ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৮ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

দোহারে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি

  • সড়ক দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড 
  • পথচারিদের ভোগান্তি চরমে
ফারুক আহমেদ, দোহার (ঢাকা)
ফারুক আহমেদ, দোহার (ঢাকা)
শেয়ার
দোহারে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঢাকার দোহারে সড়ক দখল করে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে বাসস্ট্যান্ড। স্ট্যন্ডে যত্রতত্র বাস পার্কিং করায় পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। ফলে চলতি রমজান ও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বিপনী বিতানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসা নারী-পুরুষরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।

স্থানীয়দের দাবির মুখে অবৈধ বাসস্যান্ড সরাতে বাস মালিকদের বেধেঁ দেওয়া এক মাস সময় অতিক্রম হলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে বাসস্ট্যান্ডের কার্যক্রম।

এতে সাধারণের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আরো পড়ুন

সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া কালেমা চত্বরে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পৌরসভার চলাচলের প্রধান সড়ক দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে জয়পাড়া পরিবহন ও ডিএনকে পরিবহনের বাসস্ট্যান্ড। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজি সড়কের পাশে স্ট্যান্ড করে রাখা হয়। জয়পাড়া এই স্ট্যান্ড থেকে গুলিস্তানগামী বাস যাতায়াত করে।

যাত্রী নিয়ে আবার নির্ধারিত স্থানে ফিরে এসে স্ট্যান্ডে সিরিয়ালে দাঁড়ায় বাস। ফলে দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুন

একদিনেই ঘুরে দেখা সম্ভব পৃথিবীর যে দেশ

একদিনেই ঘুরে দেখা সম্ভব পৃথিবীর যে দেশ

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জয়পাড়া কালেমা চত্বরে স্ট্যান্ড করা বাস গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া মাত্র উপজেলার গেটে এসেই তীব্র জ্যামের মুখোমুখি হয়। কারণ বাসগুলোকে এই মোড়েই ইউটার্ন নিতে হয়।

এসময় সড়কের দুদিকে চলা পথচারিরা পড়েন বিপাকে। তখন এ যানজটের প্রভাব পড়ে থানার মোড়, জয়পাড়া বাজার, ওয়ান ব্যাংক মোড়, করমআলী মোড়সহ আশপাশের সব সড়কগুলোতে।

জয়পাড়া কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী রামিম বলেন, 'আমার বাড়ি বটিয়া এলাকায়। বাসা থেকে কালেমা চত্বর পর্যন্ত আসতে পারলেও যানজটের কারণে কলেজে যেতে প্রায় ৩০ মিনিট লেগে যায়। বাসস্ট্যান্ডটি এখান থেকে সরানোসহ রাস্তার দুইধারে ফুটপাত দখল করে থাকা অটো গাড়ি পার্কিং এবং রাস্তার দুইপাশের হকারদের সরিয়ে নিলে জয়পাড়া পূর্ব বাজারের যানজট কমে যাবে।

দোহারবাসীর একটাই দাবী জনবহুল এই স্থানটি থেকে বাসস্ট্যান্ডটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হোক তাহলেই এ দুরাবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।'

আরো পড়ুন

চালের তালিকা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

চালের তালিকা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদুর রহমান আদনান বলেন, '৫ই আগষ্টের পর ইতোমধ্যে তিনজন ইউএনওর সঙ্গে বেশ কয়েকবার বাসস্ট্যান্ডটির সমস্যা নিয়ে সভা করেছি। আমরা বুঝানোর চেষ্টা করেছি বৃহত্তর জয়পাড়া বাজারের যানজটের অন্যতম কারণ হলো এই স্ট্যান্ড। স্ট্যান্ডটি সরানো নিয়ে একমাসের সময় বেঁধে দিলেও এখনো সরেনি। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নির্দেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে প্রশাসন।'

এ ব্যাপারে ডিএন পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব বলেন, 'আমরা এক মাসের সময় চেয়েছি। এ মাসের মধ্যে আমরা বাসগুলো সরিয়ে নিব।'

আরো পড়ুন

‘ভয়ংকর ত্রাস’ জিয়াউলকে নিয়ে অজানা তথ্য দিলেন সাবেক সেনাপ্রধান

‘ভয়ংকর ত্রাস’ জিয়াউলকে নিয়ে অজানা তথ্য দিলেন সাবেক সেনাপ্রধান

 

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাব্বাসুম বলেন, 'আমরা তাদেরকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে ১ মাসের সময় দিয়েছি। অমান্য করলে শীঘ্রই উচ্ছেদ করা হবে।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খুলনায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া
সংগৃহীত ছবি

রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের টহল। ঈদের কেনাকাটা তখনো চলছে। বরাবরের ন্যায় নগরীর সাত রাস্তার মোড়ে আছে মানুষের জটলাও। এমন এক ব্যস্ততম নগরীতে রাত পৌনে ১১টার দিকে ঘটে গেল সন্ত্রাসীদের মহড়া।

কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৮/১০টি মোটরসাইকেলযোগে আসা অস্ত্রধারীরা সাত রাস্তা মোড়ের বিএমএ ভবনের সামনে এসে মোটরসাইকেলগুলো থামিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পিটিআই মোড়ের দিকে চলে যায়।

এ ছাড়া একটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। আচমকা এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ঘটনাটি শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতের।

 

ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফাঁকা গুলি ছুড়ে অস্ত্রধারীরা তাৎক্ষণিক কয়েকটি গুলির খোসা কুড়িয়ে নিয়ে যায়। 

খবর পেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু এ ঘটনা কেন বা কারা ঘটিয়েছে সেটি জানাতে পারেনি পুলিশ।

 

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এমনিতেই নগরীর প্রতিটি মোড়ে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে ফাঁকা গুলি ও ককটেল হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

মন্তব্য
কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় কুমিল্লার চার সাংবাদিককে মারধর, ফাঁকা গুলি

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় কুমিল্লার চার সাংবাদিককে মারধর, ফাঁকা গুলি
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু’র সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় মেডিক্যালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা চার সাংবাদিককে মারধর ও একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে বলে জানা গেছে। 

এদিকে  ঘটনার পর কুমিল্লায় কর্মরত সব সাংবাদিকরা কুমেকের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও পূবালী চত্বরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কুমিল্লায় কর্মরর্ত সাংবাদিকরা।

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে জানায় সাংবাদিক নেতারা।  

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৭ম তলায় এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে। 

আহত সাংবাদিকরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, চ্যানেল ২৪ কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মো. জাহিদুর রহমান, যমুনা টিভি ক্যামেরাপার্সন জিহাদুল ইসলাম সাকিব ও ইরফান।

 

ভুল চিকিৎসায় নিহত পারুলের স্বজন সাইফুল মাহিন জানান, আমার খালা ৭ম তলার একটি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। পরে ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত  চিকিৎসক একজনের অন্য আরেকজনের ইনজেকশন  আমার খালাকে পুশ করে পরে দুই মিনিটের মধ্যে আমার খালা মারা যায়। এই খবর পেয়ে সাংবাদিক এলে ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও বাহির থেকে আসা মেডিক্যালের ছাত্র ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের মারধর করে একটি রুমে আটকে রাখে। তাদের হাতে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপ ছিল।

 

আহত যুমনা সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের স্ত্রী ওয়ার্ডে ভুল ইনজেকশন ব্যবহার করার কারণে কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর এলাকার পারুল নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। ‘ভুল চিকিৎসায় ‘ ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে যমুনা টেলিভিশন ও চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিকরা যান। এ সময় ভবনের চারতলায় উঠলেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা দেন। 

একপর্যায়ে তারা বহিরাগত আরো ছাত্র ও চিকিৎসককে খবর দেন। তারা এসে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং দুটি ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, ট্রাইপড ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে এবং আমাদেরকে একটি রুমে আটকে রাখে।

এ ঘটনার পর হাসপাতালের ভেতরে আরো উত্তেজনা সৃষ্টি হলে যৌথবাহিনী পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। 

যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন জিহাদুল ইসলাম সাকিব জানান, আমরা ‘ভুল চিকিৎসা’য় রোগীর মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই। যাওয়ার পথেই আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। তাদের সবার হাতে স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপ ছিল। তারা থেমে থেমে কয়েক দফায় হামলা চালায়। 

এ ব্যাপারে জানতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. মাসুদুর রহমান একাধিক কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

মন্তব্য

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, সি‌লেট
নিজস্ব প্রতি‌বেদক, সি‌লেট
শেয়ার
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
ছবি: কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দল‌টি কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক বলেছেন, ‘যে আওয়ামী লীগের হাতে আমার হাজারো ভাইয়ের রক্ত লেগে আছে সে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মানুষ দেখতে চায় না।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে সিলেট নগরের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

‘গণহত্যায় সরাসরি জড়িত আওয়ামী লীগকে নতুন মোড়কে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে’ দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মন্তব্য

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। যেকোনো সময় ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

আহতরা হলেন- লিটন হাওলাদার, হোসেন মাতাব্বর, কাশেম বেপারী, মোস্তফা, মো. হেলাল, মো. কাউছার, ইসারুল্লা, মুর্তজা মাহি, জয়নালসহ ১০ জন। তাদের  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে।

তাদের মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। 

স্থানীয় বিএনপির ৩ নেতা জানায়, ফেসবুকে একটি পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল বাছেদ হাওলাদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে ঘটনার সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দার বলেন, বিএনপির লোকজন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ এবং মাদকের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে।

কিন্তু বাছেদ হাওলাদারের লোকজন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মিছিলে হামলা করে। এতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হামলায় আমাদের ৬-৭ জন আহত হয়।

তিনি বলেন, হাওলাদার পরিবার (বিএনপি নেতা বাছেদ হাওলাদার) আওয়ামী লীগের সময়ও সুবিধা নিতেন, এখন বিএনপির সময়ও সুবিধা নিচ্ছে- এ ধরনের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আমাদের লোকজনের ওপর এ হামলা করেছে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আবুল বাছেদ হাওলাদারের বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে তার ছেলে লিটন হাওলাদার বলেন, আমার বাবার নামে মামুন ফেসবুকে কয়েকটি কমেন্ট করে। এর প্রতিবাদে লোকজন মিছিল করতে গেলে অতর্কিত হামলা করে আমাদের লোকজনকে জখম করে।

রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, হাওলাদার ও সরদার পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। বিএনপির দলীয় বিরোধে ঘটেনি।

হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ