ঢাকা, বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫
১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫
১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির মানববন্ধন

গাজার যুদ্ধ বন্ধ করে মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গাজার যুদ্ধ বন্ধ করে মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান
ছবি : কালের কণ্ঠ

গাজার যুদ্ধ বন্ধ করে মানবাধিকারকে রক্ষায় সমগ্র বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের সাম্প্রদায়িক শক্তি, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং যুদ্ধবাজ শক্তিকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন বেআইনি নয় : হাইকোর্ট

মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন বেআইনি নয় : হাইকোর্ট

 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী, আইইডির তারিক হোসেন, নিজেরা করির সোহানা আহমেদ, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রেখা চৌধুরী, এডাবের সমাপিকা হালদার, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সেলিনা পারভীন, একশনএইডের মৌসুমী বিশ্বাস, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের রুহুল আমিন, শিশু কল্যাণ পরিষদের মেহেরুননেসা প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘যেকোনো যুদ্ধের মতো ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘটিত যুদ্ধে নারী ও শিশুরা বেশি সহিংসতার শিকার হচ্ছে। গাজার এই সমস্যা হাজার বছরের। সারা বিশ্বের মানবাধিকারকর্মীদের এই জেনোসাইডের বিপক্ষে দাড়াতে হবে।’ এই জেনোসাইডের বিচার আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানান তিনি।

আরো পড়ুন
৭১৮৪ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

৭১৮৪ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

 

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘চলমান গণহত্যার মুখে সারা বিশ্বের নীরবতা দেখে বিশেষত পাশ্চাত্য দেশের নীরব ভূমিকা দেখে আমরা বিস্মিত। যারা মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের বড় বড় প্রতিশ্রুতির কথা শোনান, এখানে কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। অথচ এই যুদ্ধে নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। মানবাধিকার বোধ থাকলে এই হত্যাযজ্ঞ সহ্য করা সম্ভব নয়।

’ তিনি অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধের জন্য সমগ্র বিশ্বকে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান।

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী বলেন, ‘ক্ষমতার প্রভাবে এভাবে হত্যাযজ্ঞ চলতে পারে না। গাজার যুদ্ধ বন্ধে তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বকে জেগে উঠতে হবে। দখলদার বাহিনীকে সহায়তা করা পরাশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের সংঘর্ষ এড়াতে হচ্ছে সমঝোতা চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের সংঘর্ষ এড়াতে হচ্ছে সমঝোতা চুক্তি
ফাইল ছবি

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে উভয় কলেজের অধ্যক্ষ পর্যায়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে এই দুই কলেজসহ ধানমণ্ডি এলাকার আরো তিনটি কলেজ মিলে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করবে। সেই সমঝোতা চুক্তি অনুসরণ করলে এই ধরনে সংঘাত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ধানমণ্ডি থানায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষও উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন
দুবাইয়ে অর্থপাচারকারী ৭০ ব্যক্তি শনাক্ত, জানা গেল নাম

দুবাইয়ে অর্থপাচারকারী ৭০ ব্যক্তি শনাক্ত, জানা গেল নাম

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের সমঝোতার জন্য আমরা বসেছিলাম। সেখানে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপপ্রাপ্ত) অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার ও  সিটি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এফ এম মোবারক হোসাইনসহ আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এড়াতে তারা নিজেদের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি করবেন।

আজই একটা হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে, সেখানে এই এলাকার দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য ও কলেজের ঊর্ধ্বতনরা আছেন। এখানে সংশ্লিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। এই তিন কলেজের সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রব ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজও যুক্ত হবে। আশা করি, এই চুক্তিনামা মেনে চললে সংঘাত হবে না।

মঙ্গলবারের সংঘর্ষে ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘যারা সংঘর্ষে জড়িত তাদের শনাক্ত করে অভিভাবকদের ডেকে এনে শেষবারের মতো বোঝানো হবে। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সংর্ঘের দিন মামলা অথবা আইনগত বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আপাতত মামলা না, যেহেতু দুই পক্ষই শিক্ষার্থী। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে এটা শেষ করার চেষ্টা করছি।’ 

এর আগে গত মঙ্গলবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এই সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারী, সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতপালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের ক্লাস দুই দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন উভয় কলেজের অধ্যক্ষ।

মন্তব্য

কল্পনা নয়, বাস্তবসম্মত ঢাকা গড়ে তুলতে চাই : আদিলুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কল্পনা নয়, বাস্তবসম্মত ঢাকা গড়ে তুলতে চাই : আদিলুর রহমান
ছবি : কালের কণ্ঠ

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম কাজ ছিল বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করা। আমরা এটা করেছি। আমরা কল্পনার নয়, বাস্তবসম্মত ঢাকাকে গড়ে তুলতে চাই। আমরা ঢাকার সঙ্গে পাশের জেলাগুলোর কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।

’ 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজউক অডিটরিয়ামে রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
সিডনিতে সহকর্মীর পক্ষ নিয়ে বিপদে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

সিডনিতে সহকর্মীর পক্ষ নিয়ে বিপদে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

  

আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘ঢাকার পাশেই একসময় মধুপুর ভাওয়াল বনাঞ্চল ছিল, নগর তৈরি করতে গিয়ে তা ধ্বংস করে ফেলেছি। অপরিকল্পিত নগরায়ণ যেন না হয়, সে ক্ষেত্রে রাজউকের ভূমিকা রয়েছে। রাজধানীর উন্নয়নে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি।

সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কী কী পরিবর্তন জরুরি, এ জন্য সাধারণ মানুষের মতামত জানা প্রয়োজন। এখন রাজউক সেটা করছে।’

এ মতবিনিময়সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।

আরো পড়ুন
পরাজয়ের পুরো দায়ভার আমার : শান্ত

পরাজয়ের পুরো দায়ভার আমার : শান্ত

 

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জনবান্ধব ও যুগোপযোগী করতে টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ও বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্ট নতুন করে প্রণয়ন করতে হবে।

অল্প পরিবর্তনে কাজ হবে না। সময় ও বাস্তবতার চাহিদায় প্রয়োজনীয় কিছু রেখে নতুন করে প্রণয়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, রাজউকের বোর্ডে শুধু আমলা থাকলে চলবে না। বোর্ডে শহর পরিকল্পনায় দক্ষ বিশেষজ্ঞ রাখতে হবে। ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে কাজ করতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজউক চেয়ারম্যানের রেসিডেন্সিয়াল ভবনকে কমার্শিয়াল করার ক্ষমতা রহিত হওয়া উচিত। মহাপরিকল্পনার বাইরে না গিয়েই বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে ভালো কাজ করলে রাজউকের সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। রাজউকের যেকোন উন্নয়নে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।’

রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রাজউকের প্রধান সমস্যা ইমেজ সংকট। রাজউকের কর্মকর্তাদের সততা ও দ্রুততার সাথে সেবা দিতে হবে। রাজউক আর প্লট বরাদ্দ করবে না। রাজউকের যেসকল জায়গা অবৈধ দখলে আছে, সেসব জমি উদ্ধার করে নিম্ন বিত্ত ও নিম্ন মধ্য বিত্তদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করবে।

মতবিনিময় সভায় রাজউকের সহকারী পরিচালক ও পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, সকল প্রকৌশলী ও ইমারত পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. আলম মোস্তফা এবং রাজউকের সার্বিক কার্যক্রমের উপস্থাপনা করেন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম। মতবিনিময়সভায় রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা রাজউকের চলমান কার্যক্রম, কর্মপরিকল্পনা, সমাপ্ত প্রকল্পের এক্সিট প্লান ও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন।

মন্তব্য

কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম মূল্য সহায়তা কমিশন গঠনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম মূল্য সহায়তা কমিশন গঠনের দাবি
ছবি : কালের কণ্ঠ

কৃষকের উৎপাদিত ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে খানি-বাংলাদেশ। সংগঠনের পক্ষ থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ও চালের মতো অন্যান্য ফসল সরাসরি ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষিজোনভিত্তিক কমিউনিটি সংরক্ষণাগার এবং হিমাগার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়। প্রান্তিক কৃষকদের দীর্ঘদিনের মূল্য বঞ্চনার চিত্র ও সম্প্রতি মেহেরপুরের পেঁয়াজ চাষী সাইফুল শেখের আত্মহত্যার ঘটনায় সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছেন খানির সভাপতি ও কৃষি বিজ্ঞানী ড. জয়নুল আবেদীন।

আরো পড়ুন
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্থিরতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন : শিক্ষা উপদেষ্টা

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্থিরতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন : শিক্ষা উপদেষ্টা

 

 

বক্তৃতা করেন খানির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও স্ট্যাটিটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোশাহিদা সুলতানা, ইনসিডিন বাংলাদেশের মুশফিক সাব্বির, একশনএইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার অমিত রঞ্জন দে, সাংবাদিক সাইফুল মাসুম এবং পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-প্রাণের নির্বাহী প্রধান নুরুল আলম মাসুদ এবং আত্মহত্যার শিকার কৃষক সাইফুল শেখের মেয়ে রোজেফা খাতুন ও মা রমেসা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৬ মার্চ পেঁয়াজ চাষে লোকসান এবং ঋণ পরিশোধ করতে না পারার চাপে মেহেরপুর মুজিবনগরের পেঁয়াজ চাষি সাইফুল শেখ নিজ জমিতে বিষপান করেন এবং ২৮ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ এপ্রিল খানির সদস্য সংগঠন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, কৃষি গবেষক, লেখক ও সাংবাদিক সমন্বিত একটি তথ্যানুসন্ধান দল ভুক্তভোগী পরিবার, স্থানীয় কৃষক এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সাক্ষাৎ করে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করেন। এই পরিদর্শন, প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ এবং ভুক্তভোগীর পরিবার, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসহ অন্যান্যদের সাথে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে উঠে আসা প্রান্তিক কৃষকদের অসহনীয় বাস্তবতার চিত্র এই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে পেঁয়াজ চাষি সাইফুল শেখের মেয়ে রোজেফা খাতুন তার বাবার আত্মহত্যার কারণ হিসেবে চাষাবাদে আর্থিক ক্ষতির ফলে সৃষ্ট গভীর হতাশা ও মানসিক দুশ্চিন্তার কথা উল্লেখ করেন এবং এই ঘটনার পর তাদের পরিবারের চরম দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন। 

আরো পড়ুন
ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ১০ কি.মি যানজট

ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ১০ কি.মি যানজট

 

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা ও সারের দোকান থেকে ঋণ নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন। দুই বিঘা জমিতে চাষ করতে যেখানে আমার বাবার দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছিল, সেখানে তিনি বিক্রি করে পেয়েছিলেন মাত্র ৫৮ হাজার টাকা। শ্রমিকের খরচ দেওয়ার পর আর কত টাকাই থাকে? আমার বাবা প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলেন ৬০০ টাকায় অথচ এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০০০ টাকা।

আমার বাবার মতো কৃষকেরা যদি লোকসানের হতাশায় আত্মহত্যা করেন, তাহলে মানুষের মুখে খাবার তুলে দিবে কে?’

তিনি আরো বলেন, আমার সরকারের কাছে অনুরোধ শ্রমিকের অধিকার কৃষকের অধিকার নিশ্চিত করবেন। যেন আর কেউ তার বাবা না হারায়।

বক্তারা কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার দীর্ঘদিনের চিত্র এবং এর পেছনের কারণ হিসেবে ফড়িয়াবাজি, সিন্ডিকেট, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাব, দুর্বল বিপণন ব্যবস্থা, নীতিনির্ধারকদের মনযোগের অভাব এবং এক্ষেত্রে সরকারি উদাসীনতাকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। এছাড়া ধান ও চাল ব্যতীত অন্যান্য কৃষিপণ্য সরকারিভাবে সংগ্রহ না করা ও খাদ্যশস্য সংগ্রহে বিদ্যমান অস্বচ্ছ পদ্ধতির কারণে কৃষকদের নিয়মিত প্রতারিত হওয়ার বিষয়টিতেও বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়।

মন্তব্য

খাল-বিল দখলকারীদের ঘুমানোর সময় শেষ : ডিএনসিসি প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
খাল-বিল দখলকারীদের ঘুমানোর সময় শেষ : ডিএনসিসি প্রশাসক

অবৈধ দখলদারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ‘সরকারি খাল-বিল দখল করে যারা ঘুমাচ্ছেন তাদের ঘুমানোর সময় শেষ।’ 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাইক্কার খালে (কাঁটাশুর) অবৈধ ভবন উচ্ছেদে অভিযান গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

অভিযানে হাইক্কার খালে (কাঁটাশুর) অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটি দোতলা ভবন সম্পূর্ণ এবং তিনতলা ভবনের আংশিক গুঁড়িয়ে দিয়েছে ডিএনসিসি। এ ছাড়া ৫টি টিনের ঘড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১১টায় অভিযান শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং এক সময় বঙ্গবন্ধুর নামে ক্লাব এগুলো করেই কিন্তু ঢাকা শহরের খাল, জলাধার ও পাবলিক প্লেসগুলো দখল করা হয়েছিল। আমি ঢাকাবাসীকে বলে দিতে চাই, যারা এখনো সরকারি খাল-বিল দখল করে নাকে তেল দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন, তাদের ঘুমানোর সময় শেষ। যারা সরকারি জমি, খাসজমি দখল করে স্থাপনা বানিয়ে ভোগদখল করছেন, তাদের বলে দিচ্ছি ঘুম থেকে জেগে দখল করা জায়গাটা ছেড়ে দিতে হবে।

আজকের উদাহরণ (হাইক্কার খালের উচ্ছেদ) থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনারা নিজ দায়িত্বে এগুলো সরিয়ে নিন। না হলে বিপদ হবে। আমরা আসব, অবৈধ দখলদারদের কোনো নোটিশ দেব না। সরাসরি উচ্ছেদ করা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। আমরা উচ্ছেদ অভিযান করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাঠ দখলমুক্ত করছি, অবৈধ দোকান ও হকার উচ্ছেদ করছি এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করেছি। বাড়ি ৩ তলা হোক ১০ তলা হোক আমরা সব ভেঙে দেব একটা একটা করে। আমাদের লোকবল কম ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ করা হবে। আজকে নিরাপত্তা বাহিনী, আর্মি আছে, অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি রেখেছি।

আমরা কোনো ছাড় দেব না।’ 

তিনি বলেন, ‘এই খালের (হাইক্কার) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আমরা খাল খনন করে লাউতলা খালের সঙ্গে সংযোগ করে দেব। ডিএনসিসির কবরস্থানের দেয়ালও ভেঙে দিয়ে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। ফলে বৃষ্টির পানি, বন্যার পানি খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তুরাগে যাবে।’

প্রশাসক বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মোহাম্মদপুরের এই খাল পরিদর্শনে এসে দেখি খালে বালু ফেলে ভরটা করছে। খালের ভেতরে অনেকগুলো স্থাপনা হয়ে গেছে। আমি তাৎক্ষণিক অবৈধ ভবনগুলো ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিলে ভবনের মালিকরা আমাকে জানিয়েছেন এগুলো খালের সীমানায় পড়েনি, তারা চ্যালেঞ্জ করেছেন। পরে আমাদের সার্ভেয়ার এবং তাদের সার্ভেয়ার যৌথভাবে সার্ভে করেছে। যৌথ সার্ভেতে দেখা গেছে একটি দোতলা বাড়ি, একটি তিনতলা বাড়ি এবং মসজিদের একটি অংশসহ বেশ কয়েকটি টিনের ঘর খালের সীমানায় পড়েছে। কিন্তু তারা নিজেরা ভেঙে নেননি। তাই আজকে ডিএনসিসি থেকে আমরা অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ভবন ও স্থাপনা উচ্ছেদ করছি।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে আমি নিজে গিয়েছি। রাস্তায় ট্রাকের পার্কিং বন্ধে স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করছি আগামী কোরবানির ঈদের আগে এটি সমাধান করতে পারব।’

তিনি বলেন, মিরপুর-১০ এবং ফার্মগেট ইন্দিরা রোড সম্পূর্ণভাবে ফুটপাতের হকার ও টেসলামুক্ত (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) হবে। আমি অভিযান শুরু করেছি। রাতে ও দিনে অভিযান পরিচালনা করব।

আসন্ন বর্ষায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের টিম সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। গতকালও ডিএনসিসি এলাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার ও প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সভা করেছি। ডেঙ্গুকে মোকাবেলা করা জন্য আমরা মশা নিধন কার্যক্রম করছি। মশার ওষুধ ঠিকমতো ছিটানোর কাজটি মনিটর করার জন্য আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়ার পরিকল্পনা করছি। তার পরও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক সঠিক চিকিৎসা যেন নিশ্চিত করা হয় সেই প্রস্তুতি নিয়ে হাসপাতালগুলোর সঙ্গে কাজ করছি।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ