. সালফার সমৃদ্ধ খাবার খান

লিভার সালফার খুবই পছন্দ করে! রসুন, পেঁয়াজ, ব্রোকলি এবং ফুলকপির মতো সালফার সমৃদ্ধ খাবার লিভারকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। এই খাবারগুলো ভারী ধাতু ও অন্যান্য টক্সিন দূর করতে কার্যকর। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন বা ব্রোকলি যোগ করুন এবং লিভারকে তার কাজ সহজ করতে সহায়তা করুন।

আরো পড়ুন
এক দিন ‘ম্যানেজ’ করলেই ঈদে ছুটি মিলবে ৯ দিন

এক দিন ‘ম্যানেজ’ করলেই ঈদে ছুটি মিলবে ৯ দিন

 

২. ইনফিউজড পানি পান করুন

কিডনির সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে এতে একটু বৈচিত্র্য আনতে পারেন! শসা, পুদিনা বা আদা দিয়ে পানি ইনফিউজ করলে তা শুধু স্বাদ বাড়াবে না, বরং অতিরিক্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে যদি আপনি কোনো ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে যেকোনো ভেষজ ইনফিউশন গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

৩. খাবারে ধনিয়া যোগ করুন

ধনিয়া শুধু একটি সুগন্ধযুক্ত মসলা নয়—এটি প্রাকৃতিক ডিটক্স উপাদানও বটে! গবেষণায় দেখা গেছে, ধনিয়া ভারী ধাতু দূর করতে সহায়ক, যা লিভারের জন্য উপকারী। আপনি সালাদ, স্মুদি বা জুসে ধনিয়া যোগ করতে পারেন।

এতে লিভার সুস্থ থাকবে এবং খাবারের স্বাদও বাড়বে।

৪. কিডনির জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান ব্যবহার করুন

ভেষজ উপাদান দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সুস্থতার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে ড্যান্ডেলিয়ন (Dandelion) কিডনি ডিটক্সে সহায়ক বলে পরিচিত। আপনি চাইলে ড্যান্ডেলিয়ন চা পান করতে পারেন বা এর মূল বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি আপনার কিডনি সম্পর্কিত কোনো সমস্যা থাকে বা ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আরো পড়ুন
শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে : উপদেষ্টা আসিফ

শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে : উপদেষ্টা আসিফ

 

৫. খনিজ উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখুন

কিডনির কার্যকারিতার জন্য পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান দরকার। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে তা কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই ফলমূল, শাকসবজি, হোল গ্রেইন ও দুগ্ধজাত খাবার থেকে খনিজ গ্রহণ করে ভারসাম্য বজায় রাখুন। আর যদি মিনারেল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে চান, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৬. লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম সক্রিয় রাখতে ড্রাই ব্রাশিং করুন

একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায় হলো ড্রাই ব্রাশিং! নরম ব্রিসলের ব্রাশ দিয়ে ত্বকে হালকা ঘষামাজা করলে লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম সক্রিয় হয়, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। এটি কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বককেও উজ্জ্বল রাখে।

৭. পরিবেশগত দূষণ থেকে দূরে থাকুন

বায়ুদূষণ, রাসায়নিক উপাদান ও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের লিভার ও কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তাই এসব বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব কমান। প্রাকৃতিক ক্লিনিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন, বিশুদ্ধ পানি পান করুন এবং যখন সম্ভব, তখন অর্গানিক খাবার খান। এতে লিভার ও কিডনির ওপর চাপ কমবে এবং শরীর সহজেই বিষাক্ত উপাদান দূর করতে পারবে।

আরো পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাহিদের মন্তব্যে যা জানালেন উমামা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাহিদের মন্তব্যে যা জানালেন উমামা

 

কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখার জন্য কঠোর ডায়েট বা ডিটক্স প্রোগ্রামের প্রয়োজন নেই। বরং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান এবং পরিবেশগত দূষণ থেকে দূরে থাকার মাধ্যমেই আমরা আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে পারি। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ