ভিজিএফের চাল লুটপাট, বিএনপির বিক্ষোভ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
শেয়ার
ভিজিএফের চাল লুটপাট, বিএনপির বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। লুটপাটে বাধা দিতে গিয়ে ইউপি সচিবসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এ বছর উদাখালী ইউনিয়নের ৪০৭৮টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি করে বিতরণের জন্য ৪০ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন চাল সরকার বরাদ্দ দেয়।

বরাদ্দ অনুযায়ী গত মঙ্গলবার দুস্থদের মাঝে টোকেন বিতরণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। বুধবার সকাল থেকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিত  বরাদ্দকৃত চাল টোকেন অনুযায়ী বিতরণ করতে থাকেন সংশ্লিষ্টরা। বিকেলে  চাল বিতরণের শেষ পর্যায়ে কিছু লোকজন বিতরণস্থল উদাখালী ইউপির চালের গুদামের সামনে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এসময় উপস্থিত লোকজন তাদের সাথে গুদামে অতর্কিতে প্রবেশ করে চালের বস্তা লুট করে এবং লুটপাটে বাধা দেওয়ায় ইউপি সচিব নুর আলমসহ বেশ কয়েকজন মারপিটের শিকার হন।

এবিষয়ে উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন আহমেদ বলেন, ‘চাল বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন চালের টোকেন দাবি করে আসছিলেন। তাদের দাবিকৃত চালের ভাগ না দেওয়ায় তারা বুধবার সকাল থেকেই বিতরণস্থলের আশেপাশে এসে লোকজনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বিকেলের দিকে গুদামে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় আমিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তা, ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশরা তাদের বাধা দেয়।

এক পর্যায়ে তারা লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে গুদামে প্রবেশ করে বিতরণের জন্য রক্ষিত চাল লুটপাট করে। তারা ইউপি সচিব, গ্রামপুলিশ ও বিতরণের কাজে নিয়োজিত কয়েকজনকে মারপিটও করে। 

তিনি বলেন, লুটপাটের ঘটনার পরপরেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবগত করার পর তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চাল বিতরণের শেষের দিকে আনুমানিক ২০-৩০ বস্তা (প্রতিবস্তা ৩০ কেজি) চাল থাকা অবস্থায় গুদামের দরজার সামনে টোকেনধারী ও টোকেন ছাড়াও কিছু লোকজন ভিড় করতে থাকে।

একপর্যায়ে তারা দরজা ধাক্কা দিয়ে জোরপূর্বক ভেতরে প্রবেশ করে চালের বস্তা লুটপাট করে। আমরা বাধা দিয়ে রক্ষা করতে পারিনি।’

বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জগৎবন্ধু মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়ায় যাবে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাকে এবিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর লুটকৃত চালের হিসাব পাওয়া যাবে।’

এদিকে উদাখালী ইউপি চেয়ারম্যান এ ঘটনায়  বিএনপির নেতাকর্মীদের দোষারোপ করায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ফুলছড়ি উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় হামলা ও চাঁদাবাজির মামলা!

কালাই উপজেলা প্রতিনিধি
কালাই উপজেলা প্রতিনিধি
শেয়ার
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় হামলা ও চাঁদাবাজির মামলা!
সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতার পিতা। সংগৃহীত ছবি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের বিরুদ্ধে থানায় হামলা, পুলিশ সদস্যদের আহত করা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এই মামলা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার বাবা মো. মাইনুর রহমান।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে ক্ষেতলাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাইনুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তিনি এসব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আরো পড়ুন
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

 

জানা যায়, গত ১৮ মার্চ বগুড়ার শাহজাহানপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেন ক্ষেতলালের মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জমি কেনার জন্য ক্ষেতলাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থসহ বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী জমি ক্রেতার কাছে চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তোফাজ্জল হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে মারামারিতে রূপ নেয়। বিএনপি কর্মীরা তোফাজ্জলের আত্মীয়দের মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত তোফাজ্জলকে উদ্ধার করে প্রথমে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় আহত তোফাজ্জলের স্ত্রী জয়নব বেগম থানায় চাঁদাবাজির মামলা করতে গেলে বিএনপি নেতারা দলবল নিয়ে থানায় গিয়ে হামলা চালায় বলে পুলিশ জানায়।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান সরকার জানান, বিএনপি নেতা মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে শতাধিক লোক থানায় হামলা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে তারা থানার ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন, এতে দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ডিবি পুলিশ এবং পাশের কালাই থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ওইদিন ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে এবং পরে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় থানার এসআই সঞ্চয় কুমার বর্মণ বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

অন্যদিকে, চাঁদাবাজির অভিযোগে তোফাজ্জলের স্ত্রী জয়নব বেগম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী আশিক পার্থের বাবা মাইনুর রহমান দাবি করেন, রাজনৈতিকভাবে তার ছেলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একই দলের কিছু প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সমর্থিত ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম চৌধুরীসহ কিছু ব্যক্তি তার ছেলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার ছেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। অথচ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করিয়েছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা খুরশিদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘থানায় হামলা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এখানে আমাকে এবং অন্যদের মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে। আসলে বাপ-বেটা মিলে আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’

ক্ষেতলাল থানার ওসি মাহবুবুর রহমান সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশি অভিযান চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ২

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ২
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, মাদক ও নগদ অর্থসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।

জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে উজিরপুর ইউনিয়নের একটি তিনতলা ভবনে তল্লাশি চালিয়ে দুজনকে আটক করে।

আরো পড়ুন
টঙ্গীতে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

টঙ্গীতে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

 

আজ বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ। আটকরা হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের মোকবুল আহমেদের ছেলে মো. লোকমান হোসেন (৪৩) ও একই এলাকার মোহাম্মদ মানিক মিয়ার ছেলে মো. মুশারফ হোসেন সৈকত (২২)।

ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া যায়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে তল্লাশি করে লোকমান হোসেনের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৭৫০ মিলি বিদেশি মদ, ৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৩ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২,৭৫৯ পিস ইয়াবা, ৩ বোতল ফেনসিডিল, ১২টি মোবাইল ফোন, ১টি আইপ্যাড, ২৩টি সিম কার্ড, নগদ ৩০,৫০০ টাকা ও ৩টি শীশা ফ্লেভার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন
নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই : আসিফ মাহমুদ

নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই : আসিফ মাহমুদ

 

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত সামগ্রী চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত পদক্ষেপ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হবে। 

মন্তব্য

টঙ্গীতে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
টঙ্গীতে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ছবি: কালের কণ্ঠ

গাজীপুরের টঙ্গীতে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পলাতক প্রধান আসামি রুহুল আমিনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছেন র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-১০ এর সদস্যরা।

আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে র‌্যাবের যৌথ অভিযানিক দল মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেন।

রুহুল আমিন মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থানার বেতকা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।

তিনি শিলমুন পশ্চিম পাড়া এলাকায় মজিবর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

র‌্যাব জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রতিবেশী রুহুল আমিন বাসার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কথা বলে কৌশলে শিশুটিকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর এলাকা থেকে পালিয়ে যান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনার ১০ দিন পর টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পিতা আবুল কালাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘র‌্যাব সদস্যরা আসামি রুহুল আমিনকে হস্তান্তরের পর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য

বাসার হারিয়ে যাওয়া চাবি ব্যবহার করে চুরি, গৃহকর্মী ও তার স্বামী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বাসার হারিয়ে যাওয়া চাবি ব্যবহার করে চুরি, গৃহকর্মী ও তার স্বামী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার সুবর্ণা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে হারিয়ে যাওয়ার চাবি ব্যবহার করে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় এক গৃহকর্মী ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মার্চ) জেলার সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—জাহেদা বেগম ও তার স্বামী নুরুল আলম।

বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান। 

ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘গৃহকর্মী জাহেদা বেগম সুবর্ণা আবাসিক এলাকায় সামারা ভবনের ৪র্থ তলায় একটি বাসায় কাজ করতেন। গত ১২ মার্চ বাসাটিতে কেউ না থাকার সুযোগে বাসাটির পূর্বে হারিয়ে যাওয়া চাবি ব্যবহার করে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে জাহেদা বেগম। তার সঙ্গে থাকা আরো দুই-তিনজনের সহযোগিতায় বাসা থেকে ১৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়া যায়।

এই ঘটনায় বাসাটির মালিক পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গুপ্তচরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সদরঘাট থানার কদমতলী রওশন মসজিদ গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গৃহকর্মী জাহেদা বেগম ও তার স্বামী নুরুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করার হয়।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ