‘পাপ’ সিনেমা প্রযোজনার আংশিক টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জাকিয়া কামাল মুনের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় প্রযোজক আবদুল আজিজের নামে। গত (২৩ ফেব্রুয়ারি) রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।
এ আদেশের পর ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন কোর্ট নং ৩৬-এ হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আজিজ।
পাশাপাশি আদালতে জানান মুনকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুই ভাগে ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করবেন, এমন শর্তেই ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন।
টাকা ফেরত দেবেন, সেই শর্তে জামিন পেলেও আবদুল আজিজ শেষ পর্যন্ত টাকা দেননি, অভিযোগ নায়িকার।
জামিন পেয়ে আজিজ বাদীকে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দেন যে ২ মার্চ ৩০ লাখ এবং আগামী ২৬ মার্চ আরও ২০ লাখ টাকা দেবেন। সেই তারিখ পার হয়ে গেলেও টাকা পরিশোধ করেননি আবদুল আজিজ। ওই তারিখে রাজধানীর ইস্কাটনে জাজের অফিসে ডেকে নেন মুনকে।
কিন্তু টাকা দেওয়া তো দূরের কথা, ওই অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাকে।
জাকিয়া কামাল মুন জানান, গত নভেম্বর মাস থেকে প্রতি মাসে তাকে ১০ লাখ করে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা। মামলার পর গত ২ মার্চ ৩০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন আবদুল আজিজ। বাকি টাকাও ২৫ রোজার মধ্যে ফেরত দেবেন বলে দুপক্ষের আপোষ হয়।
তিনি বলেন, আজিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার একটা আপোষনামা হয়েছে। গত রোববার (২ মার্চ) তিনি ৩০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। অথচ রবিবার আমার ফোনও ধরেনি কেউ। তিনি তো আদালতের কথাও শুনলেন না।
দশ লাখ করে তিনটি তারিখে টাকা দেওয়ার কথা শোনা গেছে।
সে প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, দশ লাখ করে দিলে তো নভেম্বর মাস থেকে দিতেন। সেটা তিনি করেননি।
নায়িকার আইনজীবী শিমুল জানান, আদালতের রায় না মেনে আদালতের সঙ্গে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন আবদুল আজিজ।
এই আইনজীবী বলেন, আব্দুল আজিজ আদালতে লিখিত দিয়ে এসেছেন যে, প্রতি তারিখে ১০ লাখ টাকা করে ফেরত দেবেন। পরে বাদীকে মেসেজ করেছেন যে রোববার ৩০ লাখ এবং ২৫ রোজায় মধ্যে বাকি টাকা দেবেন। ১৯ মার্চ আরও একটা তারিখ আছে, দেখা যাক সেদিন তিনি কী করেন।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ‘পাপ’ সিনেমা নির্মাণে সহযোগিতার জন্য আজিজকে এককালীন ৬০ লাখ টাকা দেন মুন। ওই বছরের মার্চের মধ্যেই সিনেমার কাজটি শেষ করার কথা ছিল। অঙ্গীকারনামার শর্ত মোতাবেক আজিজ বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত দেননি। বারবার আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠানোর পরও তিনি উপেক্ষা করেছেন।