দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, সব অবিচারের বীজ হল দুর্নীতি। আমাদের সবার আকাঙ্ক্ষা ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের সদিচ্ছা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ১৭০ তম গণশুনানির উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনে যারা কাজ করছে, তারা দুর্নীতিগ্রস্ত কি-না সে বিষয়টি সবাইকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা এটি যদি নিশ্চিত করতে পারেন যে, যারা দুর্নীতি দমন কমিশনে কাজ করছেন তারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, তাহলে দুর্নীতি দমনে বেশ খানিকটা অগ্রগতি হচ্ছে।’
দুর্নীতি দমনের প্রধান সংকট সেবাদাতাকে নিয়ে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সেবাগ্রহীতার ভালো সেবা পাওয়ার প্রত্যাশা থাকতেই পারে। সেবাদাতা যারা, তারা যদি ক্ষমতা অপব্যবহার না করে ক্ষমতাকে দায়িত্ব মনে করি; তাহলে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
’
ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজধানীর বাইরে জেলা পর্যায়ে দুদকের প্রথম গণশুনানি। এই শুনানি ৪টি বুথে সেবাবঞ্চিত জনসাধারণের ১৩৯টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে ৪০টি অভিযোগ বাছাই করে গণশুনানিতে উপস্থাপিত হয়।’
গণশুনানিতে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড, বিদ্যুৎ বিভাগ, জেলা সদর হাসপাতাল, কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে সাধারণ সেবা গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণশুনানি করা হয়।