গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশে বালুর গদি থেকে সাজিদ আহমেদ সাফাত (৫ বছর ১১ মাস) নামে এক শিশুছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল আটটার দিকে উপজেলা সদরের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সাজিদ আহমেদ সাফাত কাপাসিয়া উপজেলার দস্যুনারায়ণপুর এলাকার সৌদিপ্রবাসী সোহাগ হোসেনের ছেলে। সাফাত দস্যুনারায়ণপুর বঙ্গতাজ প্রি-ক্যাডেট অ্যাকাডেমির নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, মরদেহটির নিচের প্রায় অর্ধেক অংশ ছিল প্লাস্টিকের বস্তায় বাঁধা। গলায় বাঁধা ছিল প্লাস্টিকের লম্বা রশি। কে বা কারা শিশুটিকে তুলে নেওয়ার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে বালুর গদিতে ফেলে গেছে।
আরো পড়ুন
ব্যবসা শুরু করলেন স্বাগতা
সাফাতের স্বজনরা জানান, শিশুছেলেটির বাবা সৌদিতে থাকায় তার মা তাকে নিয়ে নানাবাড়িতে থাকতেন।
সেখান থেকে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পশ্চিম পাশের সড়ক থেকে সে নিখোঁজ হয়।
সাফাতের মা শান্তা মনি জানান, সড়কের পাশে খেলছিল তার ছেলে। দুপুর সাড়ে ১২টার পর তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো হদিস পাননি তারা।
পরে ওইদিন সন্ধ্যায় কাপাসিয়া থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরও তাঁর ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো তৎপরতা দেখায়নি।
আরো পড়ুন
সাবেক মেয়র আতিক চার দিনের রিমান্ডে
কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি জানান, আজ বুধবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে প্রতিবেশীরা তার বাড়ির পাশে বালুর গদিতে তার ছেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
প্রতিবেশী মিন্টু মিয়া জানান, মরদেহের পা থেকে কোমর পর্যন্ত প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা ছিল। গলায় প্লাস্টিকের লম্বা রশি বাঁধা ছিল।
মনে হচ্ছে, কে বা কারা শিশুটিকে তুলে নেওয়ার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তায় ভরে মরদেহ ফেলে গেছে।’
আরো পড়ুন
রমজানের আগেই যেসব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি
কাপাসিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত জড়িতদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করতে পারব।’